‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরবর্তী প্রজন্মে শুভেন্দু তৃণমূলের সব থেকে বড় নেতা , সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ নেতা বললেন তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল
1 min read‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরবর্তী প্রজন্মে শুভেন্দু তৃণমূলের সব থেকে বড় নেতা , সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ নেতা বললেন তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল
শুভেন্দু অধিকারী এখনও দল ছাড়েননি। শুধু মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মাত্র। এ হেন পরিস্থিতি দলীয় তরফে তৃণমূল যখন মেপে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে, তখন শাসক দলের এক বিধায়ক যেন অস্বস্তিটা আরও বাড়িয়ে দিলেন। তিনি উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। শনিবার প্রবীরবাবু কোনও দ্বিধাদ্বন্দ্ব না রেখে বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরবর্তী প্রজন্মে শুভেন্দু তৃণমূলের সব থেকে বড় নেতা। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ নেতা। এটা বাস্তব, এটা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই’। প্রবীরবাবু আরও বলেন, ‘বিধানসভা ভোটের মুখে শুভেন্দু দল ছেড়ে গেলে বড় ক্ষতি হবে।
তা ছাড়া সত্যি কথা বলতে কি, শুভেন্দুর দলের মধ্যে অনেক ফলোয়ার রয়েছে। দলের মধ্যে রয়েছে। দলের বাইরে রয়েছে।’ দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেছেন প্রবীরবাবু। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে প্রতিটা মুহূর্ত তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন তা নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটা ওঠাপড়ার নিবিড় পর্যবেক্ষক ছিলেন তিনি। সাংবাদিক হিসাবে প্রথমে কংগ্রেস বিট কভার করতেন প্রবীরবাবু, পরে কংগ্রেস-তৃণমূল দুই দলকেই কভার করেছেন। তাই কাঁথির বর্তমান সাংসদ শিশির অধিকারী রাজনৈতিক প্রভাব ও শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তাঁর অজানা নয়। প্রবীর ঘোষালের পর্যবেক্ষণ এই কারণেই তাত্পর্যপূর্ণ। কারণ, তাঁর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ অনেকের থেকে তীক্ষ্ণ হওয়ার কথা। কিন্তু প্রবীরবাবুর এই মত, শাসক দলের সবার যে পছন্দ হচ্ছে না তাও টের পাওয়া গিয়েছে এদিন। প্রবীর ঘোষাল হুগলির উত্তরপাড়ার বিধায়ক। আর সেই হুগলি জেলারই শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগে নাম না করে শুভেন্দুর তীব্র সমালোচনা করেছেন। এবং ঘটনা হল, হুগলি রিভারব্রিজ কমিশনের চেয়ারম্যান পদে থেকে শুভেন্দু ইস্তফা দেওয়ার পর সেই কল্যাণকে চেয়ারম্যান করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তা নয়, ৭ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে তৃণমূলনেত্রীর সভার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। যা দেখে অনেকে মনে করছেন, শুভেন্দু দল ছাড়তে পারে ধরে নিয়ে তাঁর ঘরের মাঠেই তাঁকে চ্যালেঞ্জ ছোড়ার আয়োজন চলছে। এই অবস্থায় প্রবীরবাবুর বক্তব্যে যেমন শাসক দলের একাংশ অসন্তুষ্ট, তেমনই উচ্ছ্বসিত শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা। মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর কাল রবিবার ফের অরাজনৈতিক সভা রয়েছে শুভেন্দুর। প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী রণজিত্ কুমার বয়ালের স্মরণসভায় যোগ দেবেন তিনি। মহিষাদলের ছোলা বাড়িতে সেই সভার প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। অনেকে মনে করছেন, মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফার পর কাল হয়তো ইঙ্গিতপূর্ণই কিছু বলবেন শুভেন্দু। তবে তাঁর অনুগামীরা মনে করছেন, দলে থেকে দলের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলবেন না শুভেন্দু। অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে রাজনৈতিক কথাও হয়তো বলবেন না। তা বলতে হলে রাজনৈতিক মঞ্চ থেকেই বলবেন।