ডালখোলা শহর ভুট্টা কেনাবেচার নিয়ে চিন্তিত ব্যবসায়ীরা
1 min readডালখোলা শহর ভুট্টা কেনাবেচার নিয়ে চিন্তিত ব্যবসায়ীরা
উত্তর দিনাজপুর জেলার ডালখোলা শহর ভুট্টা কেনাবেচার জন্য প্রসিদ্ধ। কিন্তু এই শহরটি বিহার রাজ্যের পূর্ণিয়া ও কাটিহার জেলা লাগোয়া হওয়ার করোনা পরিস্থিতিতে মরশুমের শুরুতেই ভুট্টা কেনাবেচা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উদ্বেগে রয়েছে। প্রতিবছরের মতো এবারও ডালখোলা সংলগ্ন বিহারের গ্রামগুলি থেকে প্রচুর পরিমাণ ভুট্টা আসবে।
ইতিমধ্যেই কিছু আসতে শুরু করেছে। এই কাজ কয়েকদিনের মধ্যেই জোরকদমে শুরু হবে। ট্রাক্টর সহ বিভিন্ন যানবাহনে শ্রমিকরা এগুলি ওঠা-নামানোর কাজ করবেন। বাসিন্দাদের আশঙ্কা, এক্ষেত্রে করেনা মোকাবিলার অন্যতম শর্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে না। এর ফলে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
ডালখোলা পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য সুভাষ গোস্বামী বলেন, এখনও পুরোমাত্রায় ভুট্টা কেনাবেচা শুরু হয়নি। চাষিরা অল্পস্বল্প নিয়ে আসছেন, তাই ব্যবসায়ীরা কিনছেন। পূর্ণিয়া জেলার গোলাপবাগের এক ফল ব্যবসায়ী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে সংলগ্ন বিহার থেকে ভুট্টা আসায় উদ্বেগের বিষয় থাকছে। কিন্তু কেনাবেচা বন্ধ করা হলে চাষিরা চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। তাই কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ী, শ্রমিক সংগঠন ও পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। ভুট্টা কেনাবেচার ক্ষেত্রে বিভিন্ন যানবাহন থেকে ভুট্টা ওঠানো ও নামানোর কাজে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করতে বলা হয়েছে।ডালখোলা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রাজেশ গুপ্তা বলেন, কিছু পরিমাণ ভুট্টা আসা শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা তা কিনছেন।
প্রশাসন যদি কেনাবেচা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় তাহলে বন্ধ রাখা হবে। পুলিস, পুরসভা প্রশাসন, শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। কিন্তু ১০০ শতাংশ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করা সম্ভব নয়। শ্রমিকরা যে ব্যবসায়ীর অধীনে কাজ করবেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরও তাঁদের নিরাপত্তার কিছুটা দায়িত্ব নিতে হবে।স্থানীয় ও ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ডালখোলায় ভুট্টার মরশুমে উত্তর দিনাজপুর জেলার পাশাপাশি বিহারের কিষানগঞ্জ, পূর্ণিয়া ও কাটিহার জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চাষিদের ভুট্টা ডালখোলায় বিক্রির জন্য আসে। এখান থেকে ব্যবসায়ীরা তা কিনে রেলের রেকের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পাঠায়। বাংলাদেশেও রপ্তানি করা হয়। এই কাজে ভুট্টা বোঝাই প্রচুর লরি ও ট্রাক্টর শহরে আসে। লোডিং আনলোডিং করার কাজে হাজার হাজার শ্রমিক নিযুক্ত হয়। যানবাহনের চালক, বিক্রেতা, ব্রোকার সব মিলে শহরে কয়েক হাজার বাড়তি মানুষের চাপ পড়ে। শ্রমিকদের কাজের ক্ষেত্রে কতটা সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকবে তা নিয়ে যেমন সন্দেহ আছে তেমনি বাইরে থেকে আসা যানবাহনের চালক, খালাসি, বিক্রেতা ও ব্রোকারদের থেকে এলাকায় করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলেও বাসিন্দাদের আশঙ্কা। স্থানীয়দের দাবি, গোটা প্রক্রিয়ায় প্রশাসন সদর্থক পদক্ষেপ করুক। চাষিরাও তাঁদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পাক এবং শ্রমিকরাও কাজ করে দু পয়সা রোজগার করুক।