লকডাউনে কুশমন্ডির গ্রামের বাড়িতে ইস্টবেঙ্গলের মহিলা সিনিয়ার দলের ক্যাপ্টেন ও গোলকিপার অনুশীলন ও ধকরা বানিয়ে সময় পার করছে
1 min readলকডাউনে কুশমন্ডির গ্রামের বাড়িতে ইস্টবেঙ্গলের মহিলা সিনিয়ার দলের ক্যাপ্টেন ও গোলকিপার অনুশীলন ও ধকরা বানিয়ে সময় পার করছে
তপন চক্রবর্তী–কালিয়াগঞ্জ-(উত্তর দিনাজপুর)–করোনা ভাইরাসের কারনে লকডাউনের গৃহবন্দি থাকার অঢেল সময়ের সদ্ব্যবহার করছে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডির ইস্টবেঙ্গলের মহিলা দলের ক্যাপ্টেন সুনী তা এবং গোলকিপার বুলি।জানা যায় দক্ষিণ দিনাজপুরের দুই সোনার মেয়ের
একজন পুপরা গ্রামে সুনীতা সরকার ইস্টবেঙ্গলের মহিলা সিনিয়ার দলের ক্যাপ্টেন বাড়িতে মায়ের সাথে ধান শুকানোর কাজ করার সাথে সাথে অনুশীলনে ব্যাস্ত।অপরজন তেলিবাড়ি গ্রামের ইস্টবেঙ্গল মহিলা সিনিয়ার দলের গোলকিপার বুলি সরকার বাড়িতে সময় নষ্ট না করে ধকরা বানিয়ে সময় কাটিয়ে দিচ্ছে বলে জানা যায়।সুনীতা সরকার ইস্টবেঙ্গল দলের সিনিয়ার মহিলা ফুটবলের ক্যাপ্টেন হলেও সে কলকাতার
চারু চন্দ্র কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।বাড়ীতে আসার পর লকডাউন ঘোষণা হয়ে গেলে কলকাতায় আর যেতে পারেনি।সুনীতা জানায় আমি প্রচন্ড গরিব পরিবারের মেয়ে।আমি সেই কারণে ধান বোনা, জমি থেকে ধান কাটা, ধান শুকানোর মত সব কাজই বাড়িতে ছোট থেকেই করে আসছি।আমি তাই মাকে সাহায্য করতে মাঝে মধ্যে ধান শুকানোর কাজ করি।তার মধ্যে সময় বের করে রোজ কিছুটা সময় ফুটবল নিয়েই কাটাই নিয়মমতো মাস্ক পরে,প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই। অন্য দিকে কুশমন্ডি বেরইল গ্রাম পঞ্চায়েতর পশ্চিম তেলি বাড়ির গ্রামে ইস্টবেঙ্গল সিনিয়ার মহিলা ফুটবল দলের গোল কিপার বুলি সরকার লকডাউনে বাড়িতে থাকার সময় মাঝে মধ্যে বল নিয়ে অনুশীলন করলেও সময় নষ্ট না করে বাড়িতে বসে ধকরা বানিয়ে সময় কাটাচ্ছে মাস্ক মুখে অবশ্যই লাগিয়ে।
ধকরা হচ্ছে দুই দিনাজপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী একটি গ্রামীণ শিল্প।যে শিল্পের সাথে যুক্ত রয়েছে ফাই দিনাজপুরে র হাজার হাজার রাজবংশী সম্প্রদায়ের গৃহবধুরা।কুশ মন্ডি সরলা ভুপেন্দ্র নাথ সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ডঃ সত্যজিৎ সরকার বলেন আমার বিদ্যালয়ের দুই সোনার ছাত্রী বর্তমানে লকডাউনের কারনে বাড়িতেই গৃহবন্দি।ওরা গ্রামের মেয়ে গ্রাম্য জীবনের সাথে যুক্ত সব কাজ করে থাকে।নিজেদের কঠোর অনুশীলনের জোরে এবং মনের অদম্য উৎসাহের জোরে আজ ফুটবল জগতের একটা জায়গায় গিয়ে ওরা দুজনেই পৌঁছাতে পেরেছে।ভবিষ্যতে আরো বড় খেলোয়াড় হবে এই প্রত্যাশা আমার এবং এতদ অঞ্চলের সমস্ত মানুষদের। লকডাউনের মধ্যেই সময় করে নিয়মিত অনুশীলন করছে প্রতিদিন। দুজনেই ফুটবল নিয়ে বাড়ির পাশের মাঠে অনুশীলন করার সাথে সাথে বাড়ির কাজও করছে মাকে সাহায্য করবার জন্য। এখন লকডাউন কবে উঠবে এবং কবে কলকাতায় গিয়ে অনুশীলনে যোগ দেবে সেই অপেক্ষায় সুনীতা ও বুলি দিন গুনছে।