October 25, 2024

শিক্ষকদের সরকার বসিয়ে বসিয়ে মাসের পর মাস বেতন দিয়ে শিক্ষকদের দিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের পরিকল্পনার মাধ্যমে শিক্ষা দেবার ব্যবস্থা করা হোক, দাবি-

1 min read

শিক্ষকদের সরকার বসিয়ে বসিয়ে মাসের পর মাস বেতন  দিয়ে শিক্ষকদের দিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের পরিকল্পনার মাধ্যমে শিক্ষা দেবার ব্যবস্থা করা হোক, দাবি-

তপন চক্রবর্তী–কালিয়াগঞ্জ–উত্তর দিনাজপুর–করোনা ভাইরাসের লকডাউন চলা কালীন এবং পরবর্তীতে আনলক(১)চলাকালীন শিক্ষকদের নিয়ে হাটে বাজারে সর্বত্রই একই গুঞ্জন। এক যাত্রায় কেন পৃথক ফল?অর্থাৎ কাওকে অফিসে গিয়ে কাজ করতে হবে অন্যদিকে কেউবা মাসের পর মাস ঘরে বসে বেতন নিচ্ছেন শুয়ে বসে অথবা অন্যভাবে সময় কাটাচ্ছেন তা কেন হবে? আসলে সরকারেরই কোন পরিকল্পনা নেই শিক্ষকদের নিয়ে।অথচ সরকারের যদি শিক্ষকদের নিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের শ্বার্থে পরিকল্পনা করতে পারতো তাহলে ছাত্র ছাত্রীরা যেমন উপকৃত হতে পারতো তেমনি শিক্ষকদেরও শুয়ে বসে ঘরে কাটাতে হতোনা।অনেক শিক্ষক আছেন যাদের দম বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম।

আবার এমন অনেক শিক্ষক আছেন যারা চাইছেন করোনার দৌলতে আর চেয়ে আর ভালো কি হতে পারে?মন্দ নয় আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে করোনা নির্মূল হোক।আসলে শিক্ষক রাই বা কি করবেন? সরকার যদি তাদের কোন কাজে না লাগিয়ে মাসের পর মাস জনগনের অর্থে বেতন দিতে পারে তাহলে তারাইবা সেই সুযোগ সাদরে গ্রহণ করবেন না কেন?আসলে এই সরকার শিক্ষা নিয়ে বছরের পর বছর কাটা ছেড়া করতে ভালো পারে।কিন্তু শিক্ষকদের দিয়ে ভালো কোন নতুনত্ব কাজ করবার পরিকল্পনা তাদের মাথায় আসেনা।রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষদের শ্বার্থে অনেক ভালো ভালো কাজ করেছে।মাথায় এনেছে নুতন নুতন পরিকল্পনা যা সাধারণ মানুষের উপকারে লাগতে পারে।কিন্তু শিক্ষা নিয়ে বা শিক্ষকদের নিয়ে নুতন কোন চিন্তা ভাবনা তাদের মাথায় আসেনা।এখনতো লকডাউন বলে কিছু আছে কোথায় মনে হবার উপায় নেই।তাহলে শুধু শিক্ষকদের বেলায় কাগজ কলমে গৃহবন্দি করে রাখার কোন যুক্তি রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তর দেখাতে পারবে?যদি উত্তর দিনাজপুর জেলার কোন একটি প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের কতিপয় শিক্ষকগন নিজেদের তাগিদে রায়গঞ্জ ব্লকের কোন একটি আদিবাসী পাড়ার স্কুলের আদিবাসী ছাত্র ছাত্রীদের কোন এক বাড়িতে বসিয়ে কচিকাঁচদের পাঠ দিতে পারে তাহলে আমাদের শহরের বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন শহরের কোন বিদ্যালয়ে গ্রুপ করে করে ছাত্র ছাত্রীদের পাঠ দিতে পারেনা? এটা আবার হয় নাকি?আসলে সবই আমাদের সুশিক্ষিত শিক্ষকগন পারে।কিন্তু তাদেরকে দিয়ে এই বিশাল পয়সার বিনিময়ে সমাজ সেবার কাজ কার উদ্দ্যোগে করানো হবে।আমাদের জেলায় যেমন প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর আছে।তেমনি মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরও আছে।প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের শিক্ষা পরিদর্শক যেমন নিজে উদ্যোগী হয়ে শিক্ষকদের নিয়ে এক একদিন এক একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে যদি ক্লাস নিতে পারে তাহলে উচ্চ দপ্তরের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক এসব দেখেওতো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিদর্শকের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে এই ভাবে শিক্ষকদের নিয়ে ক্লাস নিতেই পারে বলে অনেক অভিভাবক অভিভাবীকাদের বক্তব্য থেকে জানা যায়।কিন্তু কে বাঁধবে বিড়ালের গলায় ঘন্টা।সাধারণ মানুষের দাবি অবিলম্বে তাদের ছেলে মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর কিছু একটা করুক।আর কতদিন ছেলেমেয়েদের শিক্ষা নিয়ে এই খামখেয়ালিপনা চলবে?পড়াশোনা সব লাঠে উঠে গেছে।এ ভাবে দিনের পর দিন কোন ভাবেই চলতে পারেনা।তাই শিক্ষকদের শিক্ষার শ্বার্থে পরিকল্পনা করে তাদেরকে কাজে লাগানোর নুতন ভাবনা চিন্তা শুরু করা হোক।ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে তাদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে অন্তত কিছু একটা করা হোক তার জন্য সবাই অপেক্ষা করছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *