বাংলার আবাস যোজনায় গরিব মানুষের জন্য ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩৩৩টি বাড়ি তৈরি হবে
1 min read
বর্তমান আর্থিক বছরে গ্রামীণ এলাকায় বাংলার আবাস যোজনায় গরিব মানুষের জন্য ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩৩৩টি বাড়ি তৈরি হবে। কেন্দ্রীয়
সরকার
ঠিক
করেছিল,
বাড়ির
মালিকদের
চারটি
কিস্তিতে
ওই
টাকা
দেওয়া
হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, চারটি কিস্তিতে টাকা দিলে বাড়ি তৈরি হবে কী করে? দুই কিস্তিতে সেই টাকা দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রীর
নির্দেশে
পঞ্চায়েত
দপ্তর
থেকে
কেন্দ্রীয়
গ্রামোন্নয়ন
মন্ত্রকে
দফায়
দফায়
চিঠি
লিখে
কিস্তির
সংখ্যা
কমানোর
জন্য
আবেদন
করা
হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক দুই কিস্তিতে টাকা দিতে রাজি হয়নি। শেষ
পর্যন্ত
অনেক
দড়ি
টানাটানির
পর
কেন্দ্রীয়
সরকার
তিন
কিস্তিতে
টাকা
দিতে
রাজি
হয়েছে।
সরকার
ঠিক
করেছিল,
বাড়ির
মালিকদের
চারটি
কিস্তিতে
ওই
টাকা
দেওয়া
হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, চারটি কিস্তিতে টাকা দিলে বাড়ি তৈরি হবে কী করে? দুই কিস্তিতে সেই টাকা দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রীর
নির্দেশে
পঞ্চায়েত
দপ্তর
থেকে
কেন্দ্রীয়
গ্রামোন্নয়ন
মন্ত্রকে
দফায়
দফায়
চিঠি
লিখে
কিস্তির
সংখ্যা
কমানোর
জন্য
আবেদন
করা
হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক দুই কিস্তিতে টাকা দিতে রাজি হয়নি। শেষ
পর্যন্ত
অনেক
দড়ি
টানাটানির
পর
কেন্দ্রীয়
সরকার
তিন
কিস্তিতে
টাকা
দিতে
রাজি
হয়েছে।
পঞ্চায়েত দপ্তর
সূত্রে
জানা
গিয়েছে,
গরিব
মানুষের
বাড়ি
তৈরি
করার
জন্য
কেন্দ্রীয়
সরকার
২০১৬
সালে
প্রধানমন্ত্রী
আবাস
যোজনা
চালু
করে। ওই প্রকল্পে বাড়ি করতে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। আর
মাওবাদী
অধ্যুষিত
এলাকা
বলে
পরিচিত
ঝাড়গ্রাম,
পশ্চিম
মেদিনীপুর,
পুরুলিয়া
ও বাঁকুড়াতে
বাড়ি
তৈরি
করতে
১ লক্ষ
৩০
হাজার
টাকা
দেওয়া
হয়। এই টাকার মধ্যে ৬০ শতাংশ কেন্দ্রীয় সরকার দেয় আর বাকি ৪০ শতাংশ দেয় রাজ্য সরকার। যেহেতু
৪০
শতাংশ
টাকা
রাজ্য
দিচ্ছে,
তাহলে
প্রধানমন্ত্রীর
নামে
এই
প্রকল্প
কেন
থাকবে,
তা
নিয়ে
প্রশ্ন
তোলেন
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশেই বদলে যায় প্রকল্পের নাম। এই
রাজ্যে
প্রকল্পের
নাম
দেওয়া
হয়,
বাংলার
আবাস
যোজনা।
গত তিন বছরে রাজ্যে ১৩ লক্ষ ৭৫ হাজার ৮৫টি বাড়ি অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। তার
মধ্যে
ইতিমধ্যে
বাড়ি
তৈরি
হয়েছে
৭ লক্ষ
৩৫
হাজার
৫০৯টি। বাকি বাড়ি তৈরির জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয় রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর। গত
৩১
জানুয়ারি
বাংলার
আবাস
দিবস
পালন
করা
হয়। সেখানে ৫ লক্ষ ৬৭ হাজার ৯০২ জনকে বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই
দিন
নেতাজি
ইন্ডোর
স্টেডিয়ামে
বাংলার
আবাস
দিবস
পালন
অনুষ্ঠানে
মুখ্যমন্ত্রী
জানিয়ে
দেন,
চার
কিস্তিতে
টাকা
পেলে
বাড়ি
তৈরি
হবে
কী
করে?
দুই
কিস্তিতে
টাকা
দিতে
হবে। কিন্তু আপত্তি তোলে কেন্দ্রীয় সরকার। তারা
জানিয়ে
দেয়,
দুই
কিস্তিতে
টাকা
দেওয়া
সম্ভব
নয়।
নবান্নের এক
উচ্চপদস্থ
অফিসার
জানিয়েছেন,
মুখ্যমন্ত্রী
বাস্তবিক
ও যুক্তিযুক্ত
কথা
বলেছেন। তিনি চান, গরিব মানুষের মাথায় যেন আচ্ছাদন থাকে। খেপে
খেপে
টাকা
পেলে
কী
করে
হবে?
আমরা
বাস্তবিক
অবস্থার
কথা
জানিয়ে
চিঠি
লিখেছি। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার রাজি হয়নি। ওরা
তিন
কিস্তিতে
টাকা
দিতে
রাজি
হয়েছে। বর্তমানে ৪৮ হাজার টাকা করে ৫ লক্ষ ৬৭ হাজার ৯০২ জনকে বাড়ি তৈরির জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে। শুধু
কিস্তিতে
টাকা
দেওয়া
নয়,
প্রকল্পের
নাম
বদলেও
আপত্তি
জানিয়েছে
কেন্দ্রীয়
গ্রামোন্নয়ন
মন্ত্রক। রাজ্যে বাংলার আবাস যোজনা বলা হলেও কেন্দ্রীয় সরকারের চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) বলা হচ্ছে। পাহাড়ি
এলাকা
ছাড়াও
রাজ্যের
প্রতিটি
জেলাতেই
গরিব
মানুষের
বাড়ি
তৈরির
প্রকল্প
হচ্ছে। পাহাড়ি এলাকায় বাড়ি তৈরির দায়িত্বে রয়েছে জিটিএ। সেখানে
জনজাতিদের
নিয়ে
তৈরি
বোর্ডগুলি
বাড়ি
তৈরির
জন্য
২ লক্ষ
৭৫
হাজার
টাকা
করে
দিচ্ছে। ফলে এই প্রকল্পে আগ্রহ কম।