October 23, 2024

ফোন হাতাল কিশোর ইউটিউবে চ্যানেল খুলর্তে

1 min read
রান্না , হাস্যকৌতুক , শর্টফিল্ম — এমনই নানা বিষয়ে ভিডিয়ো তুলে ইউটিউবে আপলোড করতে পারলেই কেল্লাফতে৷ এ ভাবে সহজে মিলছে খ্যাতি , হচ্ছে উপার্জনও৷ তাই নাকি তাদের ইচ্ছে ছিল ইউটিউব চ্যানেল খোলার৷ কিন্ত্ত সে জন্য জরুরি একটা ভালো স্মার্টফোন ছিল না দুই বন্ধুর কাছে৷ সেই ফোন জোগাড় করতেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দুই বন্ধু ছিনতাইয়ের পথ বেছে নিয়েছিল বলে তাদের দাবি৷ একটি ছিনতাইয়ের তদন্তে নেমে শুক্রবার দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে গ্রেন্তার করে ট্যাংরা থানার পুলিশ৷ 
গত বুধবার সকালে কাজে যাচ্ছিলেন তিনি৷ সেই সময় ক্যানাল সাউথ রোডে একটি বাইকে চেপে দু’জন প্রায় ১১ হাজার টাকা মূল্যের তাঁর মোবাইলটি ছিনতাই করে পালায় বলে ওই ব্যক্তির অভিযোগ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ গোবিন্দ খটিক রোড ও পুলিন খটিক রোডের বাসিন্দা ওই দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে গ্রেন্তার করে৷ ছিনতাইয়ের সময় যে বাইকটি ব্যবহার করা হয়েছিল , সেটি ধৃত একজনের বাবার বলে জানা গিয়েছে৷কী ভাবে ধরা পড়ল ওই দুই ছাত্র ? সূত্রের খবর , বুধবার ছিনতাই হওয়া ফোন ব্যবহার করেই বৃহস্পতিবার চাঁদনি মার্কেটে যাওয়ার জন্য একটি অ্যাপ ক্যাব বুক করেছিল দুই ছাত্র৷ ফোনগুলি পাসওয়ার্ড দিয়ে লক থাকায় , সেগুলি খোলার জন্য চাঁদনি মার্কেটে গিয়েছিল তারা৷ সেখানে ক্যাব দাঁড় করিয়ে ফোন খোলার কাজ সারছিল দুই কিশোর৷ ততক্ষণে ক্যাবের বিল পৌঁছে যায় ১১০০ টাকায়৷ ফোন ছিনতাইয়ের পরে তার মধ্যেই অবশ্য ডুপ্লিকেট সিম নিয়ে নিজের নম্বরটি চালু করে ফেলেছিলেন অভিযোগকারী৷ দুই কিশোরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে , ভাড়া আদায় করতে ক্যাবচালক তাঁর নম্বরে ফোন করেন৷ ফোন পেয়ে পুলিশকে জানান তিনি৷ ফোনের আইইএমআই নম্বর -সহ অন্য সূত্র ধরে দুই অভিযুক্ত ছাত্রের খোঁজ পায় পুলিশ৷ জেরায় দু’জন দাবি করেছে , চার বন্ধু মিলে একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলার পরিকল্পনা ছিল৷ কিন্ত্ত বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভালো স্মার্টফোনের অভাব৷ তাই পরীক্ষা শেষ হতেই তারা ছিনতাইয়ের ছক কষে৷ ধৃত দুই কিশোরেরই বাড়ির অবস্থা ভালো নয়৷ যাঁর বাইক নিয়ে ছেলে ও তার বন্ধু ছিনতাইয়ের কাজে বেরোয় , তিনি একটি সংস্থায় ১০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করেন , তা দিয়েই সংসার চলে৷ ধৃতেরা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীউদ্ধার হওয়া মোবাইল পুলিশের কাছে ছিনতাইয়ের এমনই কারণ দাবি করেছে দুই নাবালক অভিযুক্ত৷ দাবির সত্যতা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷সদ্য শেষ হয়েছে মাধ্যমিক৷ পরীক্ষায় বসেছিল ট্যাংরার পৃথক দু’টি স্কুলের ওই দু’জন৷ কিন্ত্ত মাধ্যমিক শেষ হতেই তারা যে ভাবে ছিনতাইয়ে হাত পাকিয়েছে , তা দেখে তাজ্জব পুলিশ৷ পাশাপাশি ছিনতাইয়ের কারণ হিসাবে তারা পুলিশকে যা জানিয়েছে , তাতেও হতবাক তদন্তকারীরা৷ পরপর দু’দিনে দুই বন্ধু তিনটি দামি স্মার্ট ফোন ছিনতাই করেছিল৷ সেগুলি উদ্ধার করা হয়েছে৷ উদ্ধার হয়েছে ব্যবহূত বাইকটিও৷ শুক্রবার ধৃতদের জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে হাজির করানো হলে , তাদের হোমে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়৷সূত্রের খবর , গত বৃহস্পতিবার রমেশ প্রসাদ কানোজিয়া নামে এক ব্যক্তি ট্যাংরা থানায় মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ জানান৷ পাগলাডাঙা এলাকায় অফিস রমেশের৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *