October 27, 2024

আনা হয়েছে নৌকা উত্তর দিনাজপুরে আগেভাগে বন্যা মোকাবিলায়

1 min read


বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। প্রশাসনিক পর্যায়ে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর, সিভিল ডিফেন্স সহ অন্যান্য লাইন দপ্তরগুলিকে নিয়ে সম্প্রতি বৈঠক হয়েছে। এখনও পর্যন্ত জেলায় তিনটি নৌকা আনা হয়েছে। গত বছরের আগস্ট মাসে জেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে বাসিন্দাদের ব্যাপক দুর্ভোগে পড়তে হয়। সেসময়ে বহু এলাকা সাতদিনেরও বেশি জলবন্দি হয়েছিল। আগাম প্রস্তুতি না থাকার কারণেই দুর্গতদের উদ্ধার করতে গিয়ে প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হয়েছিল। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের ব্যর্থতাকে তুলে ধরে বিরোধীরা সরব হয়েছিল। তাই এবছর জেলা প্রশাসন আগেভাগেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। 


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});



গতবছর চোপড়া, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া, করণদিঘি, রায়গঞ্জ, ইটাহার, কালিয়াগঞ্জ ও হেমতাবাদ ব্লকের কয়েক হাজার মানুষ ভারী বর্ষণে ক্ষতির মুখে পড়েছিল। বন্যা পরিস্থিতির জেরে প্রচুর গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে, জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছিল ইটাহার, রায়গঞ্জ ও কালিয়াগঞ্জ ব্লক। পরিকাঠামোর অভাবের কারণে দুর্গতদের উদ্ধার করতে গিয়ে প্রশাসনকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে উদ্ধার কাজে গতি এলেও প্রচুর মানুষের সম্পত্তি ক্ষয়ক্ষতি হয়। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শীঘ্রই বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর, স্বাস্থ্যদপ্তর, সেচদপ্তর সহ অন্যান্য দপ্তরগুলিকে নিয়ে আবার বৈঠক করা হবে।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মীনা বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা সবরকম প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেচদপ্তরে কিছু প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। সেগুলি অনুমোদন হওয়ায় কাজ চলছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসা হবে। 
ডালখোলা পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের সুভাষ গোস্বামী বলেন, গত বছর বন্যা পরিস্থিতিতে কয়েক হাজার মানুষ সমস্যায় পড়েছিল। দুর্গতদের আশ্রয়ের জন্য আমরা তিনটি ফ্লাড শেল্টার তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। কিন্তু ফান্ড না মেলায় ওই কাজ হল না। তবে জেলা প্রশাসনের বৈঠকে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। 
সিভিল ডিফেন্সের জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়ার সাব অফিসার গৌতম চন্দ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে সম্প্রতি জেলা প্রশাসন বৈঠক করেছে। আরও এক-দু’বার বসা হবে। আমাদের জেলার জন্য তিনটি নৌকা এসেছে। ভারী বর্ষণের উপর নির্ভর করে প্রয়োজন ভিত্তিতে আরও নৌকা আনা হবে। রায়গঞ্জ মহকুমার বিভিন্ন ব্লকের ছেলেমেয়েদের দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য দপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ইসলামপুর মহকুমার ভলান্টিয়ারদের শীঘ্রই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের জেলা আধিকারিক পঙ্কজ তামাং বলেন, আমরা প্রায় ৩০ হাজার ত্রিপল মজুত করেছি। সবরকম প্রস্তুতিই নেওয়া হচ্ছে। 
চাকুলিয়ার বিধায়ক ফরওয়ার্ড ব্লকের আলি ইমরান রমজ ওরফে ভিক্টর বলেন, প্রতিবছরই জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতে নদী সংলগ্ন নিচু অংশের মানুষ বিপাকে পড়ে। চাকুলিয়ার কানকি ও সূর্যাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহানন্দা নদীর পাড়ের মানুষ আটকে পড়ে। তাদের উদ্ধার করার জন্য ব্লক প্রশাসনের কাছে নৌকা থাকে না। দক্ষিণবঙ্গ থেকে নৌকা নিয়ে আসার পরই উদ্ধার কাজ শুরু হয়। জেলার প্রতিটি ব্লকেই নোকা রাখা উচিত। 


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *