ছয় মাস করোনা আবহে লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকার ফলে কালিয়াগঞ্জের ট্রেনের হকাররা চরম সঙ্কটে-
1 min readছয় মাস করোনা আবহে লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকার ফলে কালিয়াগঞ্জের ট্রেনের হকাররা চরম সঙ্কটে-
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,৪,সেপ্টেম্বর:সারাদিন কেমন ভাবে চলে যেত ট্রেনের মধ্যে হকারী করে বুঝতে পারতাম না।গলায় রসি ঝুলিয়ে বুকের সামনে বাদামের ডালি নিয়ে একবার এই কামরায় আবার কিছুক্ষন পরেই আবার অন্য কামরায়।এই করেই কিছু আয় করে পরিবার পরিজনদের চালিয়ে আসছিলাম। কিন্তূ করোনা আবহে লকডাউনের যাঁতাকলে পিষে দেওয়া হচ্ছে গরিবদের। ।সবাই সবরকম ব্যবসা খুলে দিয়ে ব্যবসা করছে।অথচ গরিবদের জন্যই যেন করোনা আর লকডাউন।আমাদের যেন আয় করবার দরকার নেই।করোনা যেন সারাবছর আমাদের বসিয়ে বসিয়ে খাবার ব্যবস্থ্যা করে দেবে।তাই ছয়মাস ধরে ট্রেন বন্ধ রাখা হয়েছে।
আমরা কি ভাবে বাঁচবো?আমাদের এই গরীব হকারদের কথা সরকার একবারের জন্যও কি চিন্তা করেছে?কথাগুলি হড়হড় করে বলে ফেললো কালিয়াগঞ্জ কলেজ পাড়ার এক ট্রেনের হকার নাম অমল বর্মন।অমল বর্মন বলেন কলকাতার মেট্রো রেল যদি খোলার ব্যবস্থ্যা হতে পারে তাহলে রাধিকাপুর-কাটিহার বা রাধিকাপুর-বারসই লাইনের ট্রেন চালাতে আপত্তি কোথায়?করোনা কি শুধু গরিবদের জন্যেই।ছয়মাস ধরে কোন আয় নেই।ট্রেনটা চললে পর আবার কোন রকমে হকারী করে দিন চালাতে পারতাম।আসলে তেলা মাথায় সবাই তেল দেয়।কেও সাত মাস ধরে কোন কাজ না করেই মাস গেলেই মাসের ১লা তারিখে মাইনে পায়।আর আমরা কাজ করে দুটো পয়সা ইনকাম করবো সেখানেও সরকারের বাধা।তাহলে আমরা কি ভাবে বাঁচবো বলেনতো?কালিয়াগঞ্জের শান্তি কলোনীর ট্রেনের হকার খগেন দাস বলেন আমরা ব্যবসা করে যে আয় করতাম সরকার আমাদের দিলে আমাদের কোন আপত্তি ছিলনা।কিন্তূ সরকার সেটাও দেবেনা আবার মাসের পর মাস ট্রেন বন্ধ রাখবে তা হতে পারেনা।হয় সরকার আমাদের দেখুক না হয় এই গরীব মানুষদের বাঁচার স্বার্থের কথা ভেবে সরকার রাধিকাপুর-কাটিহার,রাধিকাপুর-বারসই অথবা রাধিকাপুর-নিউ জলপাইগুড়ি ট্রেন ৭দিনের মধ্যে চালু করবার ব্যবস্থা করুক না হলে আমাদের মৃত্যু ছাড়া সামনে কোন পথ নেই বলেই ক্ষোভ প্রকাশ করে কালিয়াগঞ্জের ট্রেনের হকাররা।কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌর প্রশাসককে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে পৌর প্রসাশক কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন ট্রেনের হকারদের কথার যথেষ্টই যুক্তি আছে।তারা আর কতদিন এভাবে চলতে পারে?আমরাও ব্যাপারটা নিয়ে প্রসাশনের সাথে আলোচনা করবো বলে জানান।