October 24, 2024

লকডাউনের মধ্যেও এই দুঃসময়ে বন্ধন ব্যাঙ্কের কালিয়াগঞ্জ ইউনিট মহিলাদের মধ্যে ঋণ দিয়ে নজির সৃষ্ট করছে

1 min read

লকডাউনের মধ্যেও এই দুঃসময়ে বন্ধন ব্যাঙ্কের কালিয়াগঞ্জ ইউনিট মহিলাদের মধ্যে ঋণ দিয়ে নজির সৃষ্ট করছে

তপন চক্রবর্তী-ও শংকর গুপ্তা- কালিয়াগঞ্জ–(উত্তর দিনাজপুর)--সারা বিশ্ব তথা ভারত বর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের সাথে পশ্চিমবঙ্গ যখন করোনা ভাইরাসের বিপদ রুখতে লকডাউনে গৃহবন্দি হয়ে সমগ্র রাজ্যের হত দরিদ্র মানুষদের জীবনজিবিকা স্তব্ধ,তখন বন্ধন ব্যাঙ্কের কালিয়াগঞ্জ ইউনিট এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের সাথে যুক্ত মহিলাদের সামনে এই চরম বিপদের সময় ত্রাতা হয়ে এসে ঋণ দেওয়া শুরু করে দিল।

এর ফলে যে সব মহিলারা যারা বিশেষ করে সব্জি ব্যবসা,নার্সারি ব্যবসা, শাড়ির ব্যবসা এবং স্বামী টোটো চালিয়ে জীবন নির্বাহ করে থাকে তারা বন্ধন ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাবার ফলে বিশেষ করে চুড়ান্ত আর্থিক অনটনের সময় বাঁচার অক্সিজেন পেলো বলে জানা যায়।বন্ধন ব্যাঙ্কের কালিয়াগঞ্জ ইউনিটে ঋণ দেওয়া হবে

প্রথমে খবরটিকে বিশ্বাস করতে না পারলেও তার সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে কালিয়াগঞ্জ তাঁরা বাজারে অবস্থিত বন্ধন ব্যাঙ্কের কার্যালয়ে গিয়ে পৌঁছালে দেখতে পাই সত্যি সত্যিই বেশ কিছু মহিলা আছেন যারা বিভিন্ন গ্রূপ থেকে এসেছেন।যাদের মধ্যে অনেকেই নিজের তাগিগে ঋণ পরিশোধ করতে যেমন এসেছেন

তেমনি আবার কোন মহিলা সব্জি বিক্রেতা ঋণ নিতেও এসেছেন।সব্জি ব্যবসায়ী শ্রাবনী বিশ্বাসের সাথে কথা বলে বন্ধন ব্যাঙ্ক সম্পর্কে কিছু জানতে চাইলে শ্রাবনী বিশ্বাস বলেন বন্ধন ব্যাঙ্ক তার কাছে ও তার পরিবারের কাছে ভগবান সমতুল্য।

এই ব্যাঙ্ক আমার পরিবার পরিজন নিয়ে বাঁচার পথ দেখিয়েছে।এই ব্যাঙ্ক থেকে সময় মত স্বল্প মেয়াদি ঋণ পাবার ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে করে কম্মে খাচ্ছি।না হলে চরম সঙ্কটের মধেপড়তে হত।আমার পরম আত্মীয়ের মতই বন্ধন ব্যাঙ্ক আমার পাশে দাঁড়িয়েছে বলে জানালেন শ্রাবনী বিশ্বাস।মহিলা নার্সারি ব্যবসায়ী সুনন্দা রায় বলেন লকডাউনের সময় কোন ব্যাঙ্ক ঋণ দিতে এগিয়ে না এলেও আমাদের মত ক্ষুদ্র ঋণ

গ্রহীতার পাশে বন্ধন ব্যাঙ্ক এসে দাঁড়ানোয় আমরা চরম খুশি।এই ব্যাঙ্ক আমাদের মত মহিলাদের পাশে দাঁড়ানোর ফলে আমরা স্ব নির্ভর হতে পারছি। এই ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে চারা গাছের ব্যবসা করে দুটো পয়সার মুখ দেখতে পাচ্ছি।বন্ধন ব্যাঙ্কেই দেখা হল মহিলা বস্ত্র ব্যবসায়ী প্রতিমা চক্রবর্তীর সাথে।

প্রতিমা দেবী বলেন আমার মত অনেক মহিলা কাপড়ের ব্যবসা করে সংসার চালিয়ে থাকি।বন্ধন ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ না দিলে আমার মত অনেক মহিলার জীবন জীবিকা নির্বাহ করা দুরহ ও কঠিন হয়ে পড়তো। কালিয়াগঞ্জ বন্ধন ব্যাঙ্কের ইউনিট গত ২৪শে এপ্রিল থেকে বিভিন্ন গ্রূপের মহিলাদের এই ঋণ দেওয়া শুরু হয় বলে জানালেন বন্ধন ব্যাঙ্কের কালিয়াগঞ্জ ইউনিটের তারাবাজার শাখা প্ৰবন্ধক ডলু শর্মা।

তিনি বলেন পৃথিবী জুড়ে করোনার তান্ডবে ও মারন ভাইরাসের আতঙ্কে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত।লকডাউনের জেরে সব রকমের ব্যবসাবাণিজ্য বন্ধ করে রাখা হয়েছে।করোনা থেকে মুক্ত থাকার জন্য আমাদের আমানত কারীরা ও ঋণ

গ্রহীতা ও ঋণ পরিশোধকারীরা গৃহবন্দি।এর মধ্যেও আমাদের বন্ধন ব্যাঙ্কের ঋণ গ্রহীতারা স্ব ইচ্ছায় ব্যাঙ্কে পুনরায় ঋণ পাবার জন্য কেউ কেউ ঋণ পরিশোধ করে ঋণ নিচ্ছে।আমরা সাথে সাথে তার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি আমাদের আমানতকারীদের অসুবিধার দিকে তাকিয়ে।

বন্ধন ব্যাঙ্কের কালিয়াগঞ্জ ইউনিটের এরিয়া ম্যানেজার শান্তি কুমার মন্ডল বলেন তাদের কালিয়াগঞ্জ ইউনিটের তারা বাজার শাখায় ব্যাঙ্কের অফিসে এই অসুবিধার মধ্যেও অনেকে ঋণ পরিশোধ করছে এবং পুনরায় নতুন করে ঋণ নিচ্ছেন।ব্যাঙ্কে যারা আসছেন তারা লকডাউনের সরকারি নিয়ম মেনে ব্যাঙ্কে আসার সাথে সাথেই স্যানিটাইজার

দিয়ে হাত ধুয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পরে ব্যাঙ্কে প্রবেশ করছেন।বন্ধন ব্যাঙ্কের এসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল ম্যানেজার(রায়গঞ্জ) রবীন্দ্র সরকার বলেন বন্ধন ব্যাঙ্ক সাধারণ মানুষের এবং খেটে খাওয়া মানুষের ব্যাঙ্ক।আমরা সব সময় এই

সমস্ত মানুষের আপদে বিপদে কাজ করে থাকি।তাই আমরা মানুষের এই দুঃসময়ে লোনি মেম্বারদের কোন রকম চাপ সৃষ্টি না করলেও তারা নিজেদের তাগিদে যারা ঋণ পরিশোধ করছেন তাদের বিলম্ব না করে দ্রুত যাতে তারা ঋণ পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করতে সবসময় তৈরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *