পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যাপক আসার কারনে কালিয়াগঞ্জ ও শহর সংলগ্ন এলাকায় করোনা যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে সে ব্যাপারে আতঙ্কিত কালিয়াগঞ্জ বাসী
1 min readপরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যাপক আসার কারনে কালিয়াগঞ্জ ও শহর সংলগ্ন এলাকায় করোনা যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে সে ব্যাপারে আতঙ্কিত কালিয়াগঞ্জ বাসী
তপন চক্রবর্তী–কালিয়াগঞ্জ(উত্তর দিনাজপুর)–৪তুর্থ লকডাউনের ঘোষণার শুরুতেই সারা রাজ্যের সাথে উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার সাথে তাল মিলিয়ে কালিয়াগঞ্জ তথা গ্রামাঞ্চলে যে হারে পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন রাজ্য থেকে ঘরে ফিরছে তাতে সর্বত্রই একই সুর লগডাউন দিয়ে কোন ভাবেই আর করোনাকে প্রতিরোধ করা সম্ভবপর নয়।
একেই গ্রীন জোনের তকমা চলে গেছে।এর পর যে কি আছে তা কেউ বলতে পারবেনা।সরকার থেকে নানান সতর্কতার বার্তা দিলেও এই মুহূর্তে সরকার সতর্কতার কথা বললেও সরকার নিজেই যে হাল ছেড়ে দেবার অবস্থায় তা বর্তমান অবস্থা দেখে মানুষ সেটাই মনে করছে ।উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ,ইসলামপুর হেমতাবাদ
এবং কালিয়াগঞ্জ শহরে যে ভাবে ট্রাকে বাসে প্রতিদিন ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের আসার ঢল নেমেছে তা চিন্তা ও আতঙ্কের বিষয়।তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউন ভালো ভাবে পার হলেও চতুথ পর্যায়ের লকডাউন ভালো ভাবে পার হবে কিনা তা কোটি টাকার প্রশ্ন হিসাবে দেখা দিয়েছে।সাধারণ মানুষদের বক্তব্য যে ভাবে এই পরিযায়ী শ্রমিকরা কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালে আসার সাথে সাথে তাদের পরিকাঠামোহীন হোম কোয়ারেন্টিনে অথবা কোয়ান্টারিনে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাতে স্বাভাবিকভাবেই গ্রামাঞ্চলের মানুষরাও দারুন ভাবেই আতঙ্কিত।গ্রামের মানুষদের বক্তব্য এতদিন তারা ভালই ছিল।কিন্তূ এবার হয়তো আর ভালো থাকা যাবেনা।কারন পরিযায়ী শ্রমিকরা লকডাউনের নিয়ম কানুন অনেক ক্ষেত্রেই যে সরকারি নিয়ম কানুনকে তোয়াক্কা না করে পরিবারদের সাথে মেলামেশা করবেই তা হলফ করে বলা যেতে পারে।এব্যাপারে প্রশাসন কতটা দায়িত্ব পালন করতে পারবে এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের প্ৰতি নজর রাখতে পারবে তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।তাই ৪র্থ লগডাউন কালিয়াগঞ্জ তথা সমগ্র উত্তর দিনাজপুরের উপর আশীর্বাদ না অভিশাপ হয়ে দাঁড়াতে যাচ্ছে তা সময়ই বলতে পারবে।অনেকেরই আশঙ্কা অসুবিধা দেখা দেবে তাদের খাবার নিয়ে।গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খাবার জন্য পরিযায়ী শ্রমিকরা নানা ভাবে হাজ্জুতি করবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।এই মুহূর্তে শুরু হয়ে গিয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিজের ইচ্ছামত কোয়ান্টারিমে থাকার জন্য নিয়ে ঢুকে পড়ছে। ইতিমধ্যেই অনেক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা সমস্যার মধ্যে নাকি পরেই গেছে।জেলা প্রশাসনের উচিৎ যারা ভিনরাজ্য থেকে ইতিমধ্যেই গ্রামে ঢুকে পড়েছে তাদের দেখভালের ব্যাপারে শক্ত হাতে ব্যবস্থা নেবার পরিকল্পনা গ্রহণ করে লকডাউনের প্ৰকৃত নিয়ম কানুন মানার উপর জোর দেওয়া।অন্যথায় বড় বিপদ যে সামনে আসছে তা কেও রোধ করতে পারবে বলে মনে হয়না।