তপন চক্রবর্তী শনিবার দুপুরে কালিয়াগঞ্জের মহেন্দ্রগঞ্জ নাটমন্দির কমিটির ডাকা সাংবাদিক বৈঠকের সময় হঠাৎ করে বেশ কিছু উত্তেজিত মানুষ মন্দিরের অফিস গৃহে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে উপস্থিত সাংবাদিকরা অবাক হয়ে যায়।উত্তেজিত জন সাধারনের বক্তব্য নাট মন্দির কমিটি যেভাবে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে মন্দিরের উন্নয়নের কাজ শুরু করতে চলেছে তা তারা মানেনা।
নাট মন্দির কমিটির এই উন্নয়নের কর্মকান্ড অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।পদত্যাগ করতে হবে কমিটির সভাপতি ও সম্পাদককে।এলাকার মানুশের বিক্ষোভ এতটাই মারমূখী হয়ে উঠেছিল একসময় মনে হয়েছিল বড়সড় অঘটন ঘটলেও ঘটতে পারে।ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন কালিয়াগঞ্জ বাসীর পক্ষ থেকে নাট মন্দির কমিটির কাছে একটি আবেদন পত্র দেওয়া হয়।যার মূল বিষয় ছিল নাট মন্দির কমিটি উন্নয়নের নামে যে সমস্ত পরিকল্পনা করে কাজ করতে যাচ্ছে তা সম্পূর্ণ একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠনের পরিপন্থী।অবিলম্বে এই কাজ বনধ করতে হবে।কিন্তূ আলোচনায় বসবার জন্য কমিটির কাছে চিঠি দিতে এসে এই ধরনের একটি ঘটনা ঘটবে তা আগে থেকে কোন ভাবেই নাট মন্দির কমিটির কর্মকর্তারা বুঝে উঠতে পারেনি। উত্তেজিত জনতা দলবেঁধে নাট মন্দির কমিটির অফিস গৃহে গিয়ে বলতে থাকে এখনই নাট মন্দির কমিটির সভাপতি সুনীল সাহা ও সম্পাদক
মিহির রঞ্জন চৌধুরী কে তাদের পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে।তারা দুজনে এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটিকে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে চলেছে।যা কোন ভাবেই তাদের উদ্দেশ্যকে সফল হতে দেওয়া হবেনা।নাট মন্দিরভ কমিটির সভাপতি সুনীল সাহা বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বার বার বলেন এই ধর্মীয় প্রতিস্ঠানটির উন্নয়নের সিদ্ধান্ত গত সাধারণ সভায় সর্ব সম্মতিক্রমেই হয়েছিল।এরপর গত ২২সে এপ্রিল তাদের পরিচালন কমিটিতে পাকা পাকি ভাবে এই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তূ বিক্ষোভ কারীরা কোনভাবেই কমিটির কর্মকর্তাদের কথা শুনতে চায়না।
সভাপতি সুনীল সাহা বলেন তারা কোনভাবেই এই প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বানাতে চায়না।এটা সাধারণ মানুষের ভুল ধারনা ছাড়া আর কিছুই নয়।সিদ্ধান্ত হয় রবিবার সন্ধ্যায় সাধারণ নাগরিকদের সাথে কমিটি একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে আলোচনায় বসবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।তবে নাট মন্দির কমিটির সভাপতি সুনীল সাহা বলেন সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে এসে এই ধরনের অপমান জনক কথাবার্তা তিনি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।
তাই তিনি তার পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে জানান। যদিও সভাপতি সুনীল সাহা ও সম্পাদক মিহির রঞ্জন চৌধুরীকে তাদের পদ থেকে ইস্তফা না দিতে কমিটির সদস্যগণ অনুরোধ জানিয়েছেন বলে জানা যায়।তবে কালিয়াগঞ্জের মানুষ রবিবারের বৈঠকের দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছেন কি হয় কি হয়।শেষ পর্যন্ত কাদের জয় হয় সেদিকেই সবার লক্ষ।