October 26, 2024

করোনায় হারিয়েছে কাজ। আর বন্যায় ডুবেছে ঘর

1 min read

করোনায় হারিয়েছে কাজ। আর বন্যায় ডুবেছে ঘর

মালদা- করোনায় হারিয়েছে কাজ। আর বন্যায় ডুবেছে ঘর। এমনকি ডুবে গিয়েছে পানীয় জলের সাব-মারসিবল গুলিও। আশ্রয়হীন প্লাবিত এলাকার শতাধিক পরিবারগুলি এখন  পানীয় জলের জন্য হন্যে হয়ে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে নৌকা নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন।  এমনকি বন্যার দাপটে মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিধানগড় গ্রামের নদী পাড়ের ১০ থেকে ১৫ টি বাড়ি রীতিমতো ভাঙ্গণের মুখে পড়েছে।

নদীর ধার বরাবর সেই বাড়ির অর্ধেক অংশ ঝুলে রয়েছে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে সেই আশঙ্কা করে আসবাবপত্র নিয়ে সরে পড়েছেন পরিবারগুলি।পুরাতন মালদা ব্লকের মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ থেকে সাতটি গ্রাম মহানন্দা নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে। দশ দিনেরও বেশি সময় ধরে বন্যায় কবলিত মানুষদের খোঁজ খবর নেয় নি এলাকার জনপ্রতিনিধি থেকে প্রশাসনের কর্তারা। স্বাভাবিক কারণেই বন্যাদুর্গতদের মধ্যে অসন্তোষ যেমন ছড়িয়েছে , ঠিক তেমনি সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তাঁরা। এমনকি প্রশাসনের কাছে দরবার করছেন যাতে করে পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় প্লাবিত এলাকার মানুষদের জন্য।পঞ্চায়েত এবং প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সিন্ধিয়াপাড়া , বারুইপাড়া, চরলক্ষীপুর, শিবগঞ্জ , বিধানগড় সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম গত দশদিনেরও বেশি সময় ধরে মহানন্দা মহানন্দা নদীর জলে ডুবে রয়েছে। শতাধিক পরিবার খোলা আকাশের নিচেই কোনরকমে আশ্রয় নিয়ে রয়েছে ।

গবাদি পশুদের খাওয়ার জোগাড় করতে না পেরে দুর্ভোগ বেড়েছে। পাশাপাশি এক বালতি পানীয় জল সংগ্রহ করার জন্য ওই গ্রামের বাসিন্দারা নৌকা করে ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে যাচ্ছেন। শিশু খাদ্য থেকে ত্রাণ সামগ্রী কোন কিছুই পঞ্চায়েত ও প্রশাসন থেকে দেওয়া হয় নি বলে বন্যা দুর্গতের অভিযোগ। বন্যায় শুধু নয় , নদীর পাড় কেটে ভাঙ্গণের মুখে পড়েছে বিধানগড় এলাকার বেশ কিছু বাড়ি । রীতিমতো নদীপাড়ের ধারে ঝুলে রয়েছে বাড়িগুলি । বিপদ এড়াতে সেইসব ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র সরে পড়েছেন বাসিন্দারা।মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শুভলক্ষ্মী গাইন জানিয়েছেন, আমার এলাকার কয়েকটি গ্রামে বন্যা হয়েছে। ইতিমধ্যে অঞ্চলে একটি বৈঠক করে বন্যা কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তারাই প্লাবিত এলাকার মানুষদের পরিস্থিতি তদারকি করছেন। ব্লক প্রশাসনকে সমস্ত ঘটনার কথা জানানো হয়েছে । বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষদের ইতিমধ্যে ত্রিপল দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে। সাব-মারসিবল গুলো ডুবে যাওয়ার কারণে এলাকায় পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। গ্রামবাসীদের চলাচলের জন্য নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *