উত্তর দিনাজপুর জেলার মুখ উজ্জ্বল করল করণদিঘি ব্লকের মাদারগাছি গ্রামের অভিজিৎ সরকার
1 min read
প্রদীপ সিনহা ঃ- সংসারের অভাবকে ও দৈহিক
প্রতিবন্ধকতা
হার মানিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার মুখ উজ্জ্বল করল করণদিঘি ব্লকের মাদারগাছি গ্রামের অভিজিৎ সরকার আইআইটি ’র প্রবেশিকা পরীক্ষায় । এবারের উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো নম্বর নিয়ে পাশ করার পাশাপাশি এই প্রবেশিকা পরীক্ষায় দেশের মধ্যে র্যা ঙ্কিংয়ে ৪৪তম স্থান অধিকার করেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার এই কৃতী ছাত্র।অভিজিৎ বলে, ১০ জুন এবারের আইআইটি’র প্রবেশিকা পরীক্ষার রেজাল্ট বেরনোর পর আমার র্যা ঙ্কিংয়ের কথা জানতে পারি। আমি
কমন
র্যা
ঙ্ক
লিস্ট
পার্সন
উইথ
ডিসাবিলেটি
বা
সিআরএলপিডব্লুউডি তে দেশের মধ্যে ৪৪ তম র্যা ঙ্ক করেছি। ১৫
জুন
থেকে
আমাদের
কাউন্সেলিং
শুরু। দেশের ২৩ টি আইআইটি’র মধ্যে কোথায় সুযোগ পাব জানি না। তবে,
কম্পিউটার
ইঞ্জিয়ারিং
নিয়ে
পড়াশুনা
করে
জীবনে
বড়
হতে
চাই।
প্রতিবন্ধকতা
হার মানিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার মুখ উজ্জ্বল করল করণদিঘি ব্লকের মাদারগাছি গ্রামের অভিজিৎ সরকার আইআইটি ’র প্রবেশিকা পরীক্ষায় । এবারের উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো নম্বর নিয়ে পাশ করার পাশাপাশি এই প্রবেশিকা পরীক্ষায় দেশের মধ্যে র্যা ঙ্কিংয়ে ৪৪তম স্থান অধিকার করেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার এই কৃতী ছাত্র।অভিজিৎ বলে, ১০ জুন এবারের আইআইটি’র প্রবেশিকা পরীক্ষার রেজাল্ট বেরনোর পর আমার র্যা ঙ্কিংয়ের কথা জানতে পারি। আমি
কমন
র্যা
ঙ্ক
লিস্ট
পার্সন
উইথ
ডিসাবিলেটি
বা
সিআরএলপিডব্লুউডি তে দেশের মধ্যে ৪৪ তম র্যা ঙ্ক করেছি। ১৫
জুন
থেকে
আমাদের
কাউন্সেলিং
শুরু। দেশের ২৩ টি আইআইটি’র মধ্যে কোথায় সুযোগ পাব জানি না। তবে,
কম্পিউটার
ইঞ্জিয়ারিং
নিয়ে
পড়াশুনা
করে
জীবনে
বড়
হতে
চাই।
আশিসবাবু বলেন,
ছোটবেলা
থেকেই
বাঁ’হাত
দিয়ে
সে
লেখে। ছোটোবেলায় ওকে এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি করি। এরপর
ভর্তি
করা
হয়
স্থানীয়
মাদারগাছি
হাইস্কুলে। সেখানে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করার পর অভাবের কারণে ওকে ডালখোলার কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত জওহর নবোদয় আবাসিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেওয়া হয়। সেখানে
পড়াশুনা
ও থাকা–খাওয়ার
জন্য
আমাকে
কোনও
খরচ
দিতে
হতো
না। সেখানেই সিবিএসসি বোর্ডে মাধ্যমিকে ভালো নম্বর পেয়ে পাশ করেছিল অভিজিৎ। এরপর
সেখান
থেকেই
মেধার
ভিত্তিতে
একটি
স্বেচ্ছাসেবী
সংস্থার
মেধা
পরীক্ষায়
সুযোগ
পেয়ে
বেঙ্গালুরুতে
বিশেষ
কোর্সে
পড়ার
সুযোগ
পায়
সে। সেসময় থেকে বেঙ্গালুরু আরবান জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের পড়াশুনা করত অভিজিৎ। সেখান
থেকেই
এবারের
উচ্চ
মাধ্যমিক
পরীক্ষায়
৯১.২ শতাংশ
নম্বর
পেয়েছে
ও। তার
বাবা
আশিস
কুমার
সরকার
গ্রামের
শাখা
পোস্ট
অফিসের
সাধারণ
কর্মী। সামান্য আয়ে কষ্টে সংসার চালান তিনি। তার
উপর
দুই
সন্তানের
মধ্যে
ছোট
ছেলে
অভিজিতের
জন্ম
থেকেই
ডান
হাতের
চারটি
আঙ্গুল
ও একটি
হাড়
নেই। প্রায় অকেজো ডান হাত নিয়ে ডালখোলার জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র অভিজিতের এই সাফল্যকে কুর্নিশ জানাচ্ছে সকলে। অভিজিতের
মা
অঞ্জু
সরকার
বলেন,
ছেলের
সাফল্যে
আমি
খুব
খুশি। পড়াশুনায় ও এত ভালো করবে কখনও ভাবিনি।