জুয়া বেডেছে ইসলামপুরে প্রশাসন নীরব দর্শক
1 min read
তপন
কুমার বিশ্বাস, ইসলামপুর, ইসলামপুর
শহরের বিভিন্ন জায়গায় অনলাইনে জুয়া খেলা রমরমিয়ে চলছে। টাকা কামানোর সহজ রাস্তা
ভেবে অনেকেই অনলাইন জুয়া মাফিয়াদের খপ্পড়ে পরে সর্বস্ব খুইয়ে পথে বসেছেন। একই
সঙ্গেই বিভিন্ন ক্লাব ডোনেশনের নামে ইসলামপুরের একাধিক ক্লাব লটারি খেলা চালাচ্ছে।
পুলিশের নাকের ডগায় এধরনের জুয়া খেলা চলায় প্রশাসনের ভূমিকায় নিয়ে বিভিন্ন মহলে
প্রশ্ন উঠেছে।
কুমার বিশ্বাস, ইসলামপুর, ইসলামপুর
শহরের বিভিন্ন জায়গায় অনলাইনে জুয়া খেলা রমরমিয়ে চলছে। টাকা কামানোর সহজ রাস্তা
ভেবে অনেকেই অনলাইন জুয়া মাফিয়াদের খপ্পড়ে পরে সর্বস্ব খুইয়ে পথে বসেছেন। একই
সঙ্গেই বিভিন্ন ক্লাব ডোনেশনের নামে ইসলামপুরের একাধিক ক্লাব লটারি খেলা চালাচ্ছে।
পুলিশের নাকের ডগায় এধরনের জুয়া খেলা চলায় প্রশাসনের ভূমিকায় নিয়ে বিভিন্ন মহলে
প্রশ্ন উঠেছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় বিধায়ক তৃণমূল
কংগ্রেসের কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, “এই অবৈধ ব্যাবসা বন্ধ করতে পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি ।”
ইসলামপুর মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র দামোদর আগরওয়াল বলেন, “অনলাইনে
জুয়া চালানো ব্যবসায়ীরা আমাদের কোনও ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্য নয়। তারা অনৈতিকভাবে
ব্যাবসা করছে। এই অবৈধ ব্যাবসা বন্ধ করতে পুলিশকে আমরা বহুবার জানিয়েছি। এক দু’দিন
অভিযান চললেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি ।”জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, বিষয়টি উদ্বেগের ।
এবিষয়ে সব থানাকে নির্দেশিকা পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , ইসলামপুরের
পুরাতন বাস স্ট্যান্ড, কংগ্রেস রোড, চৌরঙ্গী মোড়, স্টেশন রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে
অনলাইন লটারি খেলা রমরমিয়ে চলছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতি পাঁচ মিনিট অন্তর ওই
খেলা হয়। অনলাইনে দুই থেকে পাঁচ টাকার টিকিট কিনলে ১৫০-১৮০ টাকা পাওয়া যেতে পারে।
টাকা কমানোর সহজ উপায় হিসাবে অনলাইন লটারি কাউন্টারে বসে অনেকে টিকিট কেটেই
চলেছে। দু’একবার
মিললেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মেলে না। বিশেষ করে যুব সমাজ এবং খেটে খাওয়া মানুষ এই
খেলায় বেশি আসক্ত হয়ে পড়েছে। সারাদিনে রোজগার করা অর্থ রাতে এক দু’ঘণ্টার
মধ্যে জুয়ায় উড়িয়ে দিয়ে শূন্য হাতে বাড়ি ফিরে পরিবারের সঙ্গে তারা বিবাদে জড়িয়ে
পড়ছেন। এর ফলে পারিবারিক হিংসা, চুরি, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা বাড়ছে।পাশাপাশি সম্প্রতি ইসলামপুর শহরে
বাইকচুরি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠছে । ওই চক্র লটারি ও জুয়ার সাথে যুক্ত থাকতে পারে ।
শহরের ওয়াকিবহাল মহল জানিয়েছেন, জুয়া নিয়ন্ত্রন আনতে পারলে চুরি ও ছিনতাই বহুগুনে
কমে যাবে । কিন্ত পুলিশ প্রশাসনকে সেটা বোঝায় কে?
অন্যদিকে, সম্প্রতি ইসলামপুরের বহু ক্লাব ডোনেশন কাম গিফট কুপন ছাপিয়ে
রাস্তায় নেমেছে। টিকিটের মূল্যের নাম মাত্র টাকা টিকিটের দাম এবং বাকি ডোনেশন -এই
ফর্মুলায় টিকিট বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্লাবগুলি ঘুর পথে অবৈধভাবে লটারি খেলা চালাচ্ছে ।
এবিষয়ে ক্লাবগুলির দাবি , তারা সামাজিক কাজ করার জন্যই ডোনেশন কুপনের মাধ্যমে ‘ফান্ড’
জোগাড় করে সামাজিক কাজকর্ম করে থাকি। এই পরম্পরা দীর্ঘদিন থেকেই চলছে ইসলামপুরে ।
এবিষয়ে মহকুমার পুলিশ আধিকারিক ডঃ সোমনাথ
ঝা বলেন, “অবৈধভাবে
চলা অনলাইন লটারি বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় গ্রহণ করা হবে । এছাড়া ক্লাবগুলির
তত্বাবধানে যে লটারি খেলাগুলি হচ্ছে তার
বৈধ অনুমতি আছে কি না তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});