কলিয়াগঞ্জের প্রাক্তন পৌর প্রশাসকের চালাকি জনগন ধরে ফেলায় এবার আমও গেল ছালাও গেল?
1 min readকলিয়াগঞ্জের প্রাক্তন পৌর প্রশাসকের চালাকি জনগন ধরে ফেলায় এবার আমও গেল ছালাও গেল?
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,৩ মার্চ:একই পরিবারের না হলেও সম্পর্কেতো শালী বলেই সবাই জানে।ঘটনাটি কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ১০ ও ১১ নম্বরের ঘটনা।কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এবারের পৌর নির্বাচনে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়।কিন্তু তা হলে কি হবে।প্রাক্তন পৌর প্রশাসক পাশের ১০নম্বর ওয়ার্ড যা ভোটের কারনে তৃণমূলের ওয়ার্ড নেতৃত্ব তৈরি করেছিল সেই ১০নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে পৌর নির্বাচনে তৃণমূলের ওয়ার্ড নেতৃত্বের সাথে এলাকার তৃণমূলের সমর্থকদের ক্ষোভকে গুরুত্ব না দিয়ে দাড়িয়ে পড়লেন প্রাক্তন পৌর প্রশাসক সচিন সিংহ রায়।আবার অন্যদিকে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের অনেক যোগ্য মহিলা কর্মী থাকা সত্বেও প্রাক্তন পৌর প্রশাসক নিজের শালিকাকে সবার ক্ষোভকে কোন গুরুত্ব না দিয়ে প্রার্থী করার ব্যাবস্থা করে নেন। ফলে একদিকে যেমন ১০ নম্বর ওয়ার্ডে পৌর নির্বাচনে চোরা স্রোত বইতে থাকে তেমনি ১১ নম্বর ওয়ার্ডেও একই রকমভাবে চোরা স্রোত বইতে থাকে।সচিন বাবু ভেবেই নিয়ে ছিলেন তিনি টু ইন ওয়ান অর্থাৎ দুটি ওয়ার্ডই তার দায়িত্বে থাকবেন।
তিনিই এলাকার শেষকথা বলার অধিকার অর্জন করবেন।আসলে বছর খানেক নমিনেটেড পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করার ফলে তিনি ভেবেই নিয়েছিলেন তিনি যা বলবেন তাহাই জনগন মাথা পেতে মেনে নেবেন।অতি লোভে তাতি নষ্ট এই মনোভাবের ফলে বুধবারের পৌর সভার ফলে দেখা গেল সচিন সিংহ রায় তার জেদকে রক্ষা করতে গিয়ে ১০নম্বর ওয়ার্ডে তিনি নিজেতো পরাজিত হলেনই ১১ নম্বর ওয়ার্ডেও তার শালিকাকেও হার বরন করে নিতে হল।অতি লোভে তাতি নষ্টের মনোভাবের ফলে জনতা জনার্দন এতো দাম্ভিকতা ও স্বেচ্ছাচারিকতাকে মেনে নেননি উপরওয়ালা। তা ছাড়া একজন মহিলার পেটে লাথি মেরে তার চাকরি ছাড়িয়ে দেওয়া,তাকে গ্রেপ্তার করা এসব ভালো চোখে দেখেনি।তাছাড়া দরিদ্র মহিলার চোখের জল যে ব্যর্থ হয়নি সেটা বুধবার ভোট গননার শেষে প্রাক্তন পৌর প্রশাসক উপলব্ধি নিশ্চিত ভাবেই যে করেছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তাই এবার প্রাক্তন পৌর প্রশাসকের আম ও গেল ছালাও গেল মনে করছেন দুই ওয়ার্ডের জনতা জনার্দন। শুধু তাই নয় ১০নম্বর ওয়ার্ডের জনগন বলছেন প্রাক্তন পৌর প্রশাসকের এবার পাপের প্রায়শ্চিত্য হল বলেই মনে করছেন।