October 11, 2024

ভূতের আতঙ্কে দিশেহারা কালিয়াগঞ্জ এর একটি গ্রাম ।

1 min read

ভূতের আতঙ্কে দিশেহারা কালিয়াগঞ্জ এর একটি গ্রাম ।

তন্ময় চক্রবর্তী :– প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে, উন্নত হচ্ছে চিন্তাভাবনা। কিন্তু, তার মধ্যেও এখনও পর্যন্ত কুসংস্কারাচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষ এখন আধুনিক। তবে তা সত্ত্বেও মানুষের মন থেকে ভূতের আতঙ্ক এখনও পর্যন্ত কাটছে না। বিজ্ঞান যাই বলুক না কেন, অন্ধকারে আজও ভূতের আতঙ্ক গ্রাস করে মানুষকে। বিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে যখন বিজ্ঞানের অগ্রগতি হচ্ছে জোরকদমে ঠিক তখন ভারতবর্ষের এমন কিছু গ্রাম রয়েছে সেখানে এখনো কুসংস্কারে আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে সাধারণ গ্রামবাসীরা। এমন একটি গ্রামের ছবি ধরা পরল যেখানে গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই এখন ভয় পাচ্ছেন ভূতের। কারণ একটাই তাদের মনে এমন বাস বেঁধে গিয়েছে যে গত দু-তিন মাস ধরে এই গ্রামে পরপর তিনটি আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ধনকৈল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চক শিবানন্দপুর এ।

এখানে এতটাই সাধারণ মানুষের মধ্যে ভূতের আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে যে সন্ধ্যা হতে না হতে তারা আর ঘর থেকে বেরোচ্ছে না। শুধু তাই নয় দিনের বেলাতেও এখানকার গ্রামবাসীদের মধ্যে চোখে মুখে ভূতের  আতঙ্কের ছাপ দেখা যাচ্ছে। এদিকে এই ঘটনার খবর জানা মাত্রই কালিয়াগঞ্জ ব্লক মেডিকেল অফিসার সহ জেলার ডেপুটি সি এম ও এইচ ঘটনাস্থলে এসে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের আশ্বস্ত করেন এবং আগামী দিনে গ্রামবাসীদের করণীয় কি সে ব্যাপারেও তারা গ্রামবাসীদের একত্রিত করে সচেতন করেন।।

এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য জয়ন্ত রায় বলেন এই গ্রামে বেশ কিছুদিন ধরে পরপর কয়েকটি আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটে যাওয়ায় গ্রামবাসীদের মধ্যে ধারণা সৃষ্টি হয়েছে এটা কোন অপদেবতার কাজ তাই এমন ভাবে আত্মহত্যা হচ্ছে গ্রামে। যার ফলে গ্রামবাসীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক দেখা দিয়েছে ভূতের। সন্ধ্যা হতে না হতেই গ্রামের মানুষরা আর ঘর থেকে বেরোচ্ছে না। আজ এই ঘটনার খবর শোনা মাত্রই প্রশাসন থেকে এখানে এসে সাধারণ গ্রামবাসীদের মধ্যে সচেতনতা করা হলো।

 

অন্যদিকে গ্রামের বাসিন্দা বাপি বর্মন জানান গ্রামে আমরা দেখতে পাচ্ছি একের পর এক মানুষ মারা যাচ্ছে আত্মহত্যা করে। কেন এমন ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত তা আমরা বলতে পারছি না। আমরা বুঝতে পারছি এর পিছনে ভূত-পেতের কোন কারসাজি রয়েছে। তাই সন্দেহ হতে না হতে সকলেই বাড়িতে ঢুকে পড়ছে এবং বাড়ির দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে।। কেউই ভয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। অন্যদিকে গ্রামের এক মহিলা সুনীতি বর্মন জানান গ্রামে একের পর এক গলায় দড়ি ধরে আত্মহত্যা মত ঘটনা ঘটছে বিনা কারণেই। কেন এমন ঘটনা ঘটছে তা বুঝে উঠতে পারা যাচ্ছে না। আমরা তাই ভূতের আতঙ্কে দিন গুজরং করছি। খুবই আতঙ্ক পাচ্ছি আমরা। সন্ধ্যার পর আর বাড়ি থেকে বেরোচ্ছি না। এমন মত প্রকাশ করেন গ্রামের অধিকাংশ মানুষই।অন্যদিকে জেলার ডেপুটি সিএম ও এইচ মলয় আদব বলেন এই গ্রামে বেশ কিছুদিন ধরে আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটছে। আর যার কারণে সাধারণ গ্রামবাসীদের মধ্যে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ভূতের ভয় পাচ্ছে তারা। বাড়ি থেকে কেউই বের হতে চাচ্ছেনা সন্ধ্যার পর। এই খবর পাওয়া মাত্র আমরা এখানে এসে গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে তাদেরকে সচেতন করছি এবং আগামী দিনে কি কি করা উচিত গ্রামবাসীদের সেটাও আমরা বুঝিয়েছি।।এদিকে যখন প্রশাসনের কর্মকর্তারা গ্রামের সাধারণ মানুষদের কাছে আসেন তখন এই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই তাদের আতঙ্কের কথা তাদের সামনে ব্যক্ত করেন। প্রত্যেকের একই বক্তব্য ভুতের আতঙ্ক তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে যার ফলে তারা সন্ধ্যার পর আর বাড়ি থেকে বের হতে চাইছেন না। সেদিন দেখা গেল প্রশাসনের কর্মকর্তাদের গোটা গ্রাম ঘুরে বেড়ায় এবং সাধারণ মানুষদের মধ্যে ভূত নিয়ে যে একটা গুজব ছড়িয়েছে সে বিষয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে সচেতন করান।তবে যাই হোক না কেন চক শিবানন্দপুর গ্রামে ভূতের আতঙ্কে সাধারণ মানুষদের দিশাহারা তা নিঃসন্দেহে বলা যেতেই পারে।।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *