উত্তরে মাশরুম চাষে মন দিলেও প্রশাসনিক সহায়তার আশায় দিন গুনছে কৃষক
1 min readপিয়া গুপ্তা উত্তর দিনাজপুর :–খাদ্য গুণে সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরপুর মাশরুমের স্বাদে প্রায় সব বাঙালি মাতোয়ারা ।ভোজ্য ছত্রাক জাতীয় এই মাশরুম খাদ্যগুণের নিরিখে নিরামিষের একটু উপরে আমিষের একটু নীচে।মাশরুম সচরাচর পাডা এলাকায় বেশি প্রচলিত থাকলেও তা এখন পাহাড় পেরিয়ে সমতলেই জোরকদমে চাষাবাদ শুরু হয়েছে।দেশের গ্রামাঞ্চলে বসতবাড়ির আনাচে-কানাচে ছায়াযুক্ত স্যাঁতসেঁতে জায়গায় ছাতার আকৃতির সাদা রংয়ের এই ছত্রাক আমরা দেখে থাকি। একে আমরা প্রচলিত ভাষায় ব্যাঙের ছাতা বলে অভিহিত করে থাকি। আগাছার মতো যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা এসব ছত্রাক খাবার উপযোগী নয়। অনুরূপ দেখতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষের মাধ্যমে যে ব্যাঙের ছাতা উত্পাদিত হয়, তা অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং বিশ্বে সবজি হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই ব্যাঙের ছাতাকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘মাশরুম’। সাধারণত মাশরুমে মাছ-মাংসের চেয়ে কিছু বেশি এবং প্রচলিত শাক-সবজির চেয়ে দ্বিগুণ খনিজ পদার্থ থাকে। আমিষের পরিমাণ থাকে বাঁধাকপি ও অন্যান্য শাক-সবজির চেয়ে চারগুণ। এছাড়াও এতে যে ফলিক এসিড থাকে তা অ্যামিনিয়া প্রতিরোধে সহায়তা করে। বহুমুত্র রোগী এবং যারা মোটা তাদের জন্য মাশরুম একটি উত্তম খাবার। এটা খেতে বেশ সুস্বাদু এবং সহজেই হজম হয়। শুধু স্বাদে গুণে নয় ব্যবসায়িক দিক থেকেও লাভ দিনদিন বাড়ছে । তাই এই সবদিক মাথায় রেখে মাশরুম চাষের উপযোগিতা এবং মাশরুম চাষে কৃষকদের উৎসাহ প্রদানের জন্য উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে প্রথমবার উত্তরবঙ্গ কৃষি বিদ্যালয়ের অন্তর্গত উত্তর দিনাজপুর কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র, চোপড়ার সাহায্যে স্থানীয় মাশরুম চাষী নিয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় ।
যেখানে কৃষক দের মাশরুম চাষের উপকারিতা সম্পর্কে জানান।এই আয়োজনে উত্তর দিনাজপুর কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র, চোপড়া থেকে আগত ড. অঞ্জলি শর্মা উপস্থিত সকলকে মাশরুমের খাদ্যগুণ এবং মাশরুম চাষ বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি মাশরুম চাষে উৎসাহ দেন। তবে জৈব পদ্ধতিতে অভিনব এই মাশরুম চাষের জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে এবং সেবিষয়ে উত্তর দিনাজপুর কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ পাওয়া যাবে বলে জানান ড. শর্মা। তিনি জানান এই জেলার ইসলামপুর, চোপড়া ,কালিয়াগঞ্জ ব্লক এলাকায় উত্তর দিনাজপুর কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বেশ ভাল মতই মাশরুম চাষ করছেন কৃষকরা। কিন্তু রায়গঞ্জ এবং রায়গঞ্জ সংলগ্ন ব্লক গুলোতে এই চাষের খুব একটা বেশি প্রসার ঘটেনি। সেই কারণেই তাদের মাশরুমের গুণাবলি সম্পর্কে জানাতে হবে।অন্যদিকে মাশরুম চাষী অভিজিত ঘোষ বলেন, “উত্তর দিনাজপুর কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে লাভ জনক এই চাষ শুরু করেছি। স্থানীয় মোহনবাটী বাজারে নিয়মিত উৎপাদিত এই মাশরুম যোগান দেওয়া হয় , যদিও মানুষের চাহিদা না থাকায় তেমন লাভের মুখ দেখেন না চাষিরৃ।এদিকে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের ভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের রাতন গ্রামের বেশ কিছু চাষীর বক্তব্য অতি উৎসাহতার সঙ্গে আজ বহু বছর ধরে মাশরুম চাষ করলেও বাজারের অভাবে সমস্যায় পড়ছেন তারা। প্রশাসন মাশরুম চাষের উপর একটু নজর দিলে তারা উপকৃত হয়। রাতন গ্রামের তারক দেবশর্মা, পবিত্র দেবশর্মা জানান তারা নিজেদের গ্রাম
ে ঠান্ডা ঘরের মধ্যে বিজ্ঞান ভিত্তিতে মাশরুম চাষ করছে অতি উৎসাহতার সাথে। মাশরুম চাষের পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ এবং খেতেও খুব স্বুসাদু হয়l ঠিক মতো রান্না করতে পারলে একে বারে মাংসের মতো খেতে লাগে। তবে মাশরুম চাষিদের একটাই বক্তব্য জেলায় মাশরুম খাবারের মানুষ খুব কম দেখা যায়। তাই তারা মাশরুম গুলিকে শিলিগুড়ি ,নেপাল ,ভুটানের মতো অন্যান্য এলাকায় পাঠানো হয় ।কোন সময় পায়কারেরা এসে মাশরুম ব্যবসায়ীরা কাছ থেকে মাশরুম কিনে নিয়ে যায়। তাদের বক্তব্য মাশরুম চাষের জন্য প্রশাসন যদি আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করে তার সাথে বাজারের ক্ষেত্রে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে ব্যাপক আকারে উৎপাদক করে ভালো লাভের মুখ দেখবে চাষিরা । এদিকে কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাই বৈশ্য জানান, তাদের এলাকায় বেশ কিছু চাষি মাশরুম চাষ করছে উৎসাহতার সাথে। সরকারি কিছু তহবিল আছে বিশেষ করে আত্মা প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের সাহা্য্য করা হবে। আর তাদের বাজারের সমস্যার কথা শিকার করে নিয়ে তিনি জানান, বাইরে কিভাবে বিক্রি করা যায় মাশরুম তার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
ে ঠান্ডা ঘরের মধ্যে বিজ্ঞান ভিত্তিতে মাশরুম চাষ করছে অতি উৎসাহতার সাথে। মাশরুম চাষের পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ এবং খেতেও খুব স্বুসাদু হয়l ঠিক মতো রান্না করতে পারলে একে বারে মাংসের মতো খেতে লাগে। তবে মাশরুম চাষিদের একটাই বক্তব্য জেলায় মাশরুম খাবারের মানুষ খুব কম দেখা যায়। তাই তারা মাশরুম গুলিকে শিলিগুড়ি ,নেপাল ,ভুটানের মতো অন্যান্য এলাকায় পাঠানো হয় ।কোন সময় পায়কারেরা এসে মাশরুম ব্যবসায়ীরা কাছ থেকে মাশরুম কিনে নিয়ে যায়। তাদের বক্তব্য মাশরুম চাষের জন্য প্রশাসন যদি আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করে তার সাথে বাজারের ক্ষেত্রে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে ব্যাপক আকারে উৎপাদক করে ভালো লাভের মুখ দেখবে চাষিরা । এদিকে কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাই বৈশ্য জানান, তাদের এলাকায় বেশ কিছু চাষি মাশরুম চাষ করছে উৎসাহতার সাথে। সরকারি কিছু তহবিল আছে বিশেষ করে আত্মা প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের সাহা্য্য করা হবে। আর তাদের বাজারের সমস্যার কথা শিকার করে নিয়ে তিনি জানান, বাইরে কিভাবে বিক্রি করা যায় মাশরুম তার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
তার পাশা পাশি চেষ্টা চালানো হচ্ছে বিদ্যালয় গুলিতে যে মিড ডে মিল খাওয়ানো হয় সেখানে শিশুদের মাশরুম খাওয়ান হলে একদিকে শিশুরা যেমন ভিটামিন যুক্ত আহার পাবে তার সাথে মাশরুম চাষীদের সমস্যা সমাধান হবে কিছুটা। তার যথা সম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে ।