October 28, 2024

তৃণমূলে আমি নোংরা রাজনীতির শিকার হয়েছি , বিজেপিতে যোগ দিয়ে বললেন কালিয়াগঞ্জ এর উন্নয়নের কান্ডারী কার্তিক চন্দ্র পাল

1 min read

তৃণমূলে আমি নোংরা রাজনীতির শিকার হয়েছি ,বিজেপিতে যোগ দিয়ে বললেন কালিয়াগঞ্জ এর উন্নয়নের কান্ডারী কার্তিক চন্দ্র পাল 

তনময় চক্রবর্তী  পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরিবার বিজেপি পরিবার। সেই পরিবারে আজকে আমি যোগদান দিতে পেরে নিজেকে আমি ধন্য মনে করছি। সম্প্রতি মেদিনীপুরে বিজেপির মেগা যোগদান সভায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে কালিয়াগঞ্জে ফিরে আসার পর এমনই মন্তব্য করলেন কালিয়াগঞ্জ শহরের উন্নয়নের কান্ডারী বলে পরিচিত প্রাক্তন কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও প্রাক্তন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল। তিনি বলেন আমি একটি রাজনৈতিক দলে ছিলাম কিন্তু সেখানে আমাকে বারে বারে বারে বারে বিভিন্নভাবে চাপিয়ে দেওয়া হছিল ।  সেই জায়গাটায় আমার নিজের  যেমন  সম্মান নষ্ট   হয়েছে  ঠিক তেমনি তৃণমূলের যিনি বিধায়ক তিনি গত বিধানসভা উপ নির্বাচনে সাত দফা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কালিয়াগঞ্জ বাসিকে। 

সেই সাত দফা প্রতিশ্রুতির মধ্যে প্রথম প্রতিশ্রুতি ছিল কালিয়াগঞ্জ এর হাসপাতালকে আড়াইশো বেডের হাসপাতাল করা।  দীর্ঘ এক বছর অতিক্রান্ত।কিন্তু বিধায়ক তার সাত দফার প্রতিশ্রুতির একটিও পালন করতে পারেনি। এবং তার সাথে আবার আমাদের সামনে আরেকটি নির্বাচন চলে আসছে। আমার মানুষের কাছে যাব কি নিয়ে ?  কালিয়াগঞ্জের যে উন্নয়ন হয়েছে পৌরসভার উদ্যোগে সেই উন্নয়নের  আমার যে ইঞ্জিন। আমিতো শুধু একটি বগি মাত্র। সেই ইঞ্জিন আমার ছিল পথপ্রদর্শক সেই শুভেন্দু অধিকারী।  তিনি যখন নিজে  সিদ্ধান্ত নিলেন এখান থেকে  বড় পরিবার বিজেপি পরিবারে যাবেন তখন কালিয়াগঞ্জ এর উন্নয়নের কথা ভেবে আমিও তার সাথে যোগ দিই সেই মেদিনীপুরে বিজেপির মেগা যোগদান সভায়।

কার্তিক বাবু আরো বলেন, কালিয়াগঞ্জ এর উন্নয়নের যে কাজগুলো হয়ে গেছে পৌরসভার উদ্যোগে সেগুলো প্রায় শেষের দিকে । মাঝে কিছু নোংরা রাজনীতি হয়েছে। তিনি বলেন কালিয়াগঞ্জ এর বাস স্ট্যান্ড দীর্ঘদিন ধরে সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। আর সেই বাসস্ট্যান্ডে আপনারা সকলেই দেখেছেন সেখানে প্যান্ডেল করা হয়েছিল বাসস্ট্যান্ডের উদ্বোধন করার জন্য। আর সেই বাসস্ট্যান্ডের উদ্বোধক ছিলেন তৎকালীন পরিবহন মন্ত্রী মাননীয় শ্রী শুভেন্দু অধিকারী।

যেকোনো রাজনৈতিক কারণে তাকে ছোট করার জন্য এবং আমাকে ছোট করার জন্য বাস স্ট্যান্ড কিন্তু উদ্বোধন হলো না। বঞ্চিত থেকে গেল কালিয়াগঞ্জে সাধারন মানুষ। তিনি বলেন এখন থানার সামনে যে টেম্পোরারি বাসস্ট্যান্ডে রয়েছে সেখানে অসংখ্য মা-বোনেরা কঠোর শীতের মধ্যে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকেন বাস ধরার জন্য।  অথচ স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি বাস স্ট্যান্ড তৈরি হয়ে উদ্বোধন হলো না নোংরা রাজনীতির জন্য । নিজেদের মধ্যে এত বঞ্চনা ও নোংরা রাজনীতি হবে কেন ? 

কাত্তিক পাল বলেন, বর্তমানে যে কালিয়াগঞ্জ এর উন্নয়ন হয়েছে আগামী দিনে এর চেয়ে আরো অনেক বেশি উন্নয়ন হবে।  কারণ আগামী দিনের নতুন সরকার রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে বিজেপি র নেতৃত্বে। যে সরকারের প্রথম লক্ষ হবে কালিয়াগঞ্জ বাসির শহর কিংবা গ্রামের সবচেয়ে বড় যেটা চাহিদা বড় একটি হাসপাতাল এখানে হবে। সেই আশা গুলো রয়েছে। এবং ইতিমধ্যে এর জন্য বিজেপি উচ্চ স্তরের নেতাদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে ।

ইতিমধ্যে।কার্তিক বাবু বলেন আগামী দিনে কালিয়াগঞ্জ কে  কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যাবে সে ব্যাপারে কালিয়াগঞ্জ এর  বিজেপি শহর মন্ডল সভাপতি ভবানী বাবুর সঙ্গে এবং জেলা বিজেপির সভাপতি সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তা ঠিক করা হবে। সম্প্রতি যোগ দেওয়া তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা কার্তিক বাবু আরো বলেন এখন আর নতুন করে কোন কাজ করতে পারবে না তৃণমূল সরকার কারণ ওরা তো এখন বেতন দিতেই ব্যস্ত কাজ কি করে হবে আর।

তিনি বলেন যে কাজগুলো এখন অসমাপ্ত হয়ে রয়েছে কালিয়াগঞ্জ শহরের । যদি দেখি কোথাও এই কাজগুলো করতে অনিয়ম হচ্ছে সে ক্ষেত্রে জেলা সভাপতি বিজেপির এবং এবং কালিয়াগঞ্জ শহর মন্ডলের সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে আগামী দিনে তার আন্দোলনের রূপরেখা  তৈরি করবেন। তিনি বলেন আমি কোন পদ বা মোহ তে আসিনি ।  তিনি বলেন তার মনের বিশ্বাস ভারতবর্ষের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি যেভাবে গোটা ভারত বর্ষ কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আমার বিশ্বাস আগামী দিনে কালিয়াগঞ্জ এর সমস্ত আশা পূরণ হবে।

কার্তিক বাবু বলেন কালিয়াগঞ্জ বাসি বহুদিন ধরে বঞ্চনার শিকার। এখানে তো বড় বড় স্টার জন্ম নিয়েছিল। কিন্তু কালিয়াগঞ্জ কে কোনদিনও কেউ তাকিয়েও দেখেনি। আমরা শুধু নোংরা রাজনীতির শিকার হয়ে গিয়েছি। কালিয়াগঞ্জ সেই অন্ধকারে রয়েছে। আগামী দিনে কালিয়াগঞ্জ বাঁশির সবচেয়ে বড় যে আশা। যে আশাগুলো দেখিয়েছিলেন অনেকেই। আমরা সেই আশা গুলো পূরণ করব।তিনি পরিশেষে বলেন আমি পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ পরিবার এসেছি। দল যেভাবে নির্দেশ দিবে আমি সেইভাবে কাজ করব দলের একজন অনুগত সৈনিক হিসেবে। 

এদিকে তৃণমূলের কার্তিক পাল রেখে গেলেন কিছু স্মৃতি। দিয়ে গেলেন অনেক কিছু ।পরিবর্তে তৃণমূল দলের তরফে পেলেন নোংরা রাজনীতির উপহার।  রাজনীতিতে অনেক কিছুই সম্ভব সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। যা কোনদিনও চিন্তাও করতে পারেনি মানুষ তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাস্তব রুপ ধারণ করতে পারে সেটাও প্রমাণ পেয়ে যায় সাধারণ মানুষ অনেক সময়। আর সেরকমই প্রমাণ পেয়ে গেল শুধু তাই নয় সাক্ষী থাকল কালিয়াগঞ্জ বাসী কালিয়াগঞ্জে রাজনীতির আঙিনায় তৃণমূলের দুরন্ত এক নেতার ঐতিহাসিক পট পরিবর্তনের।

কালিয়াগঞ্জ এর উন্নয়নের কান্ডারী বলে পরিচিত সেই কার্তিক চন্দ্র পাল  মা-মাটি-মানুষের উপর থেকে আলবিদা জানিয়ে রাজনীতির আঙিনায় গেরুয়া শিবিরে প্রবল বেগে যোগ দিলেন মেদিনীপুরের মাটিতে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে অমিত শাহের উপস্থিতিতে। যা রাজনীতিতে ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে দিয়েছে বিশেষ করে সমগ্র উত্তর দিনাজপুর জেলা সহ কালিয়াগঞ্জ শহরে। তবে তৃণমূল দল ছেড়ে যাওয়ার আগে কালিয়াগঞ্জ বাসীর জন্য তিনি অনেক কিছুই দিয়ে  গেলেন তার হাত ধরে শহরের উন্নয়নের চিত্র। বলা যেতে পারে ৩০  বছরের পিছিয়ে পড়া শহর কালিয়াগঞ্জ কে গত তিন বছরে তিনি আমূল পরিবর্তন করে দিয়ে ।

তবে তার এই উন্নয়নে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যার অবদান রয়েছে তিনি হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। যার হাত ধরে তিনি কালিয়াগঞ্জ শহরের পৌরসভার উদ্যোগে ইতিমধ্যে তৈরি করে দিয়েছিলেন আধুনিক বাস স্ট্যান্ড, কালিয়াগঞ্জ এর দ্বিতীয় বৃন্দাবন ধাম বলে পরিচিত মহেন্দ্রগঞ্জ না ট মন্দিরের সৌন্দর্যায়ন ,বিনোদন পার্ক, উচ্চ বাতিস্তম্ভ আলোকসজ্জায় সজ্জিত কালিয়াগঞ্জ শহর, আধুনিক স্টেডিয়াম যেমন তেমন ভাবে  তারই উদ্যোগে কালিয়াগঞ্জ এর তিস্তা তে শুরু হয়েছিল টাউন হল নির্মাণের কাজও। 

 আজ থেকে তিন বছর আগে যখন দলবদল করে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন কার্তিক চন্দ্র পাল। সেই সময় তিনি শহরের মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন শহরের উন্নয়নে খোল নলচে পাল্টে দেবেন। আর যখন তিনি দল ছাড়লেন গোষ্ঠী কোন্দলের শিকার হয়ে ঠিক তখন কার্তিক বাবু যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি গুলো দিয়েছিলেন শহরবাসীর জন্য তার প্রায় সবকটাই বাস্তবায়ন করে তিনি শহরবাসীকে দেখিয়ে দিলেন হাম কিসিসে কম নেহি।

কার্তিক পাল জানান তিনি গোষ্ঠী কোন্দল এর শিকার হয়েছেন। আজ যখন শহরের উন্নয়নে  তিনি প্রায় সবগুলো পূরণ করে দিয়েছেন ঠিক সে সময় কালিয়াগঞ্জ তৃণমূল নেতৃত্ব তার সঙ্গে খুবই খারাপ ব্যবহার করছিল বেশ কয়েক মাস ধরে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে  যে মিটিংগুলো দলের তরফে হচ্ছিল সেগুলো তো তাকে ডাকা হচ্ছিল না।

এছাড়া দলীয় পার্টি অফিসে তাকে ছাড়াই সব মিটিং করত  দলীয় নেতৃত্ব। সব সময় তৃণমূলের দলীয় নেতৃত্ব তার উপর আগ্রাসী মনোভাব দেখাতো। আজ এই কারণে তিনি দলবদল করে এবং আগামী দিনে কালিয়াগঞ্জ এর উন্নয়নে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির উপর আস্থা রেখে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে কার্তিক বাবু জানান।সোমবার সকালে বিজেপির জেলা নেতৃত্বের সাথে দেখা করতে রায়গঞ্জে আসেন কার্তিক পাল। জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীর সাথে দীর্ঘক্ষণ সংগঠন নিয়ে কথাবার্তা বলেন তিনি।এরপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কার্তিক পাল। কেন তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন ? 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *