বৃষ্টির অভাবে কালিয়াগঞ্জে আমন ধান রোপনের কাজ ব্যাহত, চাষীদের মাথায় হাত-
1 min readবৃষ্টির অভাবে কালিয়াগঞ্জে আমন ধান রোপনের কাজ ব্যাহত, চাষীদের মাথায় হাত-
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,৯জুলাই:উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স অঞ্চলে বৃষ্টির দেখা মিললেও উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকে গত বেশ কিছু দিন যাবত বৃষ্টির কোন দেখা না পাওয়ায় আমন চাষীদের মাথায় হাত। চাষীরা মনে করেছিল অন্য সময় বৃষ্টি না হলেও রথের সময় বৃষ্টির দেখা মিলবে। কিন্তূ এবার রথের অনেক আগে থেকে উল্টো রথ পর্যন্ত বৃষ্টির কোন দেখা নেই। পরিবর্তে টাটফাটা রোদ্র যেমন আমন ধানের চাষীদের ভাবিয়ে তুলেছে তেমনি সাথে সাথে অসহ্য দাব দাহের ফলে গরমে মানুষদের নাজেহাল করে তুলেছে। আষাঢ় মাস আমন চাষের মরশুম। বর্ষার কোন নাম গন্ধ নেই। সকাল থেকে সারাদিন খা খা করছে রৌদ্র। অসহ্য গরমে সাধারণ মানুষ ঘরে এবং বাইরে সাধারণ মানুষ কোথাও টিকতে পারছে না।
উত্তরবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাত হলেও উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারনে বৃষ্টির ছিটেফোঁটার দেখা নেই। যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে আমন ধান চাষীদের। আমন ধান চাষীরা কোথাও কোথাও বীজ তলার কাজ এগিয়ে নিয়ে গেলেও।আবার কোথাও কোথাও বীজ তলার কাজ শুরুই করতে পারেনি। সামান্য কিছুদিনের মধ্যেই বীজ তলা থেকে চারা রোপন করতে হবে জমিতে।কিন্তু বৃষ্টির অভাবে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের আমন ধান চাষীরা এখনো পর্যন্ত জমিতে সেই ভাবে মাঠে নামতে পারেনি।কিছু কিছু চাষী যাদের নিজস্ব জলের ব্যাবস্থা আছে তারা কোনভাবেই মাঠে আমন ধান রোপনের কাজ শুরু করে দিয়েছে বলে জানা যায়। বৃষ্টির অভাবের কারনে সারা ব্লকের আমন ধানের জমিতে চাষের কাজ শুরু করতে না পারায় আমন ধান চাষীদের মাথায় হাত।এদিকে বৃষ্টির অভাবে বীজ তলার অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়।কোন কোন জমিতে কৃষকরা সেচের জল দিয়ে কোন রকমে ধানের চারা গুলোকে কোন রকম করে বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়।তবে বেশির ভাগ বীজতলার অবস্থা ফুটিফাটা।
দুই এক দিনের মধ্যে যদি বৃষ্টি না হলে এবারের আমন চাষে যে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের কৃষকরা প্রচন্ড ভাবে মার খাবে তা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়।কালিয়াগঞ্জ ব্লকের আমন ধান চাষীরা কি ভাবে বীজ তলা বাঁচাতে পারবেন সেই চিন্তায় ঘুম কেড়ে নিয়েছে।বেশ কিছু চাষী জানায় আকাশের উপর ভরসা করেই প্রতিবছর আমরা আমন ধান চাষ করে থাকি।আকাশে মাঝে মধ্যে মেঘের দেখা মিললে বুকে জল আসে। কিন্তু আকাশে কোন কোন সময় মেঘের দেখা মিললেও জলের দেখা কোন ভাবেই মিলছে না।শনিবার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা মৌমিতা ঘোষ এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন এই সময় সাধারণত কৃষকরা জমিতেই পড়ে থাকে আমন ধানের চাষের কারণে। কিন্তু এবার বৃষ্টির দেখা না থাকার কারনে কৃষকরা অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক কারনেই।তিনি বলেন যদি এর মধ্যে বৃষ্টি না হয় অথচ বীজ তলায় ধানের চারা বড় হয়ে গেছে সেই সব ক্ষেত্রে চাষীদের জমিতে পাতলা জল দিয়ে বীজ তলার বড় চারা গাছ গুলো রোপন করে দিতে হবে।ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা মৌমিতা ঘোষ বলেন চাষীদের আতঙ্কের কোন কারণ নেই। আমরা সবসময় চাষীদের পাশেই আছি।তিনি বলেন সময় হাতে আছে।চিন্তার কোন কারন নেই। সহ কৃষি অধিকর্তা মৌমিতা ঘোষএক প্রশ্নের উত্তরে বলেন এবার কালিয়াগঞ্জ ব্লকে মোট ১৯ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হবার কথা আছে বলে জানান।