সততার আর এক নজির তৈরী করলেন রায়গঞ্জ পৌরসভার অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার উত্তম মিত্র
1 min readজয়ন্ত বোস , বর্তমানের কথা :-সততা আছে অর্থাত সত্ ব্যেক্তি এই সমাজে এখনো বিরাজ করছে বলেই পৃথিবীর আহ্নিক গতি একই রকম আছে. যে কোন লোভ লালসা সত্ ব্যাক্তিকে কোন কিছু দিয়েই ছুঁতে পারে না. এমনই এক সত্ ব্যাক্তি রায়গঞ্জ পৌরসভার অ্যাম্বুলেন্স চালক উত্তম বাবু. গত ১৬ই জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ির সামনেই কালিয়াগঞ্জ থানার হরিহরপুর নসিরহাট এলাকার দুই স্কুটি আরোহী প্রতীক বাগচী ও পাপ্পু সরকার স্কুটি নিয়ে লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত অবস্থায় রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তী হয়. এদের মধ্যে প্রতীক বাগচীর অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক. হাত ও পা খুবই বিভত্স অবস্থায় ভেঙ্গে গিয়ে বিপদ সংকুল অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় ভালো সুচিকিতসার প্রয়োজনে পরিবারের সকলের বুদ্ধি পরামর্শে পাটনায় অর্থপেডিক্স ডাক্তারের নিকট নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা হতেই অ্যাম্বুলেন্সের খোঁজ নিতে শুরু করে খুবই উদ্বিগ্নের সাথে প্রতীকের বাড়ির লোকজন. এমন সময় পরিবারের লোকজন রায়গঞ্জ পৌরসভার অ্যাম্বুলেন্সটি প্রতীক কে পাটনায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ভাড়া করে এবং সেই অ্যাম্বুলেন্সের চালক ছিলেন সত্ অতিভদ্র প্রতীকের পরিবারের কাছে ভগবান হয়ে ওঠা চালক উত্তম মিত্র. কারণ অতি উদ্বিগ্নের সাথে দ্রুত প্রতীককে সুচিকিত্সার চিন্তায় পাটনায় অ্যাম্বুলেন্স থেকে নেমে পরার সময় প্রতীকের সাথী পরিবারের লোকেদের বিশেষ প্রয়োজনীয় মূল্যবান জিনিস এবং ব্যাগ অ্যাম্বুলেন্সে ছাড়া পরে যায়. উত্তম বাবু লক্ষ করেন নি প্রথম দিকে কিন্তু পাটনা থেকে অনেকদূর অতিক্রম করে চলে আসার পর গাড়িতে লক্ষ করেন প্রতীকের পরিবারের ছেড়ে দেওয়া জিনিসগুলো. উত্তম বাবু পরবর্তীকালে প্রতীকের পরিবারের অ্যাম্বুলেন্সে ছেড়ে দেওয়া জিনিসগুলো রায়গঞ্জ পৌরসভায় পৌরপতি মাননীয় সন্দীপ বিশ্বাস মহাশয়ের নজরে আনেন . পৌরপতির বিশেষ তত্তাবধানে অনুসন্ধান চালিয়ে প্রতীকের বাড়ির লোকেদের খোঁজ দেওয়া হয় , তারপর প্রতীকের মা রায়গঞ্জ পৌরসভায় গিয়ে উত্তম বাবুকে সামনে রেখে পৌরপতি সন্দীপ বিশ্বাস মহাশয় প্রতীকের পরিবারের হাতে জিনিসগুলো তুলে দেন . জিও উত্তম বাবু , আপনার নামের মধ্যেইতো অনেক রত্ন লুকিয়ে আছে তার মধ্যে একটি রত্ন সততা .