October 26, 2024

কৃষি প্রধান উত্তর দিনাজপুর জেলার এবারো পঞ্চায়েত নির্বাচন কে কেন্দ্র করে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে সমস্ত গ্রাম

1 min read

তন্ময়  চক্রবর্তী,  কৃষি প্রধান উত্তর দিনাজপুর জেলার এবারো পঞ্চায়েত নির্বাচন  কে কেন্দ্র করে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে সমস্ত গ্রাম।অন্যবারের মতো এবারো জেলার সমস্ত গ্রামেই সাধারন মানুষদের একটাই আলোচনা এবার কে জিতবে। কারা কাজ করতে পারেনি বিগত দিনে।কারাই বা কাজ করছে গ্রাম উন্নয়নে।সারা বছ র এক সাথে মিলে মিশে থাকলেও এই ভোট উৎসব কে কেন্দ্র  করে যেন গ্রামের সাধারন মানুষ কয়েক  ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে।দেখলে মনে হবে একে ওপরের শত্রু।কারন একটাই কেউ শাসক দলের প্রর্থী  হয়েছেন কেউবা বিরোধী দলের প্রর্থী। তাই প্রর্থীরা  নিজের মতো করে তাদের পছন্দের  মানুষদের তাদের দলের সর্মথক বানিয়ে ভীষন আজ ব্যাস্ত ভোট প্রচারে।
কেউ বা শাসক দলের উন্নয়নের কথা বলছেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে কেউ বা আবার গ্রামের অনুন্নয়নের কথা তুলে ধরে শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রচার করছেন।তবে সকলের একটাই  লক্ষ্য গ্রামের উন্নয়ন কিভাবে করা যাবে। কৃষি প্রধান উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রধান ফসল ধান, পাট, ভূট্টা,পাশাপাশি জেলার বিস্তৃর্ন অঞ্চলের অনেক কৃষকদের আবার প্রধান জীবিকা চা চাষ এর উপর নির্ভরশীল। জেলার একদিনে ২১২ কিমি যেমন বাংলাদেশ   সীমান্ত রয়েছে এর পাশাপাশি রয়েছে জেলা উপর দিয়ে কিছুটা বিহার সীমান্ত।সব মিলিয়ে সৌন্দর্যের বাহারে ঘেরা এই জেলার বৈচিত্র্যই যেন একেবারেই আলদা।চাওয়া পাওয়া,উন্নয়ন ও অনুন্নয়নের হাতিয়ার করে এবারো পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট যুদ্ধে নেমেছে গ্রামের মানুষ। সকলের ই একটাই লক্ষ্য যে করেই হোক তাদের গ্রামের উন্নয়ন ।
 তাই এবারে এই ভোট যুদ্ধ কে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে গ্রামে গ্রামে যেন উৎসবের চেহারা নিয়েছে।প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল তাদের প্রর্থীদের সমর্থনে একদিকে যেমন রংবেরং এর দেওয়াল লিখন ইতিমধ্যে লিখে ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছে তেমন ই হাইটেক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে তারাও রংবেরং এর পোষ্টার ব্যানারে ছয়লাভ করে দিয়েছে  গ্রামের সর্বত্র। সব রাজনৈতিক দল ই তাদের প্রার্থীদের সমর্থনে নানা কায়দায় প্রচারে নেমে মানুষের মন জয় করতেই ব্যাস্ত। প্রতিবারই সারা রাজ্যের মধ্যে নজরকারা জেলা গুলির মধ্যে উত্তর দিনাজপুর জেলা থাকে।
কারন এখানে ভোট যুদ্ধে কিছু না কিছু চমক থাকে। জানা যায়  এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৮ লক্ষ ১১ হাজার  ৭৩৪ জন ভোটদাতা 9 টি পঞ্চায়েত সমিতির ২৮৭ টি পঞ্চায়েত আসনে ১৪৬০ জন প্রর্থী ৯৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬৪৯ টি আসনে ৬৯৬ জন প্রার্থীর এবং ২৬ টি জেলা পরিষধের  আসনে ১৭০ ভাগ্য নির্ধরন করবে।জেলায় এবার বিভিন্ন জায়গায় গ্রামপঞ্চায়েত থেকে পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষধের আসনে ত্রিমূখী লড়াই হচ্ছে।মূলত শাসক দল তৃনমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপি, কংগ্রেস সিপিআইএম জোট এর।এরই মধ্যে অবশ্য জেলার ৯৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েত মধ্যে ১৬৮৯ টি আসনে মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয়ী হয়েছে তৃনমূল কংগ্রেস।
 নয়টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ২৮৭ টি আসনের  মধ্যে ৮ টিতে এবং জেলা পরিষধের ২৬ টি আসনের মধ্যে ৩ টি বিনা প্রতিদ্বনিতায় জয়ী হয় তৃনমূল কংগ্রেস।উত্তর দিনাজপুর জেলার এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেমন তাদের সরকারের বিভিন্ন জনকল্যানকর কাজ গুলি যেমন কন্যাশ্রী,সবুজসাথী,যুবশ্রী,শিল্পী ভাতা,বাংলা আবাস যোজনা, নির্মন বাংলা মিশনের সাফল্য যেমন গ্রামের মানুষের সামনে  তুলে ধরেছেন তেমন ই বিরোধীরা এই জেলায় কোন কলকারখানা না থাকার জন্য বহু মানুষ কাজের সন্ধানে ভিন্ন রাজ্যে চলে যাওয়া টাকে যেমন তুলে ধরছেন প্রচারে তেমন ই শাসক দলের দুর্নিতি থেকে পঞ্চায়েতে ব্যাপক দুর্নিতির পাশাপাশি শাসক দলের সন্তাস কে তুলে ধরে সাধারণ মানুষের কাছে যাচ্ছে।এবারে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে বহু গ্রামে গিয়ে দেখা যায় শাসক দলের প্রর্থীদের অভিনব ভাবে প্রচার করতে।ইটাহারের ২৫ নং আস নের তৃনমূল কংগ্রেসের প্রর্থী পুুজা আর্চায্য এর প্রচারে দেখা গেল তিনি নিজেই গ্রামের মানুষদের সাথে ধামসা মাদল নিয়ে কখনো তিনি বাজাচ্ছেন কখনো বা আবার আদিবাসীদের সাথে নাচ করতে। পাশাপাশি তৃনমূলের আরো অনেক প্রর্থী ই এবার বাড়ি প্রচারে ও ছোটো ছোটো গ্রাম সভা কে প্রধান্য দিচ্ছেন অন্যদিকে বিরোধীরা তারাও বসে নেই সামনে সামনে টক্কর দিতে তারাও কোমর বেধে নেমে পড়েছে জেলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ছোট ছোট সভা মিছিল করে বাড়ি বাড়ি প্রচার করতে। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামবাসীদের মধ্যে কেউ কেউ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজে সন্তোষ প্রকাশ করলেও অনেক আবার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় যারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেল গ্রামের উন্নয়নের পাশাপশি বেকারত্বের সমস্যা তারা মেটাবে কিন্তু প্রতিশ্রুতি প্রতিশ্রুতিই থেকে গেছে .

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *