কালিয়াগঞ্জ সুচেতা কলাকেন্দ্রের উদ্দ্যোগে ভারত-বাঙলাদেশ সীমান্তের সুকানদীঘি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮৫জন কচিকাঁচাদের শীত বস্ত্র প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান–
1 min readকালিয়াগঞ্জ সুচেতা কলাকেন্দ্রের উদ্দ্যোগে ভারত-বাঙলাদেশ সীমান্তের সুকানদীঘি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮৫জন কচিকাঁচাদের শীত বস্ত্র প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-–
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,৩০ডিসেম্বর: উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ শহরের সুচেতা কলাকেন্দ্র এ’বছরেও পূর্বের মত তাদের সামাজিক কর্মকাণ্ডে বিরত না থেকে সমাজের বিভিন্ন রকমের সামাজিক পরিষেবা সাধ্যমত দিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার কালিয়াগঞ্জ ব্লকেরই ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শুকানদীঘি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ৮৫ জন ছাত্রছাত্রীদের শীতবস্ত্র তুলে দেয়।বিশিষ্ট শিক্ষক তথা বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ডঃ তামস রঞ্জন বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উক্ত সংস্থার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ভ’রে ওঠে কচিকাঁচাদের কলরবের মধ্য দিয়ে।
বিদ্যালয়ের ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীদেরও সংগীত পরিবেশন, নৃত্য পরিবেশন ও আবৃত্তি পরিবেশনও যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রী মোহন চন্দ্র রায়ের সাথে সহশিক্ষক বিশ্বরূপ কুন্ডু ও বাকি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় দুপুর বারোটা থেকে প্রায় সাড়েতিনটে পর্যন্ত অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে চলতে থাকে বিভিন্ন শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের শীতবস্ত্র সাথে ফল ও লজেন্স বিতরণ।
কালিয়াগঞ্জ সুচেতা কালকেন্দ্র-র পক্ষে বিভিন্ন কর্মকর্তা ও সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমতি আঁখি ব্যানার্জী, অনিন্দিতা বিশ্বাস স্বর, দেবশ্রী রায়, অর্পিতা দে, শ্বেতা দাস বিশ্বাস, শ্রী সুব্রত স্বর,সৌমেশ লাহিড়ী, অনুপ সরকার, সম্রাট দে ও শিশুশিল্পী অনুরাগ সরকার, শিবরঞ্জনী ও শ্রুতিরঞ্জনী ব্যানার্জী।
প্রত্যেক সদস্য নিজেদের উপস্থানায় সংস্কৃতিমুখর করে তোলেন এ দিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ। সংস্থার পক্ষে বক্তব্য রাখেন সদস্য শ্রী অনুপ সরকার ও বিদ্যালয় নিয়ে স্বরচিত ছড়া পাঠ করেন কবি সম্রাট দে। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ডঃ তামস রঞ্জন বন্দোপাধ্যায়ের পরিবেশিত গান অনুষ্ঠানকে আলাদা মাত্রায় পৌঁছে দেয়।
সবশেষে বলাই যায় বর্ষ শেষে এক কথায় ৩০শে ডিসেম্বর শুকানদীঘি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় জমে উঠেছিল কালিয়াগঞ্জ সুচেতা কলাকেন্দ্রর শীতবস্ত্র প্রদান ও মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে।