বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে দু’কূল ছাপায় নাগর, পড়াশোনা শিকেয় ওঠে রাঘবপুর বিদ্যালয়ে
1 min readবাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে দু’কূল ছাপায় নাগর, পড়াশোনা শিকেয় ওঠে রাঘবপুর বিদ্যালয়ে
প্রদীপ সিনহা করণদিঘী জলাশয়ের ধারে স্কুল। আর পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে নাগর নদী। বর্ষায় ফুলে ফেঁপে ওঠে । তার জেরে ২০১৭ সালেই বাঁধ ভেঙেছিল। সে বাঁধ এখনও মেরামত হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে বৃষ্টি হলেই ভাঙা বাঁধের রাস্তার জল জমে কোমর সমান। কখনও বা তারও বেশি। ফলে অভিভাবকেরা ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে চান না। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পড়াশোনা।
এভাবেই চলছে উত্তর দিনাজপুরের পূর্ব রাঘবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। জেলার করণদিঘি ব্লকের লাহুতারা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচভায়া এলাকায় অবস্থিত স্কুলটি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০১৭ সালের বন্যায় স্কুলের ভেঙে যায় নদী বাঁধ। তার ফলে স্কুলের পাশেই একটি বড় জলাশয়ের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও আজ অবধি বাঁধ মেরামত করা হয়নি।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক কেরামত আলি জানান, স্কুলে আড়াইশো জন ছাত্রছাত্রী। আশপাশের চারটি গ্রাম মিলিয়ে এই বিদ্যালয়। কিন্তু বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় বর্ষাকালে তিনটি গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসতে পারে না। নাগর নদী থেকে একশো মিটার দুরেই এই স্কুল।
ফলে অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের স্কুলে পঠাতে ভরসা পান না। গ্রামবাসীরা বারবার বাঁধ মেরামতির জন্য দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে। স্কুলের পক্ষ থেকেও সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।প্রধান শিক্ষক কেরামত আলি জানান, পুর্ব রাঘবপুর ছাড়াও নয়া টোলা, ভুতটোলা রাঙ্গামাটি গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে লেখা পড়া করতে আসত। বর্তমানে স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কম। স্থানীয় বাসিন্দা জিয়াউল হক জানান, এলাকার বিধায়ক ও প্রশাসনকে জানানোর পর বাঁধ মেরামত করার জন্য একবার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু কাজ হয়নি। আবারও সবাইকে জানাতে হবে।