লকডাউনের আওতার বাইরে দুধ থাকলেও কালিয়াগঞ্জে জোর করে দুধ ব্যবসায়ীদের পুলিশ হটিয়ে দিলে শুরু হয় পুলিশের সাথে দুধ ব্যবসায়ীদের প্রচন্ড গন্ডগোল
1 min readলকডাউনের আওতার বাইরে দুধ থাকলেও কালিয়াগঞ্জে জোর করে দুধ ব্যবসায়ীদের পুলিশ হটিয়ে দিলে শুরু হয় পুলিশের সাথে দুধ ব্যবসায়ীদের প্রচন্ড গন্ডগোল
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,(উত্তর দিনাজপুর)২৩ জুলাই: যে কোন বন্ধে দুধকে অত্যাবশকীয় পণ্য হিসাবে ছাড় দেওয়া হয়।কারন দুধ হচ্ছে শিশুদের একমাত্র খাদ্য।অথচ বৃহস্পতিবার কালিয়াগঞ্জের মহেন্দ্রগঞ্জে দুধ বিক্রেতারা দুধ নিয়ে প্রতিদিনের মত এসে বসলে দুধ ব্যবসায়ীদের জোর করে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ এসে তাদের হটিয়ে দিলে শুরু হয় প্রচন্ড গন্ডগোল।দুধ ব্যবসায়ীদের বক্তব্য বিগত লকডাউনের মধ্যে তারা প্রতিদিন দুধ বিক্রি করেছে কেও তাদের বাধা দেয়নি।
অথচ বৃহস্পতিবার সকালে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ যে ভাবে মহিলা দুধ ব্যবসায়ীদের যে কায়দায় হটিয়ে দিয়েছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা।আমরা পুলিশের এই কাজকে ধীক্কার জানাই।দুধ ব্যবসায়ীদের বক্তব্য দুধ এবং ওষুধের দোকান যেকোন বন্ধের আওতার বাইরেই থাকে।তা সত্ত্বেও পুলিশ যে তাদের সাথে যে আচরণ করেছে তা কোন ভাবেই করতে পারেনা।কালিয়াগঞ্জ মহেন্দ্রগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক প্রকাশ কুন্ডু বলেন দুধ ব্যবসায়ীদের সাথে পুলিশের এই আচরণ কাম্য নয়।তা ছাড়া দুধ শিশুদের একমাত্র খাদ্য।সেই দুধ যদি কেউ কিনতে না পারে তাহলে চরম বিপাকের মধ্যে সাধারণ মানুষ পড়বে।
বিশেষ করে যাদের বাড়িতে কচিকাঁচা আছে।কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক তপন দেব সিংহ বলেন দুধ শিশু খাদ্য।কি করে পুলিশ তাদের জোর করে হটিয়ে দিতে পারে?পুলিশ এটা একদম ঠিক করেনি। বৃহস্পতিবার সকালে মহেন্দ্রগঞ্জ বাজারে পুলিশ দুধ বিক্রেতাদের উঠিয়ে দিলে তারা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয় পুলিশের এই ধরনের আচরণে।দুধ বিক্রেতাদের অভিযোগ শিশু খাদ্য দুধ কোন ভাবেই লকডাউনের আওতায় পড়তে পারেনা।দুধ দাবি দুধ বিক্রেতাদের দাবি দুধ বিক্রির ক্ষেত্রে প্রশাসনকে ছাড় দিতে হবে।তারা জানায় দুধ যেমন শিশুদের খাদ্য তেমনি আমাদেরকেও দুধ বিক্রি করে গাই বাছুরদের খাবার জোগাড় করতে হয় এবং আমাদেরও এই দুধের ব্যবসার উপর সংসার চালাতে হয়। এ ব্যপারে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার প্রসাশক কার্তিক পালকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন যেহেতু আজকের লকডাউন সরকার থেকে রাজ্যের সর্বত্র একসাথে হচ্ছে তাই এই ব্যাপারটা জেলা প্রশাসনের দেখার কথা।তবে শিশু খাদ্য দুধ যে কোন বন্ধের বাইরেই থাকে।উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের কো-মেন্টর অসীম ঘোষ বলেন দুধ যেহেতু শিশু খাদ্য তাই যে কোন বন্ধের বাইরেই থাকা প্রয়োজন।আমি দেখছি ব্যাপারটা।কালিয়াগঞ্জ থানার আই সি আশীষ দলুই এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন কোনটা লকডাউনের আওতার মধ্যে বা বাইরে থাকবে সেটা বিডিও সাহেব বলতে পারবেন।কারন পুলিশ প্রশাসন এটা ঠিক করেনা ব্লক ও জেলা প্রশাসন ঠিক করে।