কালিয়াগঞ্জের পার্বতী সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে মদের বোতল! মাদকাসক্তদের উৎপাতে ক্ষোভ বাড়ছে এলাকায়
1 min readকালিয়াগঞ্জের পার্বতী সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে মদের বোতল! মাদকাসক্তদের উৎপাতে ক্ষোভ বাড়ছে এলাকায়
তন্ময় চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ সরকার থেকে ড্রাগ বিরোধী দিবস ঘটা করে পালন করলেও উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পার্বতী সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে নিত্যদিনের দৃশ্য সম্পূর্ন আলাদা। কালিয়াগঞ্জ পার্বতী সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে দিনের পর দিন এক শ্রেণীর যুবকরা অবাধে রমরমিয়ে ড্রাগের নেশা চালিয়ে যাচ্ছে। আর তা বন্ধে স্কুল এর পরিচালক মন্ডলী থেকে প্রশাসনের নেই কোনও ভূমিকা নেই বলে অভিযোগ উঠেছে।প্রতিবছরই সর্বনাশা ড্রাগ বিরোধী দিবস পালন করা হয় স্কুল, কলেজ, পুলিশ-প্রশাসন থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে।
অথচ সেসব শুধুই কাগজ কলমেই সীমাবদ্ধ। কালিয়াগঞ্জ শহরের প্রাণ কেন্দ্রে পার্বতী সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সন্ধ্যা নামতেই শুরু হয়ে যায় এক শ্রেণীর যুবকদের মধ্যে ড্রাগের প্রতিযোগিতা। প্রতিদিন বিদ্যালয় খুললেই ছাত্ররা বিদ্যালয় চত্বরের মাঠে দেখতে পায় বিভিন্ন ধরনের নেশার সামগ্রী পড়ে থাকতে। যা ছাত্র সমাজের সামনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে বলে সাধারণ মানুষ মনে করছেন।
কালিয়াগঞ্জ শহরের শহরের একটি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ে নিয়মিত এই ধরনের দৃশ্য দেখা গেলেও প্রতিদিন সন্ধ্যায় বিদ্যালয় চত্বরে এই অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে প্রশাসনের যে ভূমিকা থাকা দরকার সেই ভূমিকা এলাকাবাসী দেখতে পায়না বলে বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষজন অভিযোগ করেছেন।
কালিয়াগঞ্জ পার্বতী সুন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ দীর্ঘদিন ধরে মদ মাতালদের স্বর্গ রাজ্য হবার ফলে এই মাঠ দিয়ে এলাকার মহিলারা যাবার সাহস পান না। একটা বিদ্যালয়ের মাঠে খোলা মেলা কিভাবে দুষ্কৃতকারীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠতে পারে তা ভেবে পাচ্ছেন না এলাকার মানুষও। বিদ্যালয়ের পরিচালক মন্ডলী, প্রশাসন এবং পৌরসভার সদর্থক ভূমিকা যদি থাকতো তাহলে কখনই এই ঘটনা ঘটতে পারতো না বলে সাধারণ মানুষের অভিমত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলার বলেন, সন্ধের পর আমরা ভয়ে ওই পথে যায় না।
স্কুল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিলে এমন ঘটনা ঘটতো না। কালিয়াগঞ্জ পার্বতী সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানালেন, এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের যে তৎপরতা নেওয়া উচিৎ ছিল সেই তৎপরতা তিনি নেননি।
ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। স্কুলের বিল্ডিং এর মধ্যে কিভাবে মদের বোতল পড়ে রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তো উঠবেই। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের উচিত এলাকার মানুষদের নিয়ে একটি বৈঠক করা। সেই বৈঠকে যেমন বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষরা উপস্থিত থাকবেন ঠিক তেমনভাবেই পুলিশ আধিকারিকদেরও এই বৈঠকে থেকে একটা জোরালো সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যাতে বিদ্যালয়ের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখা যায়। এদিকে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার উপপুরপ্রধান ঈশ্বরচন্দ্র রজক জানান, এটা সত্যি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। একটা স্বনামধন্য স্কুলের এ ধরনের ঘটনা কখনোই কাম্য নয়।