December 29, 2024

অশীতিপর বৃদ্ধা কানছুবালা জীবনের শেষ প্রান্তে এসে সরকারি বৃদ্ধা ভাতা পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘ জীবনের আশীর্বাদ জানালো

1 min read

অশীতিপর বৃদ্ধা কানছুবালা জীবনের শেষ প্রান্তে এসে সরকারি বৃদ্ধা ভাতা পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘ জীবনের আশীর্বাদ জানালো

তপন চক্রবর্তী-কালিয়াগঞ্জ–(উত্তর দিনাজপুর)—কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ধনকোল গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য দুর্গাপুরের অশীতিপর বৃদ্ধা কানছুবালা জীবনের একেবারে শেষ প্রান্তে এসে হাতে আকাশের চাঁদ (বৃদ্ধা ভাতা) সরকারি ভাতা মাসে একহাজার টাকা করে পেতে শুরু করায় কানছু বালা মমতা বেটির দীর্ঘ জীবনের দুহাত ভরে আশীর্বাদ জানিয়ে বললো

আমার মমতা বেটি অনেক দিন বেঁচে থেকে আমার মত অসহায় মানুষদের জীবনে বেঁচে থাকার রসদ জুগিয়ে যাক। কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ধন কোল গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য দুর্গাপুরে অসুস্থ্য এক ছেলেকে নিয়ে সারা জীবনধরে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছায়।ধনকোলের মধ্য দুর্গাপুরের দূরত্ব কালিয়াগঞ্জ থেকে চার কিমি পথ।

কানছু বালা নিয়মিত দুই বগলে দুটি ক্রাচে ভর করে সারা কালিয়াগঞ্জ ঘুরে ঘুরে এই বয়সেও পেটের টানে এখনও নিরলস পরিশ্রম করে চলেছে।কানছু বালা এক প্রশ্নের উত্তরে জানায় আমি আমার শেষ বয়সে বৃদ্ধা ভাতা পাবো কোনদিন স্বপ্নেও ভাবিনি।কি ভাবে আপনি বৃদ্ধা ভাতা পেলেন,কে আপনাকে এসবের ব্যবস্থা করে দিল তার উত্তরে কানছু বালা বলেন কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপা মা ও তার স্বামী বাপ্পা বেটা

অনেক চেষ্টা করে সরকারি বৃদ্ধা ভাতা আমাকে করে দিয়েছে।আমার জন্য ওরা দুজনে খুব চেষ্টা করেছেন।ওরাইতো আমার মা বাপ।তার সাথে আমাকে যে সব কিছু কাগজপত্র ভোটার কার্ড ছবি,ব্যাঙ্কের একাউন্ট আমাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে এসব কাজ করে পঞ্চায়েতের মা দীপার কাছে জমা দেবার সব কিছু করেছে তিনি কালিয়াগঞ্জের একজন প্রবীণ সাংবাদিক।এই বেটাইতো আমাকে সবসময় নানা ভাবে বাঁচার রসদ যোগায়।আপদে বিপদে এই বেটা ছাড়া আমি কাউকে দেখিনা।কানছু বালা বলেন বাবা, আমার শেষ বয়সে আমি একহাজার টাকা করে ভাতা দেখে যেতে পারবো এটা কোন দিন ভাবতেও পারিনি।এতেই আমার চরম শান্তি।কানছু বালা বলেন আমার মমতা বেটি মুখ্যমন্ত্রী না থাকলে এসব কিছুই হত না।আমি তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবনের জন্য দুই হাত ভরে বেটিকে আশীর্বাদ করেছি।কানছু বালা বলেন এই বিডিও অফিসে আগের বিডিও জ্যাকেরিয়া বেটা আমাকে খুব দেখতো।ও কোথায় চলে যে গেলো জানিনা।ও যেখানেই থাক খুব ভালো থাক।ওর জন্য খুব মন কাঁদে।কানছু বালা বলেন বৃদ্ধা ভাতা গত তিন মাস ধরে পাওয়ায় এখন বাড়ি থেকে কম বের হই।শরীর আর চলেনা।অসুস্থ ছেলেকে দেখতে হয়।আমিতো মা।ওকে কে আর দেখবে।যতদিন বেঁচে থাকবো আমিই ওকে দেখবো।ওর কেও থাক আর না থাক ওরতো মা আছে এখনও।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর..