কালিয়াগঞ্জের মালগাওয়ের কার্পেট বর্তমানে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে মার্কিন মুলুক থেকে আরব দুনিয়াতে পারি দিচ্ছে
1 min readকালিয়াগঞ্জের মালগাওয়ের কার্পেট বর্তমানে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে মার্কিন মুলুক থেকে আরব দুনিয়াতে পারি দিচ্ছে
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,৯ জুন: বেনারসের বেনারসি সকলের ই জানা আছে,কিন্তু পশ্চিমবাংলার কার্পেট বাবুর নাম কি শুনেছেন কেও? না শোনেন নি। এই কার্পেট বাবুটি হলেন মালগাওযের কার্পেটের জনক আবু তাহের।যার হাত ধরে একটি বিশাল গ্রামের নাম মালগাও কার্পেট নগরী বলেই সবার কাছে পরিচিত।মালগাঁওয়ের আবু তাহের তার যৌবন কালে উত্তর প্রদেশে বেড়াতে গিয়ে দেখে ছিলেন কি ভাবে সেখানকার গ্রামের মানুষরা কি ভাবে কার্পেট তৈরির সাথে যুক্ত হয়ে নিশ্চিত রোজগারের ব্যাবস্থা নিজেরাই করতে পেরেছেন।তখন তারও মনে হয়েছিল তিনি যদি এই কার্পেট বানানোর কাজ শিখে নিজের মালগাঁও গ্রামে গিয়ে করতে পারতেন তাহলে তার সাথে সাথে অনেক বেকার মানুষরা গ্রামেই কাজ করে আয়ের পথ করে নিতে পারতেন।
আর তখনি তিনি তার অদম্য জেদকে পাথেয় করে উত্তর প্রদেশের ভদই গ্রামে নিজে কার্পেট বোনা থেকে কার্পেটের যাবতীয় কাজ শিখে নিজের ম্যালগাও গ্রামের বাড়ি বাড়ি কার্পেটের কাজ শেখাতে শুরু করে দেন আবু তাহের সাহেব।বর্তমানেও গ্রামেরথেকে বিদবর্তমানে এই গ্রামের কার্পেট শিল্পকে আরো আধুনিক করে তুলতে বর্তমানে এই আবু তাহেরের দৌলতে গ্রামেই উন্নত মানের কার্পেট তৈরি হচ্ছে। যেখানে গ্রামের মহিলারা কার্পেট তৈরির কাজ শিখে আয়ের পথ সুনিশ্চিত করতে পেরেছে। সম্প্রতি আবু কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় গ্রামে এই কার্পেট শিল্পকে নিয়ে একটি ক্লাস্টার প্রকল্প করার আবেদন করলে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার অনুমোদন করে বলে জানা যায়।
যেখানে প্রচুর গ্রামের মহিলারা কাজ শিখে তৈরি করছে নতুন কার্পেট। আবু তাহের জানান তার এই উদ্যোগের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এই গ্রামের প্রচুর অর্থ খরচ করে একটি ক্লাস্টার প্রকল্প গড়ে তুলেছে । আগামী দিনে আরও বড় ক্লাস্টার প্রকল্প গড়ে উঠতে যাচ্ছে। তিনি বলেন এখন গ্রামের অনেক মহিলার এখন গ্রামে কাজ পাচ্ছে । পাশাপাশি গ্রামের ছেলেরা ও এখানে কাজ করছে। তিনি বলেন তিনি খুবই গর্বিত যে আজ গ্রামের মানুষ গ্রামে বসেই কাজ করছে দুটো পয়সার মুখ দেখতে পাচ্ছেন । আর গ্রামবাসীরা স্বনির্ভর হয়ে উঠেছে। গ্রামের মহিলারা জানান তাদের গ্রামে আগে কাজ না থাকার জন্য তাদের স্বামীরা বাইরে চলে যেত। আজ গ্রামে বসে কার্পেট করার কাজ করার ফলে আজ তাদের আর সংসার চালাতে অসুবিধা হয় না। খুব আনন্দ সহকারে তারা এই কাজ করে চলছে। তাদের স্বামীদের ও আর বাইরে যেতে হচ্ছে না।
সব মিলিয়ে মালগাও শুধু আজ নিছক একটি গ্রাম নয় রাজ্যের কাছে গ্রাম হয়েও কার্পেট নগরীতে পরিণত হয়েছে। আবুতাহের বলেন তাদের মালগাওয়ের কার্পেটের দুটো শোরুম রায়গঞ্জ এবং কালিয়া গঞ্জে করবার জন্য প্রশাসনকে অনেক বার বলা হলেও তাদের কোন সেই উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে তাহের আক্ষেপ করেন।