মদ্যপ অবস্থায় কাউকে বাইরে দেখলে তাকে রেয়াত করা হবে না, স্পষ্ট বার্তা দিলেন পুলিস সুপার সুমিত কুমার।
1 min readমদ্যপ অবস্থায় কাউকে বাইরে দেখলে তাকে রেয়াত করা হবে না, স্পষ্ট বার্তা দিলেন পুলিস সুপার সুমিত কুমার।
মদ্যপদের সামলাতে রায়গঞ্জের রাস্তায় সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত টহলদারি চালাল পুলিস। রায়গঞ্জ থানার পুলিসের মনোবল বাড়াতে মধ্যরাত পর্যন্ত তাদের সঙ্গ দিলেন পুলিস সুপার নিজেই। সোমবার থেকেই নতুন দফায় শুরু হয়েছে লকডাউন। প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকানের পাশাপাশি খোলা হয়েছে মদের দোকানও।
সেদিন বিকাল থেকেই সুরাপ্রেমীরা লাইন দেন দোকানের সামনে। দীর্ঘদিন পর সুযোগ পেয়ে মদের নেশায় যাতে কেউ কোনও অপ্রীতিকর কাণ্ড করে না বসেন সেজন্যই রায়গঞ্জ শহরের রাজপথে বিশেষ টহলদারি চালায় পুলিস। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সেই নজরদারি পর্যবেক্ষণ করলেন রায়গঞ্জ পুলিস জেলার সুপার সুমিত কুমার। এব্যাপারে পুলিস সুপার বলেন, নতুন দফায় লকডাউন শুরু হয়েছে। তবে নানানরকম বিভ্রান্তি রয়েছে মানুষের মধ্যে। সেইসঙ্গে এদিন থেকে মদের দোকানগুলোও খোলা হয়েছে। সেই কারণেই বিশেষ চেকিংয়ের ব্যবস্থা আমরা করেছি। কোনওভাবে যাতে মদ্যপ অবস্থায় রাস্তায় বেরিয়ে কেউ কোনও ভুল কাজ না করে, তা নিশ্চিত করতেই এই চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া রাতে রায়গঞ্জের লকডাউনের কি অবস্থা থাকে তা নিরীক্ষণ করতে আমি নিজেও পুলিস কর্মীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। রায়গঞ্জ পুলিস জেলার সমস্ত পুলিস কর্মী লকডাউনকে পুরোপুরি সফল করতে বদ্ধপরিকর।নতুন করে লকডাউন চালু হওয়ার পর বেশ কিছু ছাড় মেলার আশায় গ্রিন জোন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের রাস্তায় মানুষের ভিড় উপচে পড়েছিল। কিছু কিছু দোকানপাটও খুলে দেওয়া হয়েছিল। তবে কিসে কিসে ছাড় রয়েছে তা নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তিরও সৃষ্টি হয়েছিল। তার উপর সেদিন থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে রায়গঞ্জ মদের দোকান খোলা হয়। ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান ছিল, যেহেতু মদের দোকান খুলেছে তাই মদ্যপ অবস্থায় অনেকেই রাস্তাঘাটে নানা কীর্তি ঘটাতে পারেন। সেই আশঙ্কাতেই ব্যবস্থা নেয় পুলিস। রাতে চেকিং চলার সময় পুলিস সুপারও রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিয়মমাফিক পরিদর্শন করেন। কোনওভাবেই মদ্যপ অবস্থায় কাউকে বাইরে দেখলে তাকে যে রেয়াত করা হবে না, সে সম্পর্কে স্পষ্ট বার্তা দেন পুলিস সুপার।