হাত -পদ্ম -কাস্তে পাঁচ বছর ধরে পঞ্চায়েত চালাল
1 min read
মহম্মদ মহসিন ■ উলুবেড়িয়াযে যার মতো করে জিতে এসেছিল ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে৷ তার পর কংগ্রেস , বিজেপি , সিপিএম , ফরওয়ার্ড ব্লক এক নির্দল প্রার্থী জোট করে পাঁচ বছর ধরে একটি গ্রাম পঞ্চায়েত চালাল৷ বলতে দ্বিধা নেই , পঞ্চায়েতটি বেশ ভালো ভাবেই কাজ চালিয়েছে৷ এমনকি বিরোধী দল তৃণমূলও স্বীকার করেছে , এই পঞ্চায়েত ভালো ভাবেই কাজ করেছে৷ তাদের বিরুদ্ধে বলার মতো কিছু নেই৷
পঞ্চায়েতটি হল উলুবেড়িয়া দু’নম্বর ব্লকের রঘুদেবপুরের৷ এই ব্লকের মধ্যে আটটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ছ ’টি তৃণমূলের দখলে৷ বাকি দু’টি বিরোধীদের দখলে৷ তারই একটি রঘুদেবপুর পঞ্চায়েত৷ এখানে রয়েছে ২২টি আসন৷ ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএম ও কংগ্রেস চারটি করে আসন পায়৷ বিজেপি জয়ী হয় দু’টিতে৷ ফরওয়ার্ড ব্লক ও বাম সমর্থিত নির্দল একটি করে আসনে জয়ী হয়৷ অন্যদিকে তৃণমূল পায় দশটি আসন৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য ম্যাজিক ফিগার ছিল বারোটি৷ নির্বাচনের পর বিজেপি , কংগ্রেস , সিপিএম , ফরওয়ার্ড ব্লক ও নির্দলরা জোট করে ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যায়৷ প্রধান হন কংগ্রেসের অনিন্দিতা নাথ , উপপ্রধান হন বিজেপির তপনকুমার হাজরা৷ সকলেরই দাবি , এই ধরনের জোট পশ্চিমবঙ্গের আর কোনও পঞ্চায়েতে নেই৷ পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের সঞ্জয় মাইতিও বলেন , ‘এই রকম পাঁচমিশালী জোট রাজ্যের কোথাও হয়েছে বলে আমার জানা নেই৷ ’ তাঁর অভিযোগ , বিজেপি ও কংগ্রেস সিপিএমের ফাঁদে পা দিয়েছিল৷
তিনি জানান , বিরোধী দলে থাকার সময়ে তারা সব সময়ই এই পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগিতা করেছে৷ বিজেপি নেতা তপন হাজরা বলেন , ‘আমরা পঞ্চায়তে চালাতে গিয়ে আমরা –ওরা দেখিনি৷ এলাকার উন্নয়নই ছিল আমাদের পাখির চোখ৷ উন্নয়নের কাজে বিরোধী সদস্যদের যুক্ত করা হয়েছিল৷ ’ উন্নয়ন যে হয়েছে , এলাকায় গেলেই বোঝা যায়৷ পঞ্চায়েতের উন্নয়নের কাজ দেখতে বছরখানেক আগে বাংলাদেশ থেকে এক প্রতিনিধিদল এসেছিল৷ প্রতিনিধিদল রঘুদেবপুর পঞ্চায়েতের কাজকর্মের ভূয়সী প্রশংসা করেছিল৷ গত পাঁচ বছরে বিরোধী দল বা অন্য কেউ অনাস্থা আনেনি এই জোটের প্রধানের বিরুদ্ধে৷ বিরোধী নেতা সঞ্জয় মাইতি জানান , তাঁদের লক্ষ্য ছিল উন্নয়ন৷ ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে গরিষ্ঠতা পাননি বলে তাঁরা বিরোধী আসনে বসেছিলেন৷ বিজেপির তপনবাবু, সিপিএমের শেখ ইসরাফিলের দাবি , ‘আমরা উন্নয়ন করেছি বলেই কেউ বাধা দেয়নি৷ ’৷