সংখ্যা লঘুদের নিয়ে তৃণমূলের অহংকার এক বছরের মধ্যেই কলিয়াগঞ্জের গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ সর্বত্রই গেরুয়া ঝরে ধুলিস্যাৎ
1 min readসংখ্যা লঘুদের নিয়ে তৃণমূলের অহংকার এক বছরের মধ্যেই কলিয়াগঞ্জের গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ সর্বত্রই গেরুয়া ঝরে ধুলিস্যাৎ
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,৯ জুন: শাসক দলের একটা বরাবরই অহংকার ছিল সংখ্যা লঘু মানেই শাসক দলের সম্পদ।কথায় কথায় সংখ্যালঘুদের উপমা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল।কিন্তু উত্তর দিনাজপুর জেলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তারা এবার তাদের মত করেই লোক সভার ভোটে অংশ গ্রহন করেছিল । যা পরিষ্কার ভাবেই লোকসভার ভোটে রায়গঞ্জ,কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ করণদীঘিতে প্রভাব পড়েছে। এক বছর পূর্বে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে ফলাফল তৃণমূলের পক্ষে ছিল তার সবকিছুই লোক সভার ভোটে বিজেপির ঝুলিতে পড়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রায়গঞ্জ কালিয়াগঞ্জ ব্লকের তিনটি করে জেলা পরিষদের আসনে তৃণমূল জয়ী হলেও পঞ্চায়েত ভোট যা শাসক দলদের দিয়েছিল সংখ্যা লঘু সম্প্রদায় এবার সেই ভোট গুলিই গেরুয়ার ঝুলিতে ফিরিয়ে দিয়েছে বলে জানা যায়।আটটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত এবার গেরুয়াদের দখলে লোকসভায় চলে গেছে যা শাসক দলের নেতাদের কারো চাকরি বাঁচবে বলে মনেই হয়না। কালিয়াগঞ্জ ব্লকের জেলা পরিষদের সদস্য রামদেব সাহানি,নিতাই বৈশ্য এবং লতা সরকার দেবশর্মার এলাকায় বিজেপির গেরুয়া ঝরের কাছে এক কথায় আত্ম সমর্পণ বলা যায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে মনে হয়েছে এর জন্য একমাত্র দায়ী তৃণমূলের চরম দাম্ভিকতা, অহংকার এবং মানুষকে মানুষ বলে মনে না করাই প্রধান কারণ।
শাসক দলের নেতারা ভেবেই নিয়েছিল শুধু উপড়ে উপড়ে মমতার নাম আর ভেতরে ভেতরে প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করলেই তাদের প্রত্যাশিত ফল পেয়ে যাবে।ঠিক সেই প্রত্যাশিত ফলাফলই শাসক দল পেয়ে গেছে। লোকসভা ভোটের ফলাফল দেখে জানা যায় কালিয়াগঞ্জ ব্লকের অনন্তপুর অঞ্চলে বিজেপি ৩১৩৮ ভোটে, ধন কোল অঞ্চলে ৫১৮১ ভোটে, রাধিকাপুর অঞ্চলে ৩৫৩ ভোটে,বোচাডাঙ্গা অঞ্চলে ৩৩৫৪ ভোটে,বরুণা অঞ্চলে ২২৭২ ভোটে,ভান্ডার অঞ্চলে ৪৮৭৬ ভোটে,মুস্তাফানগরে ৪২৪১ ভোটে গেরুয়া শিবির এগিয়ে থাকে।একমাত্র মলগাঁও অঞ্চলে তৃণমূল দল বিজেপির থেকে ৮৪৮ ভোটে এগিয়ে থাকে। জানা যায় কালিয়াগঞ্জ ব্লক ভিত্তিক ফলাফলে দেখা যায় বিজেপি দল তৃণমূল দলকে পেছনে ফেলে ২২, ৫৭৭ভোটে এগিয়ে থাকার গৌরব অর্জন করে। বিজেপি উত্তর দিনাজপুর জেলার সাধারন সম্পাদক গৌতম বিশ্বাস এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের সংখ্যা লঘু নিয়ে তৃণমূলের অহংকার ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে। যা হওয়ার তাই হয়েছে।তবে তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নিতাই বৈশ্য বলেন হার জিৎতো গণতন্ত্রে থাকবেই।আবার সব ঠিক হয়ে যাবে বলে তার ধারনা।