শিক্ষকতা ও সমাজ সেবার মত গুরুত্বপুর্ন কাজ সামলে টেনহরী গ্রামের শিক্ষক মাধব দাস জৈব সার দিয়ে কৃষিকাজে বিপ্লব ঘটাচ্ছে
1 min readশিক্ষকতা ও সমাজ সেবার মত গুরুত্বপুর্ন কাজ সামলে টেনহরী গ্রামের শিক্ষক মাধব দাস জৈব সার দিয়ে কৃষিকাজে বিপ্লব ঘটাচ্ছে
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,১৪ মে: উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সাথে সাথে সমাজসেবার মত গুরুত্বপুর্ন কাজ সামলে উত্তর দিনাজপুর জেলার টেনহরি গ্রামের মাধব দাস জৈব সার দিয়ে কৃষি কাজে অসাধ্য সাধন করতে চলেছে বলে জানা যায়।শিক্ষক মাধব দাস তার টেনহরি গ্রামের বাড়িতে নিয়মিত ভাবে জৈব সারের মাধ্যমেই সমস্ত রকমের সব্জি র সাথে বাহারি ফুলের চাষ রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ঔষুধ ছাড়াই করা যায় সেটা মাধব দাস প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছেন।
মাধব দাস তার বাড়িতে এমন কোন সব্জি নেই যা তার বাড়িতে চাষ হয়না বলে জানান।বিভিন্ন ফল চাষের মধ্যে মাধব বাবু যেসব করে থেকে তার মধ্যে আছে ড্রাগন ফল, স্ট্র বেরি,সবেদা,মুশাম্বি, কলা ছা রাও কি নেই তার ফলের বাগিচায়?তবে শুধু সব্জি বা ফল করেই মাধব বাবু থেমে থাকেনি।তবে মাধব বাবু তার বাড়িতে যত যাবতীয় চাষ করেন তার মুল হাতিয়ার জৈব সার।মাধব বাবু বলেন জৈব সার দিয়ে যে সমস্ত ফসল আমি উৎপাদন করছি উত্তর দিনাজপুর জেলার অনেক উন্নত কৃষক এসব দেখে অবাক হয়ে যায় বলে মাধব দাস জানান।তিনি বলেন তার বাড়িতে জৈব সারের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতের গোলাপ,চন্দ্র মল্লিকা, জবা, জারবেরা প্রভৃতি ফুলের চাষ গ্রামের অন্যান্য উৎসাহী যুবকরা দেখে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে চাষ আবাদ শুরু করে দিয়েছে বলে তিনি জানান। টেনহরি গ্রামের যুবক অজয় দাস বলেন মাধব দাস আমাদের এই গ্রামের সবার কাছেই অনুপ্রেরণা।মাধব দাসের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে আমার মত অনেকেই জৈব সারকে হাতিয়ার করে চাষ আবাদ শুরু করেছে।মাধব দাস আমাদের গ্রামের গর্ব বলতে পারেন। টেনহরি গ্রামের বাসিন্দা তথা শিক্ষক সঞ্জীবন দাস বলেন মাধব বাবুর মত এমন মানুষ সব গ্রামে থাকলে এখনো যে সমস্ত কৃষকরা না বুঝে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ঔষুধ ব্যাবহার করে চলেছে তারা জৈব সারের উপকারিতা বুঝে রাসায়নিক সারকে চিরদিনের মত পরিত্যাগ করতে পারতো