গ্রামবাসীদের ভূতের ভয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে পুলিশ গাছে উঠে গ্রাম বাসীদের হাতেনাতে সচেতন করলো
1 min readতপন চক্রবর্তী:(বর্তমানের কঃ) ঃ দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের মানুষদের সন্ধ্যায় নানাভাবে ভয় দেখাচ্ছে ভুত।গ্রাম বাসীদের দাবি গ্রামের একটি আম গাছে ফাসকালী থাকে।সন্ধ্যার পর এইগ্রামে ফাসকালী নামক ভুত গ্রাম বাসীদের আতঙ্কের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে।ঘটনাটি ঘটে উত্তরদিনাজপুর জেলার ধনকল পঞ্চায়েতের উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামের গ্রাম বাসীদের কাছ থেকে জানা যায় এই গ্রামটিতে ফাঁসি দিয়ে মারা যাবার প্রবণতা অত্যধিক। ফলে গ্রাম বাসীদের দৃঢ ধারণা এই গ্রামে ফাসকালী নামক অপদেবতা বা ভ্যুতের আবির্ভাব ঘটেছে।এবং প্রতি সন্ধ্যায় গ্রামের একটি আমগাছ থেকে গ্রাম বাসীদের ভয় দেখানো হয়। গ্রাম বাসীদের আতঙ্কের খবর পেয়ে ও গ্রামবাসীদের আতঙ্ক মুক্ত করতে কালিয়াগঞ্জ থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাই বৈশ্য শনিবার কালিয়াগঞ্জ বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যদের সাথে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিক ও স্টুডেন্ট হেলথ হোমের সদস্যরা উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামে যায়।সেখানে তারা গ্রামবাসীদের আতঙ্ক থেকে মুক্ত করতে এবং সচেতন করতে জানান তাদের গ্রামে ফাসকালী বলে কোন অপদেবতা বা ভুত বলে কিছুই নেই। এসব তাদের মনের দুর্বলতার একটা অঙ্গ মাত্র। তাই ফাসকালী বা ভুত বলে তাদের গ্রামে কিছুই নেই।
এখানেই শেষ নয়।কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিক রাম চন্দ্র ঘোষ বিজ্ঞানমঞ্চ এবং স্টুডেন্ট হেলথ হোমের সদস্যদের নিয়ে সন্ধ্যায় উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামে গিয়ে পুলিশ আধিকারিক রাম চন্দ্র ঘোষ সেই আম গাছের ডালে চড়ে হাতেনাতে গ্রামবাসীদের দেখিয়ে দেন ফাসকালী বা অপদেবতা কোনকিছুই এই গ্রামে এসে গ্রামবাসীদের কোনদিন ভয় দেখায় না বা কোনদিন দেখাবেও না।এটা স্রেফ গ্রামবাসীদের মনের ভয় থেকেই এর সৃষ্টি হয়েছে। অন্য কিছুই নয়। উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাই বৈশ্য বলেন মনের ভয় আগে গ্রামবাসীদের দূর করতে হবে।কালিয়াগঞ্জ স্টুডেন্ট হেলথ হোমের সম্পাদক রঞ্জন মোদক ,বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্য মানিক রায় চৌধরী,শিক্ষক ধীরেন পাহান,অভিজিৎ সরকার,কালিয়াগঞ্জ থানার আধিকারিক রামপ্রসাদ ঘোষ ও কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ব্লক ইন্ডাস্ট্রিয়াল অফিসার শুভ্রজিৎ চক্রবর্তী বলেন ভূত বলে কিছুই নেই।গ্রামবাসীদের মনের ভয় দূর করতে হবে সবার আগে।যদিও উত্তরভবিন্দপুরের গ্রামবাসীদের সবাই মিলে সচেতন করলেও গ্রামবাসীদের মধ্যে অত্যাধিক আতঙ্ক ঢুকে যাবার কারনে এতসব করার পরেও গ্রাম বাসীদের আতঙ্ক কমার কোন লক্ষণ নেই বলেই সবার ধারণা।উত্তরগোবিন্দপুর গ্রামের জনৈক গ্রামবাসী বলেন গ্রামের মহিলারা সন্ধ্যা নামতেই এই প্রবল আতঙ্কে ঘরবন্দি হয়ে পড়ে।সামান্য অল্পকয়েক দিনের মধ্যে চার চারজনের ফাঁসি দিয়ে নৃত্যুর কারণেই গবাসীদের মধ্যে আতঙ্কের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করা হচ্চ।