October 28, 2024

তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিলেন প্রশান্ত কিশোর

1 min read

তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিলেন প্রশান্ত কিশোর

তৃণমূলের ভোট ম্যানেজার প্রশান্ত কিশোর। সরাসরি তাঁর সঙ্গে দলের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক থাকার কথা নয়। দলের তরফে বহুবার একথা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে যে তিনি দল পরিচালনার কাজে বিন্দুমাত্র হস্তক্ষেপ করেন না। এটা তাঁর অধিকারের মধ্যে পড়ে না। তবুও তৃণমূলের একশ্রেণির নেতা-মন্ত্রীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রশান্ত কিশোরকে নিশানা করছেন বলে তৃণমূলের অভিযোগ। কিন্তু শনিবার যা ঘটল তা নিয়ে তৃণমূল কি জবাব দেবে, সে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জরুরি ভিত্তিতে তলব করেছিলেন মালদা জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে। সেইমতো কলকাতায় আসেন কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, জেলা সভাধিপতি গৌর চন্দ্র মণ্ডল, জেলা নেতা দুলাল সরকার, বাবলা সরকার প্রমুখ।সেই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় ক্যামাক স্ট্রীট এর কাছে অভিষেকের একটি অফিসে। কিন্তু তৃণমূল সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রশান্ত কিশোর।

 

অথচ বৈঠকের পর তৃণমূল তৃণমূল নেতারা পরিষ্কার জানিয়েছেন এটা দলের সাংগঠনিক বৈঠক ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে সেখানে কেন পিকে কে রাখা হয়েছিল তা নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন উঠছে।উল্লেখ্য মালদা জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের একটা বড় অংশ বহুদিন ধরেই শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী। শুভেন্দু গতকাল মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই জরুরি ভিত্তিতে মালদা জেলা নেতৃত্বকে কলকাতা ডেকে পাঠান অভিষেক। কিন্তু উল্লেখযোগ্যভাবে এদিন বৈঠকে যোগ দিতে আসেননি জেলা সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর এবং জেলার বিশিষ্ট নেত্রী তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। উল্লেখ্য কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে মৌসম বেনজির নূর যোগদান করেছিলেন শুভেন্দুর হাত ধরেই। তবে কি সেই সমীকরণ অনুযায়ী এদিন মৌসম অনুপস্থিত থেকেছেন? সেই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।এদিকে বৈঠকের পর কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী জানিয়েছেন এটা রুটিন বৈঠক ছাড়া আর কিছুই নয়। এমনকি তিনি এও জানিয়েছেন, শুভেন্দু দল ছাড়লেও মালদা তৃণমূলের কিছু এসে যায় না। এমনকি তিনি এও বলেছেন যে, এ দিনের বৈঠকে শুভেন্দু ইস্যু নিয়ে বিন্দুমাত্র আলোচনা হয়নি। কিন্তু তাতেও তৃণমূলের অস্বস্তি কাটছে না। এদিনের বৈঠক আদৌ সফল হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শুভেন্দু শিবিরের নেতা নেত্রীরা।কিন্তু বৈঠকে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা হোক না কেন, সেখানে কেন প্রশান্ত কিশোরকে রাখা হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ ইদানিং তৃণমূলের বিরুদ্ধে যেসব নেতা মন্ত্রীরা সোচ্চার হয়েছেন, তাঁদের মূল অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁদের অভিযোগ প্রশান্ত কিশোর সরাসরি দল পরিচালনা করছেন। যা তাঁরা মেনে নিতে পারছেন না।এরপরই তৃণমূলের তরফ থেকে কখনো সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বা কখনো সংবাদ মাধ্যমের সামনে তৃণমূল নেতৃত্ব মুখ খুলে জানিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর কোনও ভাবেই দলের সাংগঠনিক কাজের সঙ্গে যুক্ত নন। তবে কেন তিনি এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বসে বৈঠক করলেন মালদা জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে, তার কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি তৃণমূল শিবির থেকে। তাই আগামী দিনে প্রশান্ত কিশোর ইস্যুতে তৃণমূলের অন্যান্য নেতা-নেত্রীরা কি অবস্থান নেন সেটাই এখন দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *