প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে ধূপকাঠি বিক্রি করে চাকরির স্বপ্ন দেখছে প্রত্যন্ত গ্রামের এক লড়াকু যুবক বিলাতু সরকার।
1 min readপ্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে ধূপকাঠি বিক্রি করে চাকরির স্বপ্ন দেখছে প্রত্যন্ত গ্রামের এক লড়াকু যুবক বিলাতু সরকার।
তন্ময় চক্রবর্তী প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে ধূপকাঠি বিক্রি করে চাকরির স্বপ্ন দেখছে প্রত্যন্ত গ্রামের এক লড়াকু যুবক বিলাতু সরকার। হ্যাঁ আজ তার লড়াই করার দৃশ্য দেখা গেল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর ফুটপাতে। ছোটবেলা থেকে জন্মান্ধ হলেও নিজেকে প্রতিবন্ধী মনে করেন না তিনি। তাই আর পাঁচজনের মতন পড়াশোনা চালিয়ে বিএ পাস করার পর এখন স্বপ্ন দেখছে আগামী দিনে চাকরি করার। অতদরিদ্র পরিবারের ছেলে হলেও লক্ষ্য যদি কারো থাকে তাহলে কোন কাজই অসাধ্য নয় তা তিনি মনে করেন বলেই আজ বিএ পরীক্ষা পাস করার পর আগামী দিনের চাকরি করার স্বপ্ন দেখে বি এড এ ভর্তি হয়েছেন তিনি। বাড়িতে তিন ভাই এবং বোন রয়েছে বাবা সামান্য কৃষিকাজ করেন।।
তাই সংসারে বাবাকে সাথ দিতে এবং নিজের বি এড পড়াশোনা সম্পূর্ণ করার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন সেই অর্থ যোগানের জন্য তিনি বেছে নিয়েছেন হাতের ধূপকাঠি নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় বিক্রি করার পথ।। আজ এমন ভাবেই তাকে দেখা গেল কালিয়াগঞ্জের অলিতে গলিতে ধূপকাঠি নিয়ে বিক্রি করতে। জানাযায় তার বাড়ি কুসুমুন্ডি ব্লকে। বর্তমানে সে বিএড করছে নরেন্দ্রপুর বিবেকানন্দ মিশন আশ্রম আবাসিক দৃষ্টিহীন বিদ্যালয় থেকে। এক সাক্ষাৎকারে বিলাতু সরকার জানান কারো যদি লক্ষ্য ঠিক থাকে তাহলে কোন কাজই অসাধ্য নয়। আর তিনি মনে করেন না তিনি নিজে প্রতিবন্ধী। ছোটবেলা থেকে তিনি দুচোখে না দেখতে পেলেও সেই চোখেই তিনি দেখতে পেতেন আগামী দিনের স্বপ্ন। তাই দুচোখে স্বপ্নভরা অশ্রু নিয়ে তিল তিল করে একের পর এক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আজ একটা জায়গায় তিনি এসে দাঁড়িয়েছেন। তার আগামী দিনে লক্ষ্য বিএড পরীক্ষায় পাস করে আগামী দিনে চাকরি পরীক্ষা দিয়ে একটা চাকরি যোগাড় করার। তবেই তার স্বপ্ন পূরণ হবে। এর জন্য যত লড়াই করতে হোক না কেন তিনি করবেন এটা পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিলেন। তিনি আর পাঁচজনের প্রতি নির্দেশ দেন কোন কাজই কঠিন নয় লড়াই করার মানসিকতা এবং লক্ষ্য যদি কারো থাকে তার স্বপ্ন একদিন পূরণ হবেই এ নিয়ে কোন কিন্তু নেই। তাই তিনিও এগিয়ে চলছেন লক্ষ্য পূরণ করার দেখে।