January 4, 2025

কালিয়াগঞ্জ থানার জমিতে বাগান করায় দশমীর বিসর্জন নিয়ে সমস্যা, থানার কাজে ক্ষুব্ধ কালিয়াগঞ্জ বাসী

1 min read

কালিয়াগঞ্জ থানার জমিতে বাগান করায় দশমীর বিসর্জন নিয়ে সমস্যা, থানার কাজে ক্ষুব্ধ কালিয়াগঞ্জ বাসী

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,১৮ সেপ্টেম্বর:কালিয়াগঞ্জ থানার সামনে রায়গঞ্জ-বালুরঘাট রাজ্য সড়ক ঘেঁসা শ্রীমতি নদীর ধারের জমিতে এতকাল ধরে দুর্গাপূজার দশমীর বিসর্জন পৌর সভার উদ্দ্যোগে বছরের পর বছর ধরে হয়ে আসছে।এই জায়গা নাকি কালিয়াগঞ্জ থানার।তা হতেই পারে।সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জ থানার কি এমন ঘটনা ঘটলো যে কালিয়াগঞ্জ বাসীর দীর্ঘ দিনের দশমীর বিসর্ননের জমিটাকে ঘিরে বাগান করবার জন্য বিসর্জনের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ালো কালিয়াগঞ্জ থানা? বিসর্জনের জায়গায় একটা যেমন তেমন কিছু ফুলের গাছ লাগিয়ে জায়গাটিকে ঘিরে ফেলে দশমীর উৎসবকে সমস্যার মধ্যে ফেলার পেছনে কি এমন রহস্য আছে তা কালিয়াগঞ্জ বাসীরা বিভিন্ন জন বিভিন্ন রকম মত ব্যক্ত করেছেন।কেও বলছেন কালিয়াগঞ্জ পুলিশ প্রশাসন ঠিক ঝোপ বুঝেই কোপ মেরেছে।কি সেই কারন তা জানতে চাইলে বলছে কালিয়াগঞ্জ পৌর প্রসাশক মন্ডলীতে এখন যারা আছেন তাদের কত ক্ষমতা তা বুঝেই তড়িঘড়ি পুলিশ প্রশাসন জায়গাটিকে ঘিরে দেবার কাজ শেষ করেছে।অনেককেই বলতে শোনা যাচ্ছে এখন যদি কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ডাইনামিক প্রাক্তন পৌর প্রসাশক কার্তিক পাল চেয়ারে থাকতো তাহলে এই জায়গা ঘেরা দেবার আগে পুলিশ প্রসাশনককে একশো বার চিন্তা করতে হত।কোন ভাবেই তার সাথে আলোচনা না করে এই কাজে হাত দিতনা।

 

কালিয়াগঞ্জ থানা প্রসাশন বুঝে গিয়েছিল ক্ষমতাহীন পৌর প্রসাশক।থাকতেই এই কাজ তাদের করতে হবে।আর ঠিক তাই করেছে।কালিয়াগঞ্জ পুলিশ প্রশাসন খুব ভালো করেই জানে কালিয়াগঞ্জে দশমীর বিসর্জনের থানার সামনের জায়গা ছাড়া আর বিসর্জনের কোন জায়গা নেই।তা স্বত্বেও কালিয়াগঞ্জ পুলিশ প্রশাসন এমন সমস্যা তৈরি করলো কালিয়াগঞ্জের সাধারণ মানুষ থানার এই ধরনের কাজের জন্য কালিয়াগঞ্জ থানার প্রসাশনের উপর চরম ক্ষুব্ধ হয়েছে বলে জানা যায়।শোনা যাচ্ছে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার উদ্দ্যোগে কালিয়াগঞ্জের প্রয়াত কংগ্রেসের পৌর প্রধান অরুণ দে সরকারের হাত দিয়ে জনৈক ব্যক্তি তার সম্প্রদায়ের কাছে বড় নেতা হবার জন্য পৌর সভার কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে ধোবিঘাট বানিয়ে ছিল।কিন্তু সমস্ত টাকাগুলি একেবারে শ্রীমতি নদীর জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে।কিনতু তাতে কি হয়েছে সরকারের টাকার কোন মা বাপ আছে না কি?

এখন সেখানেই নাকি বর্তমান পৌর প্রসাশক বিসর্জন ঘাট করবার উদ্যোগ নিচ্ছেন যা কিনা চরম সমস্যায় পৌর সভাকে পড়তে হতে পারে বলেই সাধারণ মানুষ মনে করছে।যে জায়গায় বিসর্জন ঘাট করার কথা ভাবা হচ্ছে যেখানে অপরিসর রাস্তা থাকায় কোন ট্রাক প্রতিমা নিয়ে সেই স্থানে কোন ভাবেই প্রবেশ করতে না পাড়ারই কথা।তা ছাড়া শ্রীমতি নদীর যেখানে বিসর্জন ঘাট করবার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে সেই শ্রীমতি নদীর ঘাটে কালিয়াগঞ্জের সাধারণ।মানুষের কাছে অভিশাপের কারন হয়ে দাঁড়ায়

 

।প্ৰতি এক দু বছর পর পরই শ্রীমতি নদীর জলে ডুবে মারা যাবার ঘটনা ঘটে থাকে।সেই ঘাটে বিসর্জনের দিন প্রচুর মানুষের ভিড় হবার ফলে যেকোন সময় বড় ধরনের অঘটন ঘটার সম্ভাবনা থেকেই যায়।কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা শুভেন্দু দেবনাথ বলেন কালিয়াগঞ্জ থানার উচিৎ কালিয়াগঞ্জের মানুষের শ্বার্থে নিজেদের সামান্য স্বার্থ পরিত্যাগ করে সমষ্টিগত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে থানার সামনে থেকে অবিলম্বে সামান্য বাগান উঠিয়ে দেওয়া হোক বিসর্জনের ঘাটের জন্য।সাধারণ মানুষদের একটা দিনের আনন্দের জন্য

কালিয়াগঞ্জ বাসীর সাথে কালিয়াগঞ্জ থানার সহযোগিতা করা উচিৎ বলেই তিনি মনে করেন।কালিয়াগঞ্জ থানার আই সি দ্বীপাঞ্জন দাস এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন এ ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই।এস পি সাহেবের নির্দেশেই এই কাজ করা হয়েছে।তা ছাড়া খুব শীঘ্রই এই ঘেরা দেওয়া থানার জায়গায় কন্সট্রাক্টশন শুরু হবে হয়তো

 

।ফলে এই ব্যাপারটা উর্ধতন মহলকেই চিন্তা ভাবনা করতে হবে বলে তিনি মনে করেন।যদিও কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌর প্রসাশক শচিন সিংহ রায় বলেন তিনি সব জায়গাতেই চিঠি দিয়ে তাদের সমস্যার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।পুলিশ প্রশাসন কালিয়াগঞ্জ বাসীর স্বার্থে নিশ্চয় চিন্তা ভাবনা করবেন বলেই তার মনে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *