২ বৌ এর লড়াই
1 min read
তন্ময় চক্রবত্তী ঃ-হেমতাবাদ ঃ- উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের ১৬ নম্বর জেলা পরিষদ আসন থেকে এবার দুই বৌ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে একজন জেলা মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী তথা হেমতাবাদ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি গোপাল মজুমদারের স্ত্রী শিবানী মজুমদার। অপরজন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য গৌতম পালের স্ত্রী পম্পা পাল। দু’পক্ষ ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমে পড়েছে। জোটপ্রার্থী শিবানীদেবীর হয়ে সিপিএম কর্মীরাও প্রচার শুরু করেছেন। জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসনটিতে জয় আনতে একদিকে কংগ্রেস, সিপিএম এবং অন্যদিকে তৃণমূল মরিয়া হয়ে উঠেছে। গৌতমবাবু জেলায় দাপুটে নেতা হিসেবেই পরিচিত।
তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতিগৌতম পালের স্ত্রী পম্পা পাল |
জোট প্রার্থী শিবানীদেবী বলেন, মনোনয়ন জমা করেই প্রচারে নেমে গিয়েছি। সিপিএম কর্মীরাও আমার সঙ্গে প্রচারে যাচ্ছেন। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হলে ওই আসনে আমিই জয়ী হব। কারণ চারদিকে যা হচ্ছে তাতে শাসকদলের উপরে সাধারণ মানুষ আস্থা হারাচ্ছেন।
হেমতাবাদ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি গোপাল মজুমদারের স্ত্রী শিবানী মজুমদার |
ওই আসনের তৃণমূল প্রার্থী পম্পাদেবী বলেন, রাজ্যজুড়ে যেভাবে উন্নয়ন হচ্ছে তাতে মানুষ তৃণমূল ছাড়া আর কাউকে ভোট দেবে বলে মনে হয় না। ভোটাররা যথেষ্ট সচেতন। তাই আমাদের পক্ষেই ভোট পড়বে। গৌতমবাবু বলেন, এখানকার বাম বিধায়ক এবং সংসদ সদস্য এলাকার উন্নয়ন করতে পারেননি। আমরা ক্ষমতা পেলে রাস্তা, পানীয় জল, কৃষিসেচের ব্যবস্থা করব। শ্মশান ও কবরস্থানেরও উন্নয়ন করা হবে।
সিপিএমের হেমতাবাদ এরিয়া কমিটির সম্পাদক স্বপন ঘোষ বলেন, ওই আসনে কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের জোট হয়েছে। আমরা শিবানীদেবীর হয়ে প্রচার করছি। স্বচ্ছতা রেখেই এলাকার উন্নয়ন হবে। বিধায়ক ও সংসদ সদস্যের এলাকা উন্নয়নের বরাদ্দ টাকা প্রশাসনের ঘর থেকে আসতে দেরির কারণেই উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। পাল দম্পতি মূলত ইটাহারের বাসিন্দা। গৌতমবাবু আগেরবার ইটাহারের যে আসন থেকে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছিলেন সেটি এবারে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। ফলে তিনি সেখানে দাঁড়াতে পারেননি। দল তাঁর স্ত্রীকে হেমতাবাদের ১৬ নম্বর আসনে টিকিট দিয়েছে। এই আসনটি চইনগর, বিষ্ণুপুর ও নওদা গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এখানে মোট ৪৭টি বুথ রয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় পরিচিতি বাড়াতে প্রার্থী স্ত্রীকে নিয়ে তিনি বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকেই প্রচারে যাচ্ছেন।
শিবানীদেবী রাজনীতিতে নতুন মুখ নন। এর আগে ২০০৩–২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। ২০০৮–২০১৩ সাল পর্যন্ত হেমতাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন। প্রসঙ্গত, এই আসনটিতে গতবার ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন। পরবর্তীতে ওই সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন।
সিপিএমের হেমতাবাদ এরিয়া কমিটির সম্পাদক স্বপন ঘোষ বলেন, ওই আসনে কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের জোট হয়েছে। আমরা শিবানীদেবীর হয়ে প্রচার করছি। স্বচ্ছতা রেখেই এলাকার উন্নয়ন হবে। বিধায়ক ও সংসদ সদস্যের এলাকা উন্নয়নের বরাদ্দ টাকা প্রশাসনের ঘর থেকে আসতে দেরির কারণেই উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। পাল দম্পতি মূলত ইটাহারের বাসিন্দা। গৌতমবাবু আগেরবার ইটাহারের যে আসন থেকে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছিলেন সেটি এবারে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। ফলে তিনি সেখানে দাঁড়াতে পারেননি। দল তাঁর স্ত্রীকে হেমতাবাদের ১৬ নম্বর আসনে টিকিট দিয়েছে। এই আসনটি চইনগর, বিষ্ণুপুর ও নওদা গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এখানে মোট ৪৭টি বুথ রয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় পরিচিতি বাড়াতে প্রার্থী স্ত্রীকে নিয়ে তিনি বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকেই প্রচারে যাচ্ছেন।
শিবানীদেবী রাজনীতিতে নতুন মুখ নন। এর আগে ২০০৩–২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। ২০০৮–২০১৩ সাল পর্যন্ত হেমতাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন। প্রসঙ্গত, এই আসনটিতে গতবার ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন। পরবর্তীতে ওই সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন।