১০ টাকার সব কয়েনই চলনসই, এসএমএসে জানাচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
1 min read
বর্তমানের কথা)ঃআচমকা ঘুম ভেঙেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দশ টাকার কয়েন নিয়ে । তারা সাধারণ মানুষকে এসএমএস করে বলছে, কোনও দশ টাকার কয়েনই অচল নয়। অথচ দশ টাকার কয়েন নিয়ে যখন বছর খানেক আগে সঙ্কট তুঙ্গে উঠেছিল, তখন কার্যত চুপ করে ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কিছু সচেতনতার চেষ্টা করলেও, আমজনতার কাছে সেই তথ্য পৌঁছয়নি। সেই সঙ্কট গত কয়েক মাস ধরেআবার টুঁটি চেপে ধরেছে এক টাকার কয়েনের। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে, গ্রামাঞ্চলে কার্যত ‘নিষিদ্ধ’ হয়ে গিয়েছে ছোট এক টাকার কয়েন। কেন, কীভাবে এই কয়েনকে সাধারণ মানুষের একাংশ ব্রাত্য করলেন, তা কারও জানা নেই। মজার বিষয়, দশ টাকার কয়েন নিয়ে এখন ঘুম ভেঙেছে আরবিআইয়ের। তবে এক টাকার কয়েন নিয়ে এই অরাজকতা চললেও, তারা রা কাড়ছে না।
নানা ধরনের দশ টাকার কয়েন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে গুজব ও তাকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তি চরমে ওঠে বছর কয়েক আগে। সেই সমস্যা জাঁকিয়ে বসে দেশজুড়ে। এ রাজ্যেও সেই সঙ্কট ভয়াবহ আকার নেয়। হাটে-বাজারে, বাসে-ট্রামে তা নিয়ে চলে তরজা, তর্ক, ঝগড়া। ধীরে সেই সমস্যা অনেকটাই মিটে গিয়েছে। কিন্তু এক টাকার ছোট কয়েন চলছে না, ক্রমশ এই গুজব জাঁকিয়ে বসেছে রাজ্যের কোণে কোণে। কয়েন নিয়ে শহর বা শহরতলিতে যে জটিলতা দেখা দিয়েছে, গ্রামে গ্রামে তা কয়েক গুণ বেশি। কিন্তু সত্যিই কি এক টাকার কয়েন অচল?
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এখনও পর্যন্ত জানিয়েছে, সিকি বা ২৫ পয়সা অচল হয়েছে দেশজুড়ে। তার উপরের যে কোনও অঙ্কের কয়েন এখনও লেনদেনযোগ্য। অর্থাৎ ৫০ পয়সা বা আধুলি এখনও সমান গুরুত্বপূর্ণ দেশের অর্থনীতিতে। ফলে এক টাকার কয়েনের অচল হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। ছোট কয়েন বা বড় কয়েন—আকার যেমনই হোক, সবক’টিই গ্রহণীয়। অথচ কয়েন সঙ্কটে যখন সাধারণ মানুষ জেরবার, তখন তা নিয়ে কেন সচরাচর রা কাড়ে না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক? এখানকার কর্তাদের দাবি, কয়েন নিয়ে আরবিআইয়ের কোনও মাথাব্যথা নেই। কারণ, সেটি তাদের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। একমাত্র কাগুজে নোট নিয়েই তাদের মাথাব্যথা। কয়েন যেহেতু কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের বিষয়, তাই তার যাবতীয় দায়ভার কেন্দ্রীয় সরকারের।
যদি কেন্দ্রীয় সরকারই কয়েনের অভিভাবক হয়, তাহলে আরবিআই কেন সম্প্রতি লক্ষ লক্ষ এসএমএস ছেড়ে সাধারণ মানুষকে দশ টাকার কয়েন নিয়ে সতর্ক করছে? রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এক আধিকারিকের কথায়, বিষয়টি নিয়ে সমাজে জলঘোলা হচ্ছে। অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়ছে। তাই আরবিআই এই বিষয়ে পদক্ষেপ করেছে। তবে এক টাকার কয়েন নিয়ে কেন তারা এগচ্ছে না, তার কোনও জুতসই উত্তর পাওয়া যায়নি।
এদিকে এক টাকার কয়েন নিয়ে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এখন ‘বাটা’ ব্যবসায়ী, অর্থাৎ যাঁরা কমিশনের মাধ্যমে নোট ভাঙিয়ে দেন, তাঁরা উলটপুরাণ শুরু করেছেন। আগে যেখানে ১০০ টাকার নোটে তাঁরা ৯২ থেকে ৯৪ টাকার
কয়েন দিতেন, এখন সেই হিসেব বদলেছে। ১০০ টাকার কয়েন দিলে এখন মিলছে নগদ ৭০ থেকে ৮০ টাকা। সঙ্কট কবে কাটবে, এখন সেই আশাতেই দিন গুণছেন মানুষ।
কয়েন দিতেন, এখন সেই হিসেব বদলেছে। ১০০ টাকার কয়েন দিলে এখন মিলছে নগদ ৭০ থেকে ৮০ টাকা। সঙ্কট কবে কাটবে, এখন সেই আশাতেই দিন গুণছেন মানুষ।