সুকান্ত অতীত, বঙ্গ BJP-র বিরাট দায়িত্ব পেতে চলেছেন কি এই হেভিওয়েট নেতা ? নাম ফাঁস হতেই তোলপাড়। আজ তিনি এলেন রায়গঞ্জে
1 min readসুকান্ত অতীত, বঙ্গ BJP-র বিরাট দায়িত্ব পেতে চলেছেন কি এই হেভিওয়েট নেতা ? নাম ফাঁস হতেই তোলপাড়। আজ তিনি এলেন রায়গঞ্জে
তন্ময় চক্রবর্তী তাঁর জমানায় বাংলায় দুর্দান্ত ফলাফল করেছিল BJP। উনিশের লোকসভা ভোটে গেরুয়া ঝড়ের সাক্ষী ছিল এই রাজ্য। তবে একুশের বিধানসভা ভোটের পর পাল্টে যায় চিত্র। তবে চব্বিশের ভরাডুবির পর কি ফের দিলীপ ঘোষের কাঁধে গুরুত্বদায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে? ইদানিং তাঁর তৎপরতা দেখার পর শুরু হয়েছে এই জল্পনা।’সরব’ দিলীপকে গত কয়েকদিন ধরে কার্যত ‘নীরব’ দেখা যাচ্ছে। ঝাঁঝালো আক্রমণ তো দূর, সাংবাদিকদের সামনে তেমন কিছু বলতেও দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। আর এরপর থেকেই বেড়েছে জল্পনা। তাহলে কি দিল্লির শীর্ষনেতৃত্ব থেকে বিশেষ কোনও বার্তা পেয়েছেন তিনি?বঙ্গ BJP-র রাজ্য সভাপতি পদে আসীন থাকাকালীন যেমনটা করতে দেখা যেত, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে হারার পরেও তেমনটাই করতে দেখা যাচ্ছে দিলীপকে। দিল্লি থেকে ফেরার পর রাজ্যের নানান জেলায় যাচ্ছেন তিনি। কখনও বর্ধমান, কখনও মুর্শিদাবাদ, কখনও আবার মেদিনীপুরে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। জেলায় জেলায় দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন এই হেভিওয়েট নেতা।দিনকয়েক আগে আবার নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত নেতা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন দিলীপ।
তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাসও দিয়েছেন। এরপর থেকেই দিলীপের কাঁধে গুরুদায়িত্ব তুলে দেওয়ার জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে। এবারের লোকসভা ভোটে বাংলায় আশানুরূপ ফল করতে পারেনি BJP। গতবার ১৮টি আসনে জিতলেও, এবার মাত্র ১২টি আসনে পদ্ম ফোটাতে সক্ষম হয়েছে গেরুয়া শিবির। কেন্দ্র বদলের পর হারের সম্মুখীন হয়েছেন দিলীপও। তবে তা সত্ত্বেও তাঁর কাঁধে বঙ্গ BJP-র গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তুলে দেওয়ার কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে।নির্বাচনে জয়ী হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন বঙ্গ BJP-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পদ্ম শিবিরের ‘এক পদ এক ব্যক্তি’ নীতি যদি মানা হয় তাহলে সুকান্তর রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ানো স্রেফ সময়ের অপেক্ষা মাত্র। তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে কাকে বেছে নেবেন মোদী, শাহ, নাড্ডারা? সুকান্তর প্রাক্তনকেই কি তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নেওয়া হবে? সঠিক সময়েই মিলবে সেই উত্তর।এদিকে আজ উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জে ঝটিকা সফরে এসে বিজেপির রাজ্য নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন বিধানসভার উপনির্বাচনে বেশিরভাগ জায়গায় দেখা যায়, প্রশাসন ও পুলিশকে ব্যবহার করে তৃণমূল কংগ্রেস জিততে চায় এবারও রায়গঞ্জে সেই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে তাই বিজেপি কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন বিজেপি কর্মীরা সব সময় মানুষের পাশে থেকে কাজ করছেন তাই মানুষ অনেক জায়গায় বিজেপিকে জিতিয়েছেন। তবে এবার লোকসভা নির্বাচনে একটু আমাদের ফলাফল খারাপ হয়েছে। আগের বিধানসভা নির্বাচনে আমরা ৪১ শতাংশ ভোট পেলেও এবার ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েছি। দুই শতাংশ ভোট কম পেয়েছে বিজেপি। তাই বলে চুপ হয়ে বসে থাকলে চলবে না মানুষের কাছে যেতে হবে মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। কারণ আপনারাই প্রকৃত যোদ্ধা যাদেরকে দেখে ভোট দেয় সাধারণ মানুষ। ভোটের পর যখন আপনারা দিতে যান তখন দেখবেন এ পার্টির ও পার্টি থেকে অনেক মানুষই আসবে। সেটাও রাজনীতির অঙ্গ।। দিলীপ ঘোষ বলেন বিধানসভা উপনির্বাচনে বড় বড় সভা করে কোন লাভ হয় না ছোট ছোট বুথ কমিটি করে মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে হয় তাহলেই আসল প্রচার হয়। দিলীপবাবু এদিন বলেন ভোটে যেমন সন্ত্রাস করেছে তৃণমূল তেমন ভোটের পরেও সন্ত্রাস করে যাচ্ছে এই তৃণমূল। এখনো অনেক ঘর ছাড়া মানুষ রয়েছে তারা ঘরে ফিরতে পারেনি। তাই বিভিন্ন জায়গায় আমি যাচ্ছি আক্রান্ত মানুষদের পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছি। তিনি রায়গঞ্জ লোকসভায় বিজেপি জেতার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান এদিন। উল্লেখ্য আগামী ১০ই জুলাই রায়গঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন। আর এই নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন মানষ ঘোস। আজ সেই মানষ ঘোষের সমর্থনে ঝটিকা সফরে এসে রায়গঞ্জে একটি কর্মী বৈঠক করলেন দিলীপ ঘোষ।