October 24, 2024

ওদের সমস্যা শোনার কেউ নেই ,তাই এবার ওরা ভোট দিবে না জানাল কালিয়াগঞ্জের রেল স্টেশনের পাশে ঝুপড়ি বাসীন্দারাই

1 min read

   
তন্ময়  চক্রবত্তী ঃ- ওদের  সমস্যা শোনার কেউ নেই , ভোট এলেই  তাদের কাছে  যায় নেতারা ,তাই এবার ভোট  দিব না বললেন কালিয়াগঞ্জের রেল স্টেশনের পাশে ঝুপড়ি বাসীন্দারা ।  ওদের কারো নিজস্ব 
ঘর নেই ,ওরা থাকে এক চিলতে কোন রকমে 
ঝুপড়ি ঘরে । 

অন্যের জায়গায় কারন তাদের একটাই পরিচয় তারা ঝুপড়ি বাসীওদের 
বলার অনেক আছে কিন্তু তাদের কথা শুনবার কোন লোক নেই কারন তারা ঝুপরিবাসীদিনগত পাঁপক্ষয় করে কোন রকমে তারা হাজার সমস্যার মধ্যে বসবাস করছে অথচ তাদের সমস্যার সমাধানে কোন সরকার তাদের দিকে দেখছে না,  কারন তারা ঝুপরি বাসী

হ্যা আমি যাদের কথা বলছি তারা হল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের রেল স্টেশনের পাশে ঝুপড়ি বাসীদের কথাভোট প্রতিবার আসে আর  যায়  কিন্তু  তাদের জীবনের কোন পরিবতন এর ছোয়া লাগে নিতারা আগেও যে অবস্থায় ছিল আজ এক অবস্থায় আছেশুধুমাত্র ভোট আসলেই সেই  ময়  তাদের কথা মনে 
পরে যায় ভোট নেওয়ার গন দেবতাদের

আর তখন সশরীরে হাজির হয়ে সেই সব গনদেবতারা 
সেই সমস্ত ঝুপরির বাসিন্দাদের কাছেতখন 
ঝুপরির বাসিন্দাদের কেউ কেউ হয়ে যান সেই সমস্ত ভোট নেওয়ার গনদেবতাদের কাছে কেউ পিসিমা,কেউবা দিদিমা,কেউ কাকিমা কেউ দিদিআর সেই সুযোগে ভোট নেওয়ার গনদেবতারা নানান রকম ছলেবলে  তাদের ভুলিয়ে ভালিয়ে 
তাদের পক্ষ্যে ভোট নিয়ে নেনআর ওর বিনিময়ে গনদেবতাদের  মুখের সেই ফাঁকা প্রতিশ্রুতি সব হয়ে  যাবে বলেও  দেন। যে তারা জয়ী হলে  তাদের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে নিমিষের মধ্যে  

আর কোন সমস্যা  থাকবে নাপেয়ে 
যাবে 
তারা তাদের নিজস্ব জায়গা,নিজস্ব ঘর, শৌচাগার থেকে থেকে আরো অনেক কিছুকিন্তু ভোট শেষ হয়ে 
যাওয়া মাত্র  আস্তে আস্তে সব কিছুই আবার ফিকে হয়ে যায় । 


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

কালিয়াগঞ্জ   পৌরসভার 
ঢিল ছোরা দূরত্বে তারা বসবাস করে আসছে। 
অথচ কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা তাদের সমস্যার সমাধানে  এখনও  অবধি তাদের সমস্যা সমাধানের  ব্যাপারে তারা কোন  উদ্যোগ নেয় নি 
বলে আক্ষেপের  সাথে বললেন  ঝুপড়ির বাসিন্দারা।তারা বলেন আজ সব কিছু দিক
থেকে তারা বঞ্চিত হয়ে আসছেন।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});



(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

 অথছ ভোটের  আর
পাচজনের মত তারাও ভোট  দেন। তারা বলেন রেশন
থেকে যে চাল তাদের কে  দেওয়া হয়  সেই চাল তারা খেতে পারেন না বাধ্য  হয়ে ডিলারের 
কাছে বিক্রি  করে  দেন । শুধু তাই নয় তাদের এখানে বানানো হয় নি
এখনো পর্যন্ত শৌচাগার সরকারিভাবেতাই বাধ্য হয়ে ঝুপড়ি বাসিন্দাদের কখনো রেল লাইনের ধারে প্রাত;ক্রিয়া  করতে  হয়। শুধু তাই নয় এলাকায় সব সময় নোংরা পরিবেশ
থাকার ফলে এলাকার বাসিন্দাদের বিভিন্ন রোগের শিকার হতে হয় তবে তারা জানান মাঝে মাঝে
পৌরসভা থেকে সাফাই কর্মীরা আসলেও নিয়মিত তাদের দেখা মেলে না সেখানে সাফাই করতে ।   


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

এদিকে যাদের নিজস্ব কোনো বাসস্থান নেই, অন্যের জায়গায় বিশেষ করে সরকারি খাস জমিতে অস্থায়ীভাবে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করে তারাই মূলত বস্তিবাসী রেললাইনের পাশে  ধারে অস্থায়ী ছোট ছোট ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে ঝড়বৃষ্টি মাথায় নিয়ে অতি কষ্টে তারা জীবনযাপন করেন সারা বছর তাদের কেউ কোনো খোঁজখবর না নিলেও ইলেকশন এলেই তাদের কদর বেড়ে যায় 

ভোটের বিনিময়ে তাদের নেতারা অনেক সুখের স্বপ্ন দেখান এমনকি অট্টালিকা গড়ে দেয়ার স্বপ্নও দেখান অনেক নেতারা তবে ভোট চলে গেলে বস্তিবাসীদের কথা সবাই বেমালুম ভুলে যান তাদের চাওয়া বেশি কিছু না, অযৌক্তিকও না তারা একটু বসবাস করার জায়গা চান পরিবারপরিজন নিয়ে একটু শান্তিতে থাকতে চান কিন্তু সরকারের কাছে  তাদের আওয়াজ পৌঁছায় না তারাই  যে বস্তিবাসি কথায় বলে অভাগা যেখানে যায় সাগর শুকিয়ে যায় বস্তিবাসীরা মৌলিক সব সেবা থেকে বঞ্চিত যেখানে অসহায়, নিপিড়িত মানুষের সংখ্যা বেশি, সাহায্যসহযোগিতা সেখানেই বেশি হওয়ার কথা থাকলেও বস্তিবাসীদের ক্ষেত্রে ঠিক তার উল্টো মানুষের আবাসস্থল বস্তিতে সেখানে নেই কোনো গ্যাস, বিদ্যুৎ বিশুদ্ধ খাবার পানিয় জলের
 ব্যবস্থা মূলত সারা দেশের ভূমিহারা, বেকার, জলবায়ু দুর্গতরাই বিভিন্ন নগরীর বস্তিগুলোতে জীবিকার তাগিদে আশ্রয় নিয়ে থাকেন কিন্তু বস্তিতে বসবাস করার কারণে জল, টয়লেট, চিকিৎসা, শিক্ষা নিরাপত্তা কার্যক্রমের বাইরে পড়ে যায়  মূলত অবহেলা থেকেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয় আর পুঞ্জিভূত ক্ষোভ থেকে হতাশার সৃষ্টি হয় এবং হতাশা থেকেই মানুষ বিপথে চলে যায় পরিণামে সবচেয়ে বেশি ভোগে নারী শিশুরা তাদের স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা  নেই বললেই চলেস্বল্প মজুরিতে কাজ করতে হয় বলে ভালো আবাসন জোটেনি তাদের জন্ম থেকেই অবহেলিত বস্তিবাসীরা বস্তিতে শিক্ষাস্বাস্থ্যসহ ন্যূনতম জীবনমানও নেই সরকারি সেবা কর্মসূচিতে মোটামুটি স্থায়ী নিবাসী নির্দিষ্ট শ্রেণিবর্গের সুবিধার দিকে লক্ষ্য রাখা হয় বেসরকারি সংস্থাগুলো সেদিকেই মনোযোগী হয়তোবা বস্তিবাসীদের জন্যে লক্ষ্যভিত্তিক কর্মসূচি নিয়ে কৃতিত্বের পরিসংখ্যান জনসমক্ষে হাজির করতে সমস্যা হয় কিন্তু নিজেদের প্রচারণা বাদ দিয়ে সেবার দৃষ্টিতে দেখলে সরকারি বা বেসরকারি সংস্থাগুলোর উচিৎ বস্তিবাসীদের নিয়ে বাস্তব সেবামূলক উন্নয়নমূলক কাজের  উদ্ভাবন করা বস্তিগুলোতে অনুসন্ধান চালিয়ে যে তথ্য উঠে 
আসছে
তা বস্তির জীবন মানের মৌলিক ক্ষেত্রগুলোতে গুরুতর সমস্যা রয়েছে এবং তা মেটাতে এগিয়ে আসছে না সরকারি বেসরকারি কোনো সংস্থা  তখনই দেখা দিচ্ছে ঠিক যেন প্রদীপের নিচে গাঢ় অন্ধকারবিপুলসংখ্যক বস্তিবাসীদের এড়িয়ে সরকারিবেসরকারি কর্মসূচির সার্বিক উন্নয়ন অসম্ভব দরিদ্র মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা পেট্রল বোমার চেয়েও ভয়ঙ্কর, যা যেকোনো সময় বিস্ফোরিত হতে পারে  কিন্তু কথা হচ্ছে, কেন কাজ হচ্ছে না, বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে, অর্থায়ন হচ্ছে শুধু প্রকল্পের বাস্তবায়ন হচ্ছে না কারা লুটেপুটে খাচ্ছে বস্তিবাসীদের টাকা এর জবাব সংশ্লিষ্টদেরই দিতে হবে বলে  বস্তিবাসীরা জানান এই প্রতিবেদক কে ।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *