October 23, 2024

তৃনমূলের রায়গঞ্জ লোকসভার প্রাথী কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে বিপুল লিড দিতে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি কাতিক চন্দ্র পালের নেতৃত্বে কাউন্সিলররা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

1 min read
তন্ময় চক্রবর্তী :-ওয়ার্ড থেকে প্রার্থীকে লিড দিতে ময়দানে ঝাঁপাচ্ছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি কাতিক চন্দ্র পালের নেতৃত্বে  পুরসভার তৃণমূলী কাউন্সিলাররা। উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ লোকসভা আসনে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল। 
তাঁকে জেতাতে এবং পুরসভা ভোটে নিজেদের কাউন্সিলার আসনের টিকিট নিশ্চিত করতেই তাঁরা মরিয়া হয়ে পড়েছেন। সম্প্রতি পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, কাউন্সিলাররা নিজের এলাকায় দলের প্রার্থীকে লিড দিতে না পারলে তাঁকে ভবিষ্যতে আর টিকিট দেওয়া হবে না। আর এটাই কাউন্সিলারদের স্নায়ুরচাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। কয়েক মাস আগেই ডালখোলা পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে। লোকসভা ভোটের পরে যেকোনও সময় এই পুরসভার ভোট ঘোষণা হতে পারে এবং  তার পরে কিছুদিনের মধ্যে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার নিবার্চন। তাই দলের প্রার্থীকে লিড দিয়ে টিকিট সুনিশ্চিত করাটা কমবেশি সকলের কাছেই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 
রায়গঞ্জ আসনে তৃণমূল প্রার্থী কানায়ালালবাবু বলেন, আমি কাউন্সিলারদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সকলেই জানিয়েছেন আমাকে লিড দিতে প্রচারে কোনও খামতি রাখবেন না। আমি আশাবাদী, নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে আমি বিপুল ভোটে পরাজিত করতে পারব। কালিয়াগঞ্জ  পুরসভার পৌরোপতি কাতিক চন্দ্র পাল বলেন   আমার কালিয়াগঞ্জ শহর  থেকে কানাইয়ালালবাবু প্রচুর ভোটে লিড পাবেন। আমি ওয়ার্ডের লোকেদের নিয়ে গেট মিটিং করছি। শহরে যে ভাবে উন্নয়ন মূলক কাজ করা হয়েছে তাতে তিনি নিশ্চিত পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে তৃনমূলের কাউন্সিলার রা এবার বিপুল পরিমাণ ভোটে দলের প্রাথী কে লিড দিবেন ই।ইতিমধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দলীয় অফিস খুলে কমিরা বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করে দিয়েছে।পৌরপতি বলেন যেভাবে শহরের প্রত্যকটি ওয়ার্ড থেকে বিপুল মানুষের সমর্থন পাচ্ছেন তাতে তিনি আশাবাদী দলীয় প্রাথী কালিয়াগঞ্জ থেকে লিড পাচ্ছেন।এখানে সাইনবোর্ড কংগ্রেস,সিপিআইএম,ও বিজেপির কোন ঠাঁই নেই।
আমি প্রার্থীকে বিপুল ভোটের লিড দেব।  চেয়ারম্যান  বলেন, শুধু আমি নই দলের সমস্ত কাউন্সিলারই প্রার্থীকে তাঁদের ওয়ার্ড থেকে লিড দেবেন। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ৪২টিই জয়ের লক্ষ্য নিয়ে কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সম্প্রতি পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, তৃণমূল প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত করতে হ঩বে। যে ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ব্যর্থ হবেন সেখানে ওই কাউন্সিলারকে ভবিষ্যতে আর টিকিট দেওয়া হবে না। অর্থাৎ লিড দিতে না পারলে টিকিট পাওয়া অনিশ্চিত। ফলে প্রার্থীকে লিড দেওয়ার বিষয়টি এক্ষেত্রে টোটকার মতো কাজ করছে। পুরভোটে নিজেদের টিকিট সুনিশ্চিত করতে কাউন্সিলাররা ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। তাঁরা দেওয়াল লিখছেন, পাড়ায় বসে বৈঠক করছেন। রাজনৈতিক মহলের আলোচনা তৃণমূল ৪২এর মধ্যে ৪২ই জয়ের লক্ষ্য নিয়েছে। তাই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য কিংবা কাউন্সিলার দলের নিচু থেকে উঁচু সবস্তরের নেতারাই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *