October 26, 2024

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রায় ৫৮টি দল কেরালায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে

1 min read
তিরুবনন্তপুরম: ক্যামেরার সামনেই ভেঙে পড়লেন কেরালার চেনগান্নুরের বিধায়ক সাজি চেরিয়ান। কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কেউ বলুন কিছু হেলিকপ্টারের বন্দোবস্ত করতে। না-হলে বহু মানুষ মারা যাবে। আকাশপথে উদ্ধারই একমাত্র পথ।’ তাঁর আশঙ্কা, ইতিমধ্যেই অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে চেনগান্নুরে। সাজির বয়ানে, ‘গরিব মৎস্যজীবীদের থেকে নৌকো ধার করেছি। কিন্তু তাতেও কুলোচ্ছে না। জলস্রোত প্রবল। কিছু নৌকোও ডুবে গিয়েছে। এক প্যাকেট খাবারও পৌঁছয়নি চেনগান্নুরে।’ এই আর্তি শুনেই উদ্ধারের কাজে ছুটে গিয়েছে নৌসেনা। এ দিন সকালে আকাশপথে কেরালার অবস্থা ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পরেই দ্রুত ৫০০ কোটি টাকা অন্তর্বর্তী আর্থিক সাহায্য বরাদ্দ করেন তিনি। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেন তিনি। এর আগে আলাদা ভাবে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
তবে সাম্প্রতিক অতিবর্ষণ ও তার জেরে প্রবল বন্যায় কেরালায় যে ক্ষতির বহর, তার তুলনায় এই ত্রাণ নেহাতই সামান্য। এ নিয়ে হইচই শুরু করে দিয়েছেন বিরোধীরা। তাদের দাবি, কেরালায় সিপিএম ক্ষমতায় থাকায় দুয়োরানির মতো আচরণ করছে কেন্দ্র। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রায় ১০০০০ কিলোমিটার রাস্তাঘাট হয় ভেঙে গিয়েছে, না হয় জলের তলায়। বর্ষণের জেরে ধাক্কা খেয়েছে পর্যটন শিল্পও। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এ দিন ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৩৫৭। এর পরেও বিপর্যয় থামার লক্ষণই নেই। তিরুবনন্তপুরম, কোল্লাম ও কসারাগড় বাদে বাকি ১১টি জেলায় এ দিন নতুন করে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি হয়েছে। পেরিয়ার ও তার শাখানদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় এর্নাকুলাম ও ত্রিশূরের বহু এলাকা জলের তলায়। কেরালার এই অবস্থাকে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ বলে ঘোষণা করার জন্য মোদীকে আর্জি জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
এ মুহূর্তে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রায় ৫৮টি দল কেরালায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। বাহিনীর দাবি, এ পর্যন্ত এটি তাদের সর্ববৃহৎ উদ্ধার অভিযান। ক্যাবিনেট সেক্রেটারি পি কে সিন্‌হার সঙ্গে উদ্ধারকাজ নিয়ে কথা হয় কেরালার মুখ্যসচিবের। কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে কেরালার উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে ৬৭টি হেলিকপ্টার, ২৪টি বিমান, ৫৪৮টি মোটরবোট। এ ছাড়া প্রচুর লাইফজ্যাকেট, বয়া, রেনকোট, গামবুট ইত্যাদি সরঞ্জাম পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বায়ুসেনা, নৌসেনা ও ওএনজিসি-র তরফে আরও পাঁচটি হেলিকপ্টার পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ক্যাবিনেট সেক্রেটারি। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফে খাবার, দুধ, পানীয় জল, ওষুধ ইত্যাদিরও ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। রেল জানিয়েছে, ইরোদ ও মাদুরাই হয়ে তিরুবনন্তপুরম পর্যন্ত ট্রেন চলছে। টেলি-যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্র। বন্যাবিধ্বস্ত অঞ্চলে আপাতত বিনামূল্যে ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে টেলি-যোগাযোগ সংস্থাগুলি।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

এ মুহূর্তে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রায় ৫৮টি দল কেরালায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। বাহিনীর দাবি, এ পর্যন্ত এটি তাদের সর্ববৃহৎ উদ্ধার অভিযান। ক্যাবিনেট সেক্রেটারি পি কে সিন্‌হার সঙ্গে উদ্ধারকাজ নিয়ে কথা হয় কেরালার মুখ্যসচিবের। কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে কেরালার উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে ৬৭টি হেলিকপ্টার, ২৪টি বিমান, ৫৪৮টি মোটরবোট। এ ছাড়া প্রচুর লাইফজ্যাকেট, বয়া, রেনকোট, গামবুট ইত্যাদি সরঞ্জাম পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বায়ুসেনা, নৌসেনা ও ওএনজিসি-র তরফে আরও পাঁচটি হেলিকপ্টার পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ক্যাবিনেট সেক্রেটারি। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফে খাবার, দুধ, পানীয় জল, ওষুধ ইত্যাদিরও ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। রেল জানিয়েছে, ইরোদ ও মাদুরাই হয়ে তিরুবনন্তপুরম পর্যন্ত ট্রেন চলছে। টেলি-যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্র। বন্যাবিধ্বস্ত অঞ্চলে আপাতত বিনামূল্যে ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে টেলি-যোগাযোগ সংস্থাগুলি। 


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

তিরুবনন্তপুরম: ক্যামেরার সামনেই ভেঙে পড়লেন কেরালার চেনগান্নুরের বিধায়ক সাজি চেরিয়ান। কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কেউ বলুন কিছু হেলিকপ্টারের বন্দোবস্ত করতে। না-হলে বহু মানুষ মারা যাবে। আকাশপথে উদ্ধারই একমাত্র পথ।’ তাঁর আশঙ্কা, ইতিমধ্যেই অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে চেনগান্নুরে। সাজির বয়ানে, ‘গরিব মৎস্যজীবীদের থেকে নৌকো ধার করেছি। কিন্তু তাতেও কুলোচ্ছে না। জলস্রোত প্রবল। কিছু নৌকোও ডুবে গিয়েছে। এক প্যাকেট খাবারও পৌঁছয়নি চেনগান্নুরে।’ এই আর্তি শুনেই উদ্ধারের কাজে ছুটে গিয়েছে নৌসেনা। এ দিন সকালে আকাশপথে কেরালার অবস্থা ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পরেই দ্রুত ৫০০ কোটি টাকা অন্তর্বর্তী আর্থিক সাহায্য বরাদ্দ করেন তিনি। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেন তিনি। এর আগে আলাদা ভাবে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

তবে সাম্প্রতিক অতিবর্ষণ ও তার জেরে প্রবল বন্যায় কেরালায় যে ক্ষতির বহর, তার তুলনায় এই ত্রাণ নেহাতই সামান্য। এ নিয়ে হইচই শুরু করে দিয়েছেন বিরোধীরা। তাদের দাবি, কেরালায় সিপিএম ক্ষমতায় থাকায় দুয়োরানির মতো আচরণ করছে কেন্দ্র। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রায় ১০০০০ কিলোমিটার রাস্তাঘাট হয় ভেঙে গিয়েছে, না হয় জলের তলায়। বর্ষণের জেরে ধাক্কা খেয়েছে পর্যটন শিল্পও। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এ দিন ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৩৫৭। এর পরেও বিপর্যয় থামার লক্ষণই নেই। তিরুবনন্তপুরম, কোল্লাম ও কসারাগড় বাদে বাকি ১১টি জেলায় এ দিন নতুন করে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি হয়েছে। পেরিয়ার ও তার শাখানদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় এর্নাকুলাম ও ত্রিশূরের বহু এলাকা জলের তলায়। কেরালার এই অবস্থাকে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ বলে ঘোষণা করার জন্য মোদীকে আর্জি জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *