কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার উদ্যোগে কর্ম তীর্থ মার্কেট কমপ্লেক্স গড়া হলেও কর্মের কোন সুরাহা আজও হয়নি
1 min readকালিয়াগঞ্জ পৌর সভার উদ্যোগে কর্ম তীর্থ মার্কেট কমপ্লেক্স গড়া হলেও কর্মের কোন সুরাহা আজও হয়নি
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,১৩ মে:শিক্ষিত অথবা অর্ধশিক্ষিত যুবক যুবতীদের কর্ম করে জীবন ধারণ করবার জন্য বর্তমান রাজ্য সরকার কর্ম তীর্থ নামে একটি পরিকল্পনা গ্রহন করে।যে পরিকল্পনার মাধ্যমে পৌর সভার জমিতে পৌর সভা কর্ম তীর্থ মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করবে।পরবর্তীতে সেই মার্কেট কমপ্লেক্স শিক্ষিত অথবা অর্ধশিক্ষিত যুবক যুবতীদের মধ্যে মার্কেট কমপ্লেক্সের রুমের পজিশন অনুসারে চার অথবা পাঁচ লক্ষ টাকা পৌর সভাকে সেলামী দিতে হবে।এর পরেও প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট ভাড়া পৌর সভাকে দিতে হবে। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার নিজস্ব জমিতে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় ঢুকতেই পৌর সভার পূর্ব দিকে এমনি একটি কর্ম তীর্থ মার্কেট কমপ্লেক্স বছর দুই আগে নির্মাণ করা হলেও সেই কর্ম তীর্থ মার্কেট কমপ্লেক্সে আজও সেই অর্থে বেকার যুবকদের কর্ম তীর্থ নামের সাথে কাজের কোন মিল নেই।
পৌর সভার অর্থে আনুমানিক ৪০ টি দোকান ঘর তৈরি করা হলেও মার্কেট কমপ্লেক্স নেবার জন্য বেকার যুবকদেরথেকেই কাছ থেকে বিশাল অংকের সেলামী পৌর সভার পক্ষ থেকে নেবার সিদ্ধান্ত হবার ফলে অর্থশালী ব্যক্তি ছাড়া অনেকের পক্ষেই সেটা নেওয়া সম্ভব নয় বলে সরকারের এই পরিকল্পনাটাই মাঝ পথেই বন্ধ হবার পথে।কালিয়াগঞ্জ শহরের বেশ কিছু যুবকের বক্তব্য বেকার যুবকদের কাছে যদি অর্থ থাকতই তাহলে সেলামির পাঁচ লক্ষ না দিয়ে তারা অন্য ব্যাবসা সহজেই করতে পারতো।তাদের বক্তব্য বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুরাহা করবার জন্য সরকার ঘরের সেলামী বাবদ দেড় লক্ষ্ খুব বেশি হলে নিতে পারে।তার বেশি নয়।কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌর পিতা রাম নিবাস সাহাকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন সরকারের নিয়ম অনুসারে যে ভাবে করার কথা সেই ভাবেই আমরা কর্ম তীর্থ মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করে তার উদ্বোধনও করেছি।তিনি বলেন কেও যদি মনে করে থাকে সেলামীর পরিমাণ বেশি হয়েছে সেটা কমানোর দাবি প্রত্যেকেই করতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষিত বেকার যুবকরা বলেন দের লক্ষ টাকা করে পৌর সভা যদি সেলামী র ব্যাবস্থা করতো তাহলে কোন ঘরই এখনো পড়ে থাকতো না।তার ফলে কর্ম তীর্থ মার্কেট কমপ্লেক্স নামের প্রকৃত স্বার্থক রূপ পেত,কাগজ কলমে বাঘ হয়ে থাকতে হতনা।এতদিন পৌর সভার কর্ম তীর্থ মার্কেট কমপ্লেক্স কর্ম চাঞ্চল্যে যে ভরে উঠতো সেটা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়।