কালিয়াগঞ্জ এর জয়ী নির্দল প্রার্থী নন্দদুলাল দাস বললেন খেলা এবার শুরু হবে –
1 min readকালিয়াগঞ্জ এর জয়ী নির্দল প্রার্থী নন্দদুলাল দাস বললেন খেলা এবার শুরু হবে
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,৩মার্চ:কালিয়াগঞ্জ পৌর নির্বাচনে ১৬নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী হবার দৌড়ের শেষ মুহূর্তে এসে তাকে প্রার্থী হবার সুযোগ না দিয়ে অন্য কাছের লোককে দেওয়া হয় টিকিট।রাজনীতি না করলেও রাজনীতিবিদদের থেকে মানুষের সাথে কম যোগাযোগ নেই।তাই ঠিক করেছিলাম ১৬নম্বর ওয়ার্ডের নাগরিকদের উৎসাহে নির্দল প্রার্থী হয়েই দাড়ালাম। জিতেও গেলাম। দেখিয়েও দিলাম নন্দ দুলালের ভোটে দাড়াতে কোন দলীয় নেতাদের সার্টিফিকেট লাগেনা।তার জনপ্রিয়তাকে ওয়ার্ডের নাগরিকগণ তাকে তার লক্ষে পৌঁছে দেবে।
এই ছিল তার বিশ্বাস।১৬ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী নন্দ দুলাল বাবু পেশায় একজন লটারির হোল সেলার।তৃণমূল দলের ঘোষিত প্রথিকে তৃণমূলের ছেলেরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারেনি।: তৃণমূলের প্রার্থী না করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের একজন নির্দল প্রার্থীকে কি ভাবে জয়ী করতে পারে সেটা দেখিয়ে দিল কালিয়াগঞ্জ ১৬নম্বরের তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ মানুষজন।নির্দল জয়ী প্রার্থী বলেন তৃণমূল থেকে যে প্রার্থীকে দার করিয়েছিল তাকে তৃতীয় স্থানে মানুষ পাঠিয়েছে ।নন্দ দুলাল বাবু বলেন তার সাথে বিজেপি প্রার্থী বিনোদ লোহিয়ার লরাই হয়েছিল। তিনি বলেন নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোট পেয়েছিলাম ১০০২ টি ভোট।বিজেপি পেয়েছিল ৩৯৭ট এবং তৃণমূল প্রার্থী অশিমেশ সেনগুপ্ত পেয়েছিলেন ২৮৭ টি ভোট।নির্দল প্রার্থী নন্দ দুলাল দাস জানান বিজেপির বিনোদ লোহিয়াকে ৬০৫ ভোটে হারিয়ে তিনি জয়ী হন।নন্দ বাবুকে প্রশ্ন করা হয়েছিল তৃণমূলে কবে ফিরছেন? তার উত্তরে তিনি বলেন কোন প্রশ্নই নেই।জেতার পর বিজেপিতে থাকলে দম বন্ধ হয়ে যায়,আপনার সে রকম কিছু হয়না প্রশ্ন করলে তিনি বলেন বিজেপি বা তৃণমূল দেখে আমি রাজনীতিতে আসিনি।দম বন্ধের কোন কারনও নেই।।এখন কি করবেন তাহলে তার উত্তরে নন্দ দুলাল দাস বলেন দাদা যা বলবেন সেটাই করবো। আপনার দাদাটি কে বলবেন প্রশ্নের উত্তরে বলেন দাদার নাম কাউকেই বলবোনা।তবে আমার একমাত্র লক্ষ্য আমার ওয়ার্ডে অনেক দুস্থ মানুষ আছে তাদেরকে আমার তৎপরতার মধ্যে দিয়ে যদি কিছু সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দিতে পারি এটাই হবে আমার সব চেয়ে বড় কাজ।কে চেয়ারম্যান হলেন বা না হলেন আমার কোন তাতে উৎসাহ নেই। তিনি বলেন অপেক্ষা করুন সবই কয়েকদিনের মধ্যে দেখা যাবে।তবে কালিয়াগঞ্জ শহরের নাগরিকরা বিভিন্ন স্থানে যে আলোচনা করছে যেখানে একটি নামই সবার মুখে।তিনি বিজেপির ৬জন জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট ১৪৬৭পেয়ে জয়ী হওয়া প্রার্থী তথা কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার তৃণমূল বোর্ডের প্রাক্তন পৌর পিতা কার্তিক পালের নাম। যদিও ২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনেও সবথেকে বেশি ভোট ১১৫৩ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন।কার্তিক পাল তৃণমূল পৌর বোর্ডের পৌর পিতা থাকা কালীন কালিয়াগঞ্জ শহরকে যে ভাবে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়ে কালিয়াগঞ্জ শহরের যে উন্নয়ন করেছেন মানুষ সহজেই তার কথা ভুলতে পারবেনা বলে চায়ের দোকানের আলোচ্য বিষয় হযে দাড়িয়েছে।তবে অনেক কথা শোনা গেলেও আসল কথা শোনার জন্য কয়েকদিন অপেক্ষা করতেই হবে।তবে বলতেই হবে কালিয়াগঞ্জ পৌর নির্বাচনে বাজিমাৎ করেছেন নির্দল প্রার্থী হয়ে নন্দদুলাল দাস । তৃণমূল কি করবে এখন সেটাই দেখার।নির্দল প্রার্থী নন্দ দুলাল বাবু বলেন আমাকে যারা জয়ের মূল লক্ষে পৌঁছে দিয়েছে সেই সব সৈনিকরা হল মানস ঝা,তাপসী ঝা পরিমল সরকার এবং বাপন সাহা। জানা যায় এই সব সৈনিকরা তাদের ক্যাপ্টেনকে যুদ্ধে জয়ী করার আনন্দ এমনি পেয়েছেন যেন তারা প্রত্যেকেই এক কোটি টাকার লটারি পেয়েছেন এমনি আনন্দ।