অনাবৃষ্টি ও পর্যাপ্ত খাদ্যের অভাবে কমছে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা,গুরুত্ব হারাতে বসছে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম কূলিক পাখিরালায়
1 min readঅনাবৃষ্টি ও পর্যাপ্ত খাদ্যের অভাবে কমছে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা,গুরুত্ব হারাতে বসছে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম কূলিক পাখিরালায়
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,১৫ মে:এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পক্ষীনিবাস হিসেবে পরিচিত উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের কুলিক পাখিরালয়। সেন্সাসের ফলাফল অনুসারে বিগত বছর গুলিতে ক্রমাগত পাখির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এই পাখীরালয়ে। কিন্তু সম্প্রতি ধরা পরছে তার উল্টো চিত্র। সাধারণত প্রতিবছর মে মাসে পরিযায়ী পাখিদের আগমন ঘটে এখানে। নাইট হেরেন ওপেন বিল স্টক কর্মরেন্ট ও এ গ্রেড এই চার প্রজাতির পাখির করতানে মুখরিত হয়ে ওঠে কুলিক পার এর বনভূমি। প্রায় ৬_৭ মাস এখানে প্রজনন থেকে শুরু করে শাবক দের লালন পালন ক্রিয়া সম্পন্ন করে পাখিরা। তারপর তারা নভেম্বর ডিসেম্বর মাসে পাড়ি জন্মায় ভিন দেশে। দীর্ঘ বছর ধরে এই নিয়মেই আসা যাওয়া চলতে থাকে পরিযায়ী পাখিদের। বিগত কয়েক বছরে কুলিক পাখিরালয়ে পাখির সংখ্যা বেড়েছে ঠিক। কিন্তু ২০২৩ সাল থেকে তার ব্যাতিক্রম দেখা যাচ্ছে। বিগত পাঁচ বছরে পাখির পরিসংখ্যানের হিসাবে দেখা যায় ২০১৮ সাল ওপেন বিল স্টক ৬৭ হাজার ২৭০ নাইট হেরেন 9990 এ গ্রেড ১০৭৪৮ কড়মোডেন্ট ১০৫৫৪। মোট ৯৮ হাজার ৫৬২। ২০১৯ সাল ওপেন বিল স্টক পয়ষট্টি হাজার ৮৬৪।
নাইট হেরেন ৮ হাজার ১২৪।এ গ্রেড ১১৯৭০ কড়মোডেন্ট ৭১৩০। মোট ৯৩ হাজার ৮৮ । ২০২০ সাল ওপেন বিল স্টক ৬৮ হাজার ১৬৯ নাইট হেরেন ৭৯৫৬ এ গ্রেড ১৩০৯৪ করমোরেন্ট ১০ হাজার ৪২২ মোট ৯৯ হাজার ৬৩১। ২০২১ সাল ওপেন বিল স্টক ৭১ হাজার ৩০২ নাইট হেরেন ৭৯০৯ এ গ্রেড এগার হাজার ৭৯৮। কড়মোডেন্ট ৭ হাজার ছয় একত্রিশ । মোট ৯৮ হাজার ৭৩৯। ২০২২ সাল ওপেন বিল স্টক ৬৪ হাজার ৫৫ এ গ্রেড ১৯৮৪১ নাইট হেরেন ৮ হাজার ৯৬৭,করমোরেন্ট ৬ হাজার ৫২৮, মোট ৯৯ হাজার ৩৯৩।কিন্তু হঠাৎ ২০২৩ সালে সেই ছন্দের পতন ঘটে জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পরিয়ায়ী পাখিরা সেই ভাবে আসছিলো না গত বছর।শেষ পর্যন্ত আশঙ্কা সত্যি ২০২২ সালের তুলনায় ২০-২২ হাজার পাখী কম এসেছিল ২০২৩ সালে। ২০২৩ সালে পাখীর পরিসংখ্যা হল ওপেনবিল স্টক ৩৭ হাজার ৪৪,নাইট হেরেন ১১ হাজার ৪৪৫,ইগ্রেট ১৯ হাজার ৭০৩,করমোরেন্ট ৯৮৪৮ মোট ৭৮১৪১।এবছরেও একি পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে মূলত বারবার পাখিরালয় পাশদিয়ে বিস্তৃত জাতীয় সড়কে অজশ্র গাড়ি চলাচল পাখীর সংখ্যা কমে যাওয়ার মূল কারণ মনে করা হচ্ছে।কিন্তু এবারে বাইপাশ রাস্তা চালু হয়েছে জাতীয় সড়কে কমে গিয়েছে গাড়ির সংখ্যা তাও পাখীর দেখা নেই মে মাসের ১০ তারিখ পেরিয়ে গেলেও এখনো সে ভাবে পাখী দেখা যায়নি ।এই নিয়ে চিন্তিত রায়গঞ্জের শহরবাসি। তাদেরও ধারনা অনাবৃষ্টি ও পর্যাপ্ত খাদ্য অভাবে কুলীক পক্ষী নিবাস থেকে মূখ ফেরাছে পরিযায়ী পাখিরা।তবে উত্তর দিনাজপুর জেলার ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার দাওয়া লামা এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন পরিযায়ী পাখিরা এবার কম আসবে আমরা আগাম একথা বলতে পারিনা।আমাদের আশা খুব শীঘ্রই বৃষ্টির দেখা মিলবে এবং তার ফলে পরিযায়ী পাখিদের খাদ্যের অভাব থাকবেনা বলেই তার বিশ্বাস।। আমরা চাই আমাদের এই পাখিরালয়ে আরো বেশি বেশি করে আমাদের অতিথি পাখিরা আসুক আমাদের কুলিক পাখিরালয়ে। সুতরাং গুরুত্ব হারানোর কোন প্রস্নই নেই বলে দাওয়া লামা মনে করেন।