পথের সাথী প্রকল্পে স্বনির্ভর এক ঝাক মহিলা, উত্তর দিনাজপুরে
1 min read
তন্ময় দাস,উত্তর দিনাজপুর ঃ যিনি রাঁধেন , তিনি চুলও বাঁধেন৷ নিজেদের জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেন ওরা আর কেউ নয়,ওরা স্বনির্ভর গৃহবধূ নিজেদের বাড়ির কাজ সামলান তার পাশাপাশি সামলান পথের সাথী৷ কয়েক দিন আগে পর্যন্ত তাঁদের জীবন ছিল গতানুগতিক ছন্দে বাঁধা৷ নিম্নবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের আর পাঁচ জন বধূর মতো তাঁরাও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সংসারের নানা কাজে ব্যস্ত থাকতেন৷ আর আজ তাঁরাই জাতীয় সড়কের ধারে একটি ঝাঁ চকচকে হোটেলের সর্বময় কর্তা৷ এই মহিলারাই সামলাচ্ছেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ‘পথের সাথী ’ পান্থনিবাসের যাবতীয় কাজকর্ম৷ রাজ্যের উত্তর দিনাজপুর জেলাতেও গড়ে উঠেছে এই পান্থ আলয়, ইটাহার ও ডালখোলাতে ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলার পরিচালনা করছেন, জেলার ইটাহার ব্লকে মোট ৭২ জন মহিলা এইখানে দ্বায়িত্ব এ রয়েছেন থেকে ৭২ জন মহিলাকে বেছে নেওয়া হয়েছে৷ তবে কেউ হয়তো আস্তে পারেন না সংসারের চাপে প্রতিদিন, এই মহিলাদের উপরেই রয়েছে ‘পথের সাথী ’ পরিচালনা দায়িত্ব৷
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে উত্তর দিনাজপুর জেলা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে গড়ে উঠেছে দুইটি হোটেল৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তার নাম দিয়েছেন ‘পথের সাথী ’৷ দক্ষিণবঙ্গ থেকে উওরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি যাওয়ার য়াওয়ার সময় য়েমন পথে অনেকেই দাঁড়ান একটু বিশ্রাম এর জন্য তার সু ব্যবস্থা ছিল না মূলত তাঁদের কথা ভেবেই তৈরি হয়েছে এই হোটেল৷ ক্লান্ত পথচারীদের বিশ্রামের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরের পাশাপাশি রয়েছে খাওয়া দাওয়ার এলাহি বন্দোবস্তও৷ এই সরকারি পান্থশালার গোটা দায়িত্বটাই এখন সামলাচ্ছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ৭২ জন মহিলা৷ রান্না থেকে শুরু করে অতিথি আপ্যায়ন-সবই এক হাতে সামলাচ্ছেন তাঁরা৷
এই কাজটা কিন্ত্ত তাঁদের পক্ষে খুব একটা সহজ ছিল না পাশের বাড়ি, পাড়া থেকে এমন কি পরিবার থেকেও বাধা এসেছিল প্রতি ধাপে৷ মুখোমুখি হতে হয়েছে বহু তির্যক মন্তব্যের৷ ঘরের বধূরা রাস্তার ধারের হোটেল চালাবেন-অনেকেই বিষয়টা সহজ ভাবে মেনে নেননি৷ তবে হাল ছাড়েননি ইটার ব্লকের বিডিও এই মহিলারা ৷
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সকালে কচুরি -আলুর দম আর চা দিয়ে শুরু হয় ব্রেকফাস্ট৷ দুপুরে থাকে ভাত , ডাল , সব্জি , মাছ , মাংস-সবই৷ রাতে ভাত , রুটি সবই মেলে তাছাড়া রাতে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে, রয়েছে এসি ৷ রান্নাবান্নার পাশাপাশি বাজার -হাট সবই করেন দায়িত্বে থাকা মহিলারা৷
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});