বন্যা থেকে বাঁচতে মহানন্দা অ্যাকশন প্ল্যানের দাবি
1 min readপ্ল্যানের খবর নেই । ফিবছর মহানন্দা সংলগ্ন এলাকা প্লাবিত
হলেও তা রোধ করার নেই কোন তাগিদ । চাকুলিয়া
ও ডালখোলা থানা এলাকার টিটিহা,সাহাসপুর, ডাইটন শিমুলিয়া, বস্তাডাঙ্গি সহ বিস্তির্ণ এলাকা প্লাবিত
হয় প্রায় প্রতি বছর ।দীর্ঘদিনের দাবি উঠলেও মাস্টার প্ল্যান
তৈরি হয় নি । উত্তরে বৃষ্টি হলে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায়
বিনিদ্র রাত কাটায় অন্তত ৩০ টি গ্রামের মানুষ । উল্লেখ্য, বিহার –বাংলা সীমান্ত ঘেষে বয়ে গেছে মহানন্দা
।গতবছর বন্যার জেরে বিহারের কিষনগঞ্জ ও উত্তর দিনাজপুর জেলার
চাকুলিয়া, ডালখোলা ও করণদিঘি
থানা এলাকার বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয় । প্রবল জলের স্রোতে ভেঙে বিহারের অঝরাইল
রেল সেতু ভেঙে যায় পাশাপাশি রাজ্য সড়কের বহু সেতু ক্ষতিগ্রস্থ হয় । গ্রামের পর গ্রাম চলে যায় জলের তলায় ।ক্ষয়ক্ষতি হয়
প্রচুর ফসলের । এবার বর্ষা আ
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সতেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন
। প্রকৃতি কখন কি রুপ নেবে তা নিয়েই দুশ্চিন্তা বাসিন্দাদের মনে । বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসনও । এবিষয় জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মিনা
জানান, “ এলাকার সমস্যার বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে ।”জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে ,ওই এলাকায় মহানন্দা নদী বিহার রাজ্যের
সীমানা দিয়ে বয়ে চলেছে । সেখানে ওই এলাকায় রাজ্য সরকারের পক্ষে
এককভাবে কোন অবস্থায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না । সেখানে বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার যৌথভাবে কাজ করলে সমস্যার সমাধান হতে পারে ।
বাসিন্দা আসলাম হুসেনরা জানান, ফিবছর তাদের বহু জমি মহানন্দায় তলিয়ে গেছে । এছাড়া মহানন্দার বন্যায় অন্যান্য জমিও বালিয়াড়িতে পরিনত হয়েছে। ভোটের আগে নেতা মন্ত্রীরা নদী বাঁধের আশ্বাস দিয়ে ভোট নেয় । তারপরে প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে যায় ।তারা অবিলম্বে
মহানন্দা অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি ও তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি তুলেছেন ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিধায়ক আলি ইমরান রামজ জানান, “ প্রতি বছরই ওই এলাকায় সমস্যা দেখা দেয় । গতবার নতুন করে লাহিল ও হাটোয়ার প্লাবিত হয়ে যায় ।টিটিহা গ্রামে বিধায়ক তহবিল থেকে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা খরচ করে
একটি ফুট ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে ।মহানন্দা প্লাবিত হলে অন্তত এলাকার বাসিন্দারা গরু ছাগল নিয়ে
নিরাপদ স্থানে যেতে পারেন । গতবারের বন্যার ভয়াবহ চিত্র ও সাধারণ
মানুষের দুর্দশার কথা রাজ্যের সেচমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম । কিন্ত কাজের কাজ কিছুই হয় নি । এমনকি গোয়ালপোখর বিধানসভার প্রাক্তন
বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী হাফিজ আলম সৈরানির উদ্যোগে নির্মিত নদী বাঁধ সংস্কারের
অভাবে বেহাল হয় পড়ে আছে দেখার কেউ নেই ।”
এবিষয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানী জানান, ‘ স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত জেলা
প্রশাসনকে বন্যার ব্যাপারে আগাম সতর্কতা নিতে বলা হয়েছে ।’
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});