‘বাংলায় আসুন। ওটা আপনাদের নিজেদেরই ঘর ফ্র্যাঙ্কফার্টের শিল্প সম্মেলনে রাজ্যকে উপস্থাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
1 min readরুমে
তখন
হাততালির
ঝড়। একইসঙ্গে নেতাজির সঙ্গে জার্মানির গভীর সম্পর্কের কথা টেনে শিল্পপতিদের বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।, ‘বাংলায়
আসুন। ওটা আপনাদের নিজেদেরই ঘর। আমাদের
স্বাধীনতা
সংগ্রামী
এখানকার
মেয়েকে
বিয়ে
করেছেন। সেই সূত্রে আপনারা তো আমাদের পরিবারের অংশ।’
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জুমেইরা হোটেলের
শিল্প
সম্মেলনে
এদিন
পশ্চিমবঙ্গের
শিল্পবান্ধব
পরিবেশ
তুলে
ধরতে
একাধিক
উদাহরণ
তুলে
ধরেন
রাজ্যের
প্রতিনিধিদলের
সদস্য
হর্ষ
নেওটিয়া,
পূর্ণেন্দু
চট্টোপাধ্যায়,
মায়াঙ্ক
জালান,
তরুণ
ঝুনঝুনওয়ালারা। পাল্টা ভারত তথা বাংলার সঙ্গে পুরনো সম্পর্কের কথা বলেন জার্মান বণিকসভার শীর্ষ নেতৃত্ব। এতে
আপ্লুত
মমতা। বক্তব্যের শুরুতে বলেন, ‘আপনারা যেভাবে পশ্চিম
বঙ্গকে ব্যাখ্যা করলেন, আমি সেটা পারতাম না। এটা
খুব
সত্যি
যে,
জমি,
জল,
বিদ্যুতের
মতো
শিল্পের
জন্য
অত্যাবশ্যকীয়
সরঞ্জাম
আমাদের
কাছে
অফুরন্ত। তাই পশ্চিমবঙ্গই বিনিয়োগের অন্যতম গন্তব্য।’ বিনিয়োগ
নিয়ে
বিস্তারিত
আলোচনা
করতে
আজ,
বুধবার
প্রতিনিধিদল
নিয়ে
ডুসেলডর্ফ
যেতে
পারেন
রাজ্যের
অর্থ
এবং
শিল্পমন্ত্রী
অমিত
মিত্র।
তবে শুধুমাত্র
যে
শিল্প
বিনিয়োগ
নিয়েই
মমতা
সীমিত
ছিলেন
তা
নয়,
সকালে
হাঁটতে
বেরিয়ে
রাজ্যের
সাম্প্রতিক
দু’টি
বিপর্যয়
নিয়েও
প্রশাসনের
মনোভাব
জানিয়েছেন। মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়া নিয়ে তাঁর মূল্যায়ন, ‘দ্রুত অবস্থার উন্নতি করার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। গার্ডেনরিচ
উড়ালপুল
চালু
করে
দেওয়া
হয়েছে। বজবজ–মহেশতলা উড়ালপুলও চালু করে দেওয়া হবে দ্রুত। রাস্তা
চওড়া
করা
হচ্ছে। এর ফলে মাঝেরহাটের ওখানে চাপ কমবে।’ একইসঙ্গে
তিনি
এই
নিয়ে
কয়েকটি
সিদ্ধান্তের
কথা
জানান। বলেন, ‘ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য মেট্রোর কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। ফের
তা
চালু
করতে
বলা
হয়েছে। রেলের জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে আমার এবং মুখসচিবের কথা হয়েছে। রেল
ওখানে
একটি
লেভেল
ক্রসিং
বানিয়ে
দেবে। দ্বিতীয় একটি লেভেল ক্রসিং বানানোর খরচ রাজ্য সরকার দেবে। ২ মাসে
এটি
তৈরি
হবে। এর ফলে ওখানে যাতায়াত অনেকটা সহজ হবে। তবে
রাজ্যে
এমন
অনেক
ব্রিজ
রয়েছে,
যেগুলি
পঞ্চায়েত
এবং
জেলাপরিষদ
বানায়। কিন্তু ওদের পরিকাঠামো সেরকম নয়। তবুও
বহুদিন
ধরে
এগুলো
চলছে। কিন্তু এবার ঠিক হয়েছে, ৫০ মিটারের বেশি বড় ব্রিজ হলেই সেটা পূর্তদপ্তর বানাবে। আর
ব্রিজগুলির
রক্ষণাবেক্ষণে
বিশেষজ্ঞ
কমিটি
তৈরি
হবে।’ আর বাগরি মার্কেট নিয়ে তাঁর মত, ‘আগুন নেভানোর মতো জায়গাটুকু নেই! বাগরি মার্কেটের মতো যেসব বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে, সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ হয় ওরা করুক, নয়তো আমাদের করতে দিক। এটা
আমি
মেয়রকে
পরিষ্কার
বলে
দিয়েছি। কারণ কিছু হলে সরকারের ঘাড়ে এসে দোষ পড়ছে।’
বিনিয়োগ টানার
লড়াইয়েও
রাজ্য
নিয়ে
সদাসতর্ক
মুখ্যমন্ত্রী।‘পূর্ব ভারত, উত্তর–পূর্ব ভারত, বিহার, ওড়িশার মতো রাজ্য তো বটেই, বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডের মতো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিরও প্রবেশদ্বার হল পশ্চিমবঙ্গ।’ বিনিয়োগ
টানতে
এভাবেই
ফ্র্যাঙ্কফার্টের শিল্প সম্মেলনে রাজ্যকে উপস্থাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});