সাবেক জমিদারি প্রথা উঠে গেলেও হারিয়ে যায়নি জন্মাষ্টমীর সেই নারকেল খেলা –
1 min readসাবেক জমিদারি প্রথা উঠে গেলেও হারিয়ে যায়নি জন্মাষ্টমীর সেই নারকেল খেলা –
তন্ময় দাস,হেমতাবাদ১২আগেস্ট: সাবেক জমিদারি প্রথা উঠে গেলেও হারিয়ে যায়নি সেই সাবেক জন্মাষ্টমীর নারকেল কারাকারি খেলা ।মূলত জন্মাষ্টমীর দিন এই খেলা হয়ে থাকে । এবারো উত্তরদিনাজপুরের হেমতাবাদ ব্লকে বিভিন্ন গ্রামের পাশাপাশি শিতলপুরে শুরু হয়েছে নারকেল খেলা। করোনা কে কেন্দ্র করে দর্শকদের মধ্যে ছিলো সামাজিকদূরত্ব ।
সকাল থেকেই উত্তেজক বোলে বেজে ঢোল, কাঁসি, বাঁশির নহবত সেই বোলে ছড়িয়ে পড়েছে লড়াইয়ের মেজাজ। সকাল থেকেই রাস্তায় দেখা যায় মানুষের ঢল প্রচলিত আছে , একসময় মূলত বিনোদনের জন্য নারকেল কাড়াকাড়ি খেলার প্রচলন করেছিলেন তৎকালীন জমিদারেরা,উত্তরদিনাজপুরের প্রথম এই খেলা শুরু করেন রায়গঞ্জ দুর্গাপুরের রাজা ভূপাল চন্দ। তার হাত ধরে আজও ঠিক আছে এই খেলা।
জন্মাষ্ঠমীর পরের দিন রাধারমন কিংবা রাধাবিনোদ মন্দিরে ওই খেলার আসর বসত। সে সময় দুঃস্থ মানুষজনের কাছে নারকেল ছিল মহার্ঘ্য। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই ওই খেলার সূচনা হয়েছিল বলে অনেকে মনে করেন। জমিদারি গিয়েছে, নারকেলের সেই দুষ্প্রাপ্যতাও আর নেই। তবু নারকেল কাড়াকাড়ি খেলা আজও টিকে আছে, বেশ কয়েকটি নারকেলে প্রথমে ভাল করে তেল মাখিয়ে পিচ্ছিল করা হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আরও লোভনীয় করার জন্য ছোবড়ার ভিতরে ঠুকে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় টাকার কয়েনও। এর পর একে একে তা তুলে দেওয়া হয় খেলোয়াড়দের হাতে। খেলোয়াড় একসঙ্গে হাত দিয়ে নারকেলটি ধরেন। তার পর যে সবার বাঁধা হঠিয়ে দু’হাতে নারকেলটি উপরের দিকে তুলে ধরতে পারেন, সেটি তারই হয়ে যায়। কিন্তু সেই নারকেল উপরে তুলে ধরা সহজ হয় না। কারণ খেলা দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য উদ্যোক্তারা একে তেল মাখিয়ে দেন। তার উপরে কাড়াকাড়ি চলাকালীন খেলোয়ারদের উপর ঢালা হয় বালতির পর বালতি জল। দেখা যায় সবার বাঁধা সরিয়ে তুলে ধরার সময়ও হাত ফস্কে পড়ে যায় নারকেল। তখন সেই নারকেল নিয়েই চলে আবার ব্যাপক কাড়াকাড়ি।