স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রফুল্ল চাকির প্ৰপৌত্রী মাধবী তালুকদারের অসহায় অবস্থার কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী দ্রুততার সাথে পদক্ষেপ নিলেন-
1 min readস্বাধীনতা সংগ্রামী প্রফুল্ল চাকির প্ৰপৌত্রী মাধবী তালুকদারের অসহায় অবস্থার কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী দ্রুততার সাথে পদক্ষেপ নিলেন-
তপন চক্রবর্তী-কালিয়াগঞ্জ–উত্তর দিনাজপুর–স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রফুল্ল চাকির প্রপৌত্রী ৯০বছরের বৃদ্ধা গঙ্গারামপুর থানার সামনে ফুটপাতে থেকে অসহায় অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে কাটাচ্ছিলেন।কেও সেভাবে এতদিন খোঁজ খবর নেবার প্রয়োজন মনে করেননি।কিন্তূ কলকাতায় বসে মুখ্যমন্ত্রী স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রফুল্ল চাকির প্রপৌত্রী মাধবী তালুকদারের অসহায় অবস্থ্যার করুন কাহিনীর কথা শোনা মাত্র সেখান থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন অবিলম্বে গঙ্গারামপুরের মাধবী দেবীর পরিবারের সার্বিক সমস্যার সংস্থান সুনিশ্চিত করার সাথে সদর
তাদের বর্তমান অবস্থার উন্নতি করবার নির্দেশ দেন।মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যয়ের নির্দেশ পাওয়া মাত্র মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঙ্গারামপুরের মহকুমা শাসক মানবেন্দ্র দেবনাথের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন সরকারি অধিকসরিকরা গঙ্গারামপুরে মাধবী তালুকদারের ফুটপাতে থাকা গৃহে এসে ৬কেজি চাল,৪কেজি আলু,এক কেজি করে চিড়া,চিনি,পেঁয়াজ,বেশ কিছু বিস্কুটের প্যাকেট,ডাল তার হাতে তুলে দেওয়া হয়।এ ছাড়াও নব্বই বছরের বৃদ্ধা মাধবী দেবীর হাতে ডিসস্টার ম্যানেজমেন্টের কিট,
নগদ ১০০০(এক হাজার টাকা)রান্নার গ্যাসের ব্যবস্থা উজালা স্কীমের মাধ্যমে দেবার ব্যবস্থা করা হয়।মাধবী দেবী যাতে প্রতিমাসে পেনশন পেতে পারে তার ব্যবস্থাও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে করে দেবার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।এছাড়াও যেহেতু মাধবী দেবীর কোন ডিজিটাল রেশন কার্ড নেই তাই তাকে ফুড কুপনের মাধ্যমে রেশন যাতে প্রতিমাসে পেতে পারে তারও ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।এই ঘটনায় গঙ্গারামপুর সহ সমগ্র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আলোড়ন পরে যায়।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যাযের এই মানবিক মুখ দেখে সমগ্র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানুষ মুখ্যমন্ত্রীকে সবাই অভিনন্দন জানায়।সাথে সাথে দেরিতে হলেও জেলা প্রশাসনের তৎপরতার প্রশংসা করে।জেলার মানুষদের একটাই কথা স্বাধীনতা
সংগ্রামী প্রফুল্ল চাকির নাতি এতদিন ধরে গঙ্গারামপুর থানার সামনে ফুটপাতে ভাঙাঘরের মধ্যে অমানুষিক কষ্টের মধ্য দিয়ে দিন কাটালেও জেলা প্রশাসনের কোন হেলদোল ছিলনা।কিন্তূ জেলা প্রশাসন একটু নজর দিলেই মাধবী দেবীকে এভাবে কষ্টের মধ্যে অনন্ত দিন কাটাতে হতনা।জানা যায় মাধুরী দেবীর স্বামী জিতেন তালুকদার অনেক দিন পূর্বেই মারা যান।মাধবী দেবীর তিন সন্তানের মধ্যে বড় সন্তান
গোপাল তালুকদারের মৃত্তুর পর বর্তমানে দুই সন্তান।ছোট সন্তান তার মাধবী দেবীর কাছে থাকলেও মেজ সন্তান বাবলু তালুকদার আলাদা বাসায় থাকে।মাধবী দেবী একটি মন্দিরে সামান্য কিছু টাকা পেয়ে থাকে এবং ছোট ছেলে শাকসব্জির দোকান করে দুজনের কোন ভাবে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটিয়ে আসছে।লকডাউনের কৃপায় গত মঙ্গলবার হতে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কৃপাদৃষ্টির কারনে এখন থেকে হয়তোবা মাধবী দেবী যে কদিন বেঁচে থাকবেন একটু হলেও শান্তিতে দিন কাটাতে পারবেন বলে গঙ্গারামপুরের মানুষরা মনে করছেন।যদিও লকডাউনের জেরে মাধবী দেবীকে কে সবার আগে তার কাছে সাহায্য পৌঁছে দেবে এ নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা যায়।এই প্রতিযোগিতা আগে থাকলে মাধবী দেবীকে নরক যন্ত্রনায় ভুগতে হতনা।