October 23, 2024

কালিয়াগঞ্জে “উত্তর”এর ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক তিনদিনের চিত্র ও ভাস্কর্য প্রদর্শনী-

1 min read

কালিয়াগঞ্জে “উত্তর”এর ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক তিনদিনের চিত্র ও ভাস্কর্য প্রদর্শনী

তপন চক্রবর্তী-কালিয়াগঞ্জ–উত্তর দিনাজপুর–শুক্রবার উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার বিবেকানন্দ উৎসব ভবনে “উত্তরের”পরিচালনায় ও ব্যবস্থাপনায় তিনদিনের জন্য এই প্রথম কালিয়াগঞ্জ শহরে শুরু হল বহিরাগত শিল্পী সমন্বয়ে চিত্র ও ভাস্কর্য প্রদর্শনী।চিত্র ও ভাস্কর্য প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়

অভিনব উপায়ে পর পর তিনটি ফিতে কাটার মধ্য দিয়ে।প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সম্মিলিতভাবে কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক তপন দেবসিংহ,কালিয়াগঞ্জের পৌর পিতা কার্তিক চন্দ্র পাল,উত্তর দিনাজপুর জেলার তথ্য ও সাংস্কৃতিক আধিকারিক রানা দেবদাস এবং কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার উপ-পৌর পিতা বসন্ত রায়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কালিয়াগঞ্জের পৌরপিতা বলেন কালিয়াগঞ্জ শহরের উন্নয়ন শুধু ইট সিমেন্ট দিয়েই আমরা করতে চাইনা।আমরা কালিয়াগঞ্জের সার্বিক উন্নয়নে কালিয়াগঞ্জ শহর যেন ভরিয়ে দিতে পারি।আর তার জন্যই প্রয়োজন শহরের সাংষ্কৃতিক বিকাশ।আজকে কালিয়াগঞ্জের সার্বিক সাংস্কৃতিক বিকাশে আজ এক নুতন অধ্যায় শুরু হল আন্তর্জাতিক চিত্র ও ভাস্কর্য প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে।যা কালিয়াগঞ্জ শহরে এই প্রথম।

পৌর পিতা কার্তিক চন্দ্র পাল উত্তর সংস্থার উদ্যোক্তাদের সাধুবাদ এবং অভিনন্দব জানান।তিনি বলেন এই ধরনের সংস্কৃতির বিকাশের কাজে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা সবসময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক তপন দেবসিং বলেন কালিয়াগঞ্জে এই ধরনের চিত্র ও ভাস্কর্য প্রদর্শনীর উদ্যোগকে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানান।উত্তর দিনাজপুর জেলার তথ্য ও সাংষ্কৃতিক দপ্তরের আধিকারিক রানা দেবদাস বলেন

এই ধরনের চিত্র প্রদর্শনী সাধারণত কলকাতার মত শহরেই হতে দেখা যায়।কালিয়াগঞ্জ পৌর শহরের মত একটি শহরে এই ধরনের উদ্দ্যোগ একটি দুঃসাহসিক পদক্ষেপ।উদ্যোক্তাদের তিনি অভিনন্দন জানান।বক্তব্য রাখেন উপ-পৌরপিতা বসন্ত রায় এবং কালিয়াগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুনীল সাহা।”উত্তর” চিত্র ও ভাস্কর্য সংস্থার সম্পাদক কৃষ্ণ পদ বর্মন তার ভাষণে বলেন এই ধরনের অনুষ্ঠান করবার জন্য অনেক দিন ধরেই প্রস্তুতি নেওয়া চলছিল।

 

আজকের এই চিত্র ও ভাস্কর্য প্রদর্শনীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবার কথা ছিল বাংলাদেশ ও নেপালের বিশিষ্ট চিত্র ও ভাস্কর্য শিল্পীদের।কিন্তু বর্তমানে দেশের সাময়িক একটা পরিস্থিতির জন্য বাইরের দেশ থেকে কোন প্রতিনিধিরা দেশের এই পরিস্থিতি মধ্যে আসতে পারেন নি।কৃষ্ণ পদ বর্মন বলেন এর পরবর্তী সময়ে অবশ্যই তারা আসবেন।

তিনি বলেন মোট ৫৩টি বিশেষ বিশেষ ধরনের উন্নত মানের চিত্র ও ভাস্কর্য প্রদর্শনী দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।যার মধ্যে বাংলাদেশের শিল্পী ও নেপালের চিত্র ও ভাস্কর্য শিল্পীদের ছবি এই প্রদর্শনীতে রয়েছে। প্রতিদিন বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী খোলা থাকবে সর্বসাধরনের জন্য।প্রদর্শনী চলবে আগামী ২৯শে ডিসেম্বর পর্যন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *